লাইফ স্টাইল :- মাছের কাবাব খাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

20240524_191303.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম ‌। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আপনাদের মাঝে বাইরে খাওয়া দাওয়ার একটা মুহূর্ত শেয়ার করতে আসলাম। আসলে বাড়িতে সব সময় কাজ করতে করতে ইচ্ছে করে মাঝেমধ্যে বাইরে থেকে ঘুরে আসতে। এইজন্য হঠাৎ করেই অনেক সময় বেরিয়ে পড়ি। কোন প্ল্যান ছাড়াই আমরা যেখানে সেখানে চলে যাই। সেটা হয়তোবা বাইক থাকার কারণে। তো হঠাৎ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম মাছের কাবাব খেতে যাবো। এইজন্য সন্ধ্যেবেলায় রেডি হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। আমাদের এখানে মনপুরা কাবাব হাউজে গিয়েছিলাম। এখানে মুরগির কাবাব এমনকি মাছের কাবাব দুটোই রয়েছে।

20240524_191318.jpg

20240524_191957.jpg

তবে মুরগির কাবাব বেশিরভাগ সময় খাওয়া হয়। এজন্য ভাবলাম মাছের কাবাব খেয়ে দেখি কেমন হয়। প্রথমেই গিয়ে একটা টেবিলে বসলাম। এরপর চারপাশে দেখলাম খুব সুন্দর ফুলের পেইন্টিং করা। তাই কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। যেগুলো দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এরপর আমরা অর্ডার করে ফেলি মাছের কাবাব আর পরোটা। যেকোনো কাবাবের সাথে পরোটা খেতেও কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। অর্ডার করলে কিন্তু আবার একটু সময় লাগে আসতে। তার জন্য আমরাও বসে বসে অপেক্ষা করছিলাম, আর তার সাথে এমনিতেই কিছু ফটোগ্রাফি করছিলাম।

কিছুক্ষণ পরে দেখলাম খাবার চলে আসলো। খাবার আসার সাথে সাথেই প্রথমে ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। তবে আমার কাছে কিন্তু মাছের কাবাবটা দেখেই ভীষণ ভালো লেগেছে। দেখেই মনে হচ্ছে খেতেও ভালো লাগবে। সেটাই হলো সত্যি, যখন খাচ্ছিলাম আমার কাছে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। আবার একটু ঝাল ঝাল ছিল এজন্য আরও বেশি ভালো লেগেছে। কারণ আমি মিষ্টির চেয়ে ঝাল খেতে একটু বেশি পছন্দ করি। এটা ছিল মূলত সামুদ্রিক মাছের কাবাব।

20240524_191955.jpg

20240524_191258.jpg

এইজন্য খেতে ভালো লেগেছিল। আমাদের সাথে আবার নাশিয়াকেও একটু খাইয়ে ছিলাম। যদিও সে সামান্য পরিমাণে খেয়েছে। তার আবার বেশি খেতে নাকি ভালো লাগেনা। কিন্তু সেদিন সে অনেক বেশি এনজয় করেছিল। কারণ চারপাশে বিভিন্ন রকম ফুলের পেইন্টিং গুলো দেখতেও বেশি ভালো লাগতেছে। আবার সেখানে একটা জায়গা ছিল, যেটাতে কিছু তিমি মাছের ভাস্কার্য এমনকি সেগুলোতে কালারফুল পানি পড়ছিল। এইসব দৃশ্যগুলো নাশিয়া খুবই এনজয় করেছিল।

20240524_192010.jpg

20240524_192000.jpg

আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে কোথাও গেলে তারা অনেক বেশি আনন্দ করে। এজন্য আমাদেরও ভীষণ ভালো লাগে। তো আমরা আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ করে, বিল আসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এরপর বিল আসলে আমরা বিল দিয়ে দিলাম। সত্যি বলতে অনেক দিন পরে মাছের কাবাব খেতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে । যেহেতু আমরা সন্ধ্যেবেলায় এসেছি তার জন্য অনেক রাত হয়ে গেছে। এই জন্য আর বেশি দেরি না করে আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আশা করি আমাদের মুহূর্তটা আপনাদেরও ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে।

20240524_192014.jpg

20240524_192017.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 last month 

দেখে তো মনে হল বেশ ভালো হয়েছে মাছের কাবাব। যেহেতু কাজ করতে করতেই একঘেয়েমি চলে আসে মাঝেমধ্যে বের হলে ভালো লাগে। বেরিয়ে যদি একটু ঘোরাঘুরি করা যায় কিংবা কিছু খাওয়া যায় সময়টা খুব দারুণ হয়। খাবার গুলো দারুণ ছিল খাবারের কালার গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো পড়ে।

 last month 

মাছের কাবাব খাওয়ার সুন্দর একটা মুহূর্ত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য চেষ্টা করলাম আপু।

 last month 

এটা একদম ঠিক আপু মুরগির কাবাব সব সময় খাওয়া হয়। কিন্তু মাছের কাবাব সেভাবে খাওয়া হয় না। আমাদের এদিকে তো মাছের খাবার পাওয়া যায় না বললেই চলে। অসাধারণ মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last month 

সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার কাছেও ভালো লাগছে।

 last month 

রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন টা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আর বুড়িমাটাকে মাশাল্লাহ অনেক কিউট লাগছে। পরিবারের সবাই মিলে কাবাব সাথে অন্যান্য খাবার খেতে দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মাছের কাবাব খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 last month 

রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন আসলেই সুন্দর ছিল। আমার মেয়েও মজা করে খেয়েছে। দোয়া করবেন তার জন্য।

 last month 

আপু মনপুরা জায়গাটি এমনিতে বেশ সুন্দর। আপনারা দেখতেছি মাছের কাবাব খেয়েছেন। তবে এটি একদম ঠিক বলেছেন যে কোন কাবাব এর সাথে পরোটা খেতে বেশ ভালোই লাগে। আর মাঝেমধ্যে এরকম ঘুরতে গেলেও নিজের মনও ফ্রেশ হয়। তবে নাশিয়া ঘুরতে গিয়ে মনে হয় অনেক বেশি খুশি হয়েছে। খুব সুন্দর করে মনপুরা কাবাব হাউজে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last month 

ঠিক বলেছেন এই জায়গাটা অনেক সুন্দর। আর এখানে বসে খেতে ও অনেক ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60814.66
ETH 2400.80
USDT 1.00
SBD 2.60