নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৫৩ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৫৩ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, বিদেশি আকাশ আর তার বোন এসেছে। আর চম্মানের বাবার কাছে ক্ষমা চায়। ওখানে সায়েম ফকিরও ছিল। আর সে তার শ্বশুরকে রাজি করিয়েছে বিদেশি আকাশকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। ক্ষমা করার পর আবারো চম্মনকে বিয়ে করার জন্য বিদেশী আকাশ প্রস্তাব দেয়। এমনকি এটাও বলে বিয়ের পর নাকি তাকে বিদেশ নিয়ে যাবে। এটা শুনে তো চম্মনের বাবা অনেক খুশি হয়ে যায়। আর বলে ভেবে দেখবে। তারপর তারা ওখান থেকে চলে যায়। আর বসে বসে এগুলো ভাবতে থাকেন। তারপরে আমরা দেখতে পাই গ্রামে একজন ধনী ব্যক্তি এসেছে। উনাকে দেখে মানিক ফকির আর রতন ফকির ভিক্ষা চায়।
তখন ওই লোকটা ওদেরকে ১০০০ টাকা করে দেয়। আসলে তিনি নিজের ছেলেকে এই নদীর পথ দিয়ে হারিয়েছিল। আর এগুলোই ভাবতে থাকে। তারপর আমরা দেখি আসমানী ছোট বাচ্চাদের খেলা দেখছে। আর তাদেরকে ভালো ভালো উপদেশ দেয়। ওখান দিয়ে যখন প্রিন্স যাচ্ছিল, তখন এইসব কিছু দেখে। আর বাচ্চারা চলে যাওয়ার পর তার সাথে কথা বলে। তারা কিছুক্ষণ কথা বলার পর আসমানী ওখান থেকে চলে যায়। তারপর আমরা দেখি সায়েম ফকির তার বউ ভিক্ষা করতে করতে যাচ্ছিল। ওখান দিয়ে যখন মানিক ফকির যাচ্ছিল তখন সায়েম তাকে দেখে নাচতে থাকে। কারণ চম্মনের বিয়ে ঠিক করে নিয়েছে, এজন্য সে অনেক বেশি আনন্দিত।
আর এইগুলো শুনে তো মানিক অনেক মন খারাপ করে। আর একসময় সে নাচতে নাচতে ওখান থেকে চলে যায়। তারপর মানিক সায়েমের বউ এর সাথে কথা বলে আর পরামর্শ চায়। তখন ও বলে সেই তার বাবাকে রাজি করানোর চেষ্টা করবে। তারপরে আমরা দেখতে পাই কাদের ফকির আর মর্জিনা ভিক্ষা করছে। আর তারা যখন ভিক্ষা করছিল পেছন থেকে চান্দু ফকির এসে মর্জিনার সাথে দেখা করে। এরকম ভাবে দুইবার যখন দেখা করে, তখন তার বাবা দেখে ফেদেখি তারপরে চান্দুকে কাদের ফকির দৌড়ানি দেয়। এরপর দেখা যায় মানিক ফকির রবির কাছে এসেছে, তার একটা নতুন শার্ট নেওয়ার জন্য।
শার্ট পড়ে চম্মনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। যেহেতু রবি ঘরে ছিল না তাই তার মা মানিক ফকিরকে একটা শার্ট দেয়। আর তখনই ওখানে রবি এসে শার্টটি কেড়ে নেয়। এমনকি মানিক ফকিরকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এগুলো শুনে মানিক ফকির অনেক কষ্ট পায়, আর ওখান থেকে চলে যায়। তারপরে আসমানিকে দেখা যায় জঙ্গলের মধ্যে কিছু খুঁজছে। তখনই ওখানে চান্দু ফকির আসে। আর তারা দুজন কথা বলার সময় সায়েম এর বউ এসে তাদেরকে বিভিন্ন খারাপ কথা বলতে থাকে। আর এক পর্যায়ে সায়েমের বউ ওখান থেকে চলে যায়। তারপর চান্দু ভিক্ষা করার জন্য চলে যায়। আর আসমানী নিজের কাজে চলে যায়। তারপরে আমরা রতন ফকিরকে দেখতে পাই। সে মানিক ফকিরকে খুঁজা খুঁজি করছিল। তখনই ওখানে মানিক চলে আসে। আর মানিক একপর্যায়ে রতনকে সবকিছু খুলে বলে।
