জেনারেল রাইটিং:- অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা আমি কিছু বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। তেমনি আজকেও আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটি বিষয়ের উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আসলে এসব বিষয়গুলো থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি এবং শিখতে পারি। যেগুলা হয়তোবা বাস্তব জীবনে আমাদের কাজে লাগবে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে পোস্টটা পড়ে।
সময় যেন খুব তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে, আর এই সময়টাকে ভালো এবং সুন্দরভাবে উপভোগ করাটা খুবই প্রয়োজন। আমরা প্রতিনিয়ত চাই আমাদের প্রতিটা মুহূর্ত এবং প্রতিটা সময় যেন ভালো এবং আনন্দে কাটুক। তবে এই প্রত্যাশাটা কিন্তু ভুল নয়। কিন্তু যদি ভুল ভাবে ব্যবহার করি তাহলে সেটা ভুল এবং অন্যায়। আমরা যদি সৎ কাজ করে প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করি, তাহলে সেটা ভালো কাজে পরিণত হবে। এমনকি ভালো কাজ প্রত্যেকটা সময় ভালো কিছুই এনে দেয়। কিন্তু আমরা যদি আনন্দে থাকার জন্য কোন অসৎ কাজ অবলম্বন করি, তাহলে সেটা আমাদের জন্য কখনো কাম্য নয়।
কারণ আমি মনে করি অসৎ কাজ করে আনন্দে থাকার চেয়ে, আমরা যদি সৎ ভাবে দুঃখ পেয়ে বেঁচে থাকি সেটাও কিন্তু অনেক শান্তির। আর আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের এই বিষয়টা মেনে চলাটা খুবই প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে পৃথিবীতে অসৎ কাজ এবং অসৎ মানুষ যেন বেড়েই চলেছে। আর এটাই একদিনে ধ্বংসের স্তুপে পরিণত হবে। অসৎ ভাবে বেশি আনন্দ আমাদের সহ্য হবে না। এটা একদিন না একদিন আমাদের ধ্বংস করবেই। তাই জন্য আমাদের এই বিষয় থেকে দূরে থাকাটাই ভালো।
হয়তোবা আমরা সাময়িক আনন্দ কিংবা সাময়িক প্রাচুর্য উপভোগ করতে পারবো। কিন্তু সেটা কখনোই আমাদের ভালো কিছু হবে না। এমনকি এটা আমাদের জীবনের সবথেকে বড় ক্ষতি হিসেবে পরিণত হবে। আর আমরা যদি একটু কষ্ট করে ভালো কিছু অর্জন করি, তাহলে সেটা আমাদের জীবনে সুখ বয়ে আনবে। আমাদেরকে কারো কাছে আনন্দ খুঁজতে হবে না। ভালো কাজের মাধ্যমে আনন্দ আমার নিজের কাছেই ধরা দেবে। কিন্তু যদি খারাপ কাজের মাধ্যমে ভালো থাকার চেষ্টা করি, সেটা কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
দীর্ঘস্থায়ী ভালো এবং চারপাশের সব মানুষগুলোকে ভালো থাকার জন্য আমাদের অবশ্যই সৎভাবে কাজ করতে হবে। আর এই বিষয়টা আমি মনে করি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি মানুষের জীবন খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী নয়। দেখা যাবে দেখতে দেখতে একটা মানুষের জীবন কেটে যায়। কিন্তু এইটুকু জীবনে সৎ ভাবে কয়জন চলতে পারে। এটাই হচ্ছে মূল বিষয়। কারন আমরা যদি সৎ ভাবে না চলি, এমনকি সৎ ভাবে আনন্দ উপভোগ না করি তাহলে আমাদের পুরো জীবনটাই বৃথা। যদি সৎভাবে ভালো না থাকতে পারি তাহলে একটু কষ্ট করে বেদনা উপভোগ করাটাও শ্রেয়।
কারণ বেদনা অনেক সময় মানুষকে ভালো থাকতে কিংবা ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটাও আমাদের জন্য খুব জরুরী। বিশেষ করে এই ভালো থাকাটাকে মেনে নিতে হবে। কিংবা সৎভাবে যদি আমরা একটু খারাপ থাকি তাহলে এটাকে মেনে নিতে হবে। আর এই বিষয়টাকে যদি মেনে চলতে পারি, তাহলে আনন্দ আমাদের দরজায় এসে কড়া নাড়বে। আর এই জন্যই আমি মনে করি আমাদের সৎ ভাবে ভালো থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা যদি না থাকতে পারি তাহলে অসৎভাবে আনন্দে থাকার চেয়ে সৎভাবে বেদনাটা উপভোগ করাও ভালো। কতবার এটা আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলবে। আশা করি আজকের বিষয়টা আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
কথা কিন্তু দারুন লিখেছেন আপু। আপনার কথা কিন্তু আমার মনে ধরেছে। খুব সুন্দরভাবে আজকের পোস্ট সাজিয়েছেন। আর বিস্তারিত দারুণভাবে লিখেছেন। আমিও আপনার সাথে সহমত পোষণ করলাম।
https://twitter.com/TASonya5/status/1792185037808636022?t=7booVRYq_wy0bN1Nal4JIA&s=19
আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু জীবনে বেঁচে থাকতে হলে সৎ ভাবে বেঁচে থাকতে হবে। বেদনা ভাবে ভালো থাকার চেয়ে সৎ ভাবে খারাপ থাকলেও ভালো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
খুবই চমৎকার কিছু কথা উল্লেখ করেছেন আপু। অসৎভাবে ভালো থাকার চেয়ে সৎভাবে দুঃখ পাওয়াও ভালো! এটা একদমই ঠিক। অসৎভাবে ভালো থাকাটা সাময়িক। একটা সময় ঠিকই সেটা ভালো না থাকার কারণ হয়ে দাড়ায় আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে উচিত সৎভাবে বেচেঁ থাকা।
অনেক দারুন একটি বিষয় আপনি আমাদের মধ্যে উপস্থাপন করেছেন। আসলে দুনিয়ার বুকে অসৎভাবে অনেক আনন্দ উপভোগ করা যায়। কিন্তু এই আনন্দ উপভোগ আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। খারাপের ভেতরে কোন বরকত নেই মানুষ খারাপ কাজ করলে তার জন্য পরবর্তীতে খারাপ কিছুই অপেক্ষা করবে। তাই অসৎভাবে আনন্দ উল্লাস করার থেকে সৎভাবে চলে কষ্ট হলেও এক রকম প্রশান্তির পাওয়া যায়।
ঠিকই বলেছেন আপু আমরা যদি অসৎ ভাবে কোনো ভালো কাজ করি তাহলে এটার বিপরীত দিকে হতে পারে। অসৎ কাজ থেকে দূরে থাকা উচিৎ। আমরা যদি সৎ কাজ করে সেটিতে সফলতা না পাই তবুও আমরা সেই সময়টাকে মানিয়ে নিতে পারি। কিন্তু অসৎ কোন কিছু করলে আমরা নিজেরা জোর করে ভালো থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু মনের মধ্যে সেই চিন্তাটা থেকেই যায়। অসৎ কাজটির কথা সব সময় মাথায় ঘুরতে থাকে। এর জন্য আমরা ভালো থাকতে চেয়েও থাকতে পারিনা। খুবই সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন আপু। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ই আপু কোন অসৎ কাজ করে আনন্দ পাওয়ার চাইতে সৎ থেকে বেদনায় থাকা ঢের ভালো। কেননা অসৎ আনন্দ হলো ক্ষনিকের। এজন্য ক্ষনিকের আনন্দে আত্মহারা না হয়ে সৎ ভাবে থেকে বেদনায় থাকাও ভালো। একদিন বেদনা ঠিকই চলে যাবে তখন নিজেকে সৎ ভেবে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
আসলে বিষয়টা এমন অসৎ ভাবে যদি আমরা ভালো থাকার চেষ্টা করি তাহলে সেই ভালো থাকাটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আর সৎ ভাবে চলার কারণে যদি আমরা কষ্ট পেয়ে থাকি তাহলে সেই কষ্টটাও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই স্বস্তি অনুভব করতে পারব। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক লোক আছে যারা অসৎ কর্ম করে ভালো থাকার চেষ্টা করে কিন্তু আমার কাছে সেটা একদমই বৃথা মনে হয়। আমি সামান্য কিছু ভালো কাজ করে যদি সুখে থাকতে পারি তাহলে আমার খুব বেশি সুখের দরকার নেই। অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকা ভালো। আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।
চমৎকার কথা বলেছেন আপু অসৎ উপায়ে চেয়ে পবিত্র বেদনা অনেক ভালো।অসৎ উপায়ে আনন্দ ক্ষনিকের। খারাপ কাজের মধ্যে ভালো থাকতে চাইলে তাদের দীর্ঘস্থায়ী হয় না।সৎ উপায় ভালো থাকা গুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু কথা লিখে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।