এগুলো শুনে তো রতনের মাথা গরম হয়ে যায়। তারপর সে মানিককে কালকের পাওয়া ১০০০ টাকা দিয়ে মার্কেট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর তারা মার্কেটে চলে যায়। তারপরে আমরা দেখতে পাই ফুলিকে। সে যখন যাচ্ছিল তখন এই দোকানদারের সাথে তার দেখা হয়। আর সে দোকানদারকে কাজ দেয় যেন ঝুমার বয়ফ্রেন্ডকে সে মারে। আর ওখান থেকে চলে যাওয়ার পর দোকানদার সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবে হোক লোকটাকে মেরে ফুলির মন জয় করবে। এরপর আমরা দেখতে পাই রতন আর মানিক পাঞ্জাবি কেনার জন্য যাচ্ছে। আর তখন ডাক্তার আপার সাথে দেখা হয়। এরপর রতন ডাক্তার আপাকে সবকিছু খুলে বলে। তখন ডাক্তার আপা মানিক ফকিরকে পাঞ্জাবির সাথে জুতাতা কেনার জন্য আরো ১০০ টাকা দেয়। টাকা পেয়ে তারা দুজনেই অনেক খুশি হয়ে যায়। সাথে আরো ১০০ টাকা জোগাড় করার জন্য তারা আবারও ভিক্ষা করার জন্য চলে যায়। কারণ ১০০ টাকা দিয়ে ভালো জুতা পাওয়া যাবে না।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকের প্রত্যেকটা পর্বের মতো এই পর্বটাও অনেক সুন্দর হয়েছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল এই পর্বটাও। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই গ্রামে একজন নতুন বড়লোক মানুষ এসেছে। মানিক রতন ওনার কাছে ভিক্ষা চাওয়ার পর তিনি দুজনকে এক হাজার, এক হাজার করে টাকা দেয়। আর তিনি নিজের ছেলের জন্য দোয়া করার জন্য বলে। কারণ উনার ছেলে এই নদীতে ভেসে কোথাও হারিয়ে গিয়েছে। তিনি মনে করেন উনার ছেলে মারা গিয়েছে। যাই হোক আসলে ওনার ছেলেকে এটা এখনো আমরা জানতে পারিনি। অন্যদিকে আবার চম্মনের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে ওই বিদেশী আকাশের সাথে। এটা শুনে অনেকের অনেক বেশি মন খারাপ। এখন সে আবারও চম্মনের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবে। দেখা যাক কি হবে। সে পর্যন্ত আপনারা অপেক্ষায় থাকুন। আমি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1868257591459291339?t=bH_CTWMuvPLYF0nN99jwPA&s=19
সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। ফকির গ্রাম নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি সময় পেলেই নাটকটা আমি দেখবো। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ এই ফকির গ্রাম নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ফকির গ্ৰাম নাটকের এই পর্বটাও অনেক সুন্দর ছিল।
ঈগল টিমের এই ধারাবাহিক নাটক গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। আমি সময় পেলেই দেখার চেষ্টা করি।আপনি ফকির গ্রাম নাটকের ৫৩ তম পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আমি তো অনেক পছন্দ করি ঈগল টিমের নাটক গুলো দেখতে।
আপনি প্রতিনিয়ত ফকির গ্রাম নাটকের রিভিউ করে চলেছেন। ফকিরগ্রাম নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এর আগে বেশ কিছু পর্ব আমি দেখেছি। নাটকটি খুবই সুন্দর।ফকিরগ্রাম নাটকের পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি পরবর্তী পর্ব আপনি খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন আপু।
নাটকটা সত্যি অনেক বেশী সুন্দর। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে নাটকটা।
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার আজকের এই সুন্দর একটি নাটক তৈরি করতে দেখে। দেখতে দেখতে আপনি নাটক রিভিউটা ৫০ পার হয়ে গেছেন। আমার কাছে ভালো লাগে নাটক। মন বড় ধরনের নাটক গুলোর মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা খুঁজে পাই আমি। এই পর্বটা বেশ দারুন ছিল।
এভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি নাটকের প্রতিটা পর্ব শেয়ার করার জন্য।