লাইফ স্টাইল :- মাটির হাড়িতে দধি খাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

20240524_200155.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম ‌। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

এমনিতে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করতে কিন্তু আমাদের সবারই ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় আমরা ব্যস্ততা কিংবা কাজে কর্মে থাকার কারণে যাওয়া হয়ে ওঠে না। কিন্তু যদি কখনো সময় পায় তাহলে চেষ্টা করি বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসার আর তার সাথে খাওয়া দাওয়া করার। বেশ কিছুদিন আগেই গিয়েছিলাম কাবাব হাউজে। কিন্তু সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। আবার ওইখানে বিনোদন পার্ক রয়েছে। যেখানে বেশ ভালোই আনন্দ করেছিলাম। পরবর্তীতে আসার পথে আমরা একটা দোকান দেখলাম যেখানে, মাটির হাড়িতে করে দধি বিক্রি করছে।

20240524_200200.jpg

20240524_200205.jpg

তখন আপনার ভাইয়া বলল খাবে নাকি। আমার কাছে আবার ভীষণ ভালো লাগে। তাই জন্য বললাম ঠিক আছে খাবো। সেই অনুসারে আমরা এই দোকানে গিয়ে বসলাম। তারপর সেখান থেকে অর্ডার করলাম চারটা দধি। শুনেছি এখানকার দধিগুলো নাকি অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই এখান থেকেই দধি গুলো খাওয়ার জন্য আসে। যদিও আমরা এর আগে কখনো আসেনি। তাই জন্য ভাবলাম ট্রাই করলে ভালই লাগবে। যখন আমাদেরকে এই দধি গুলো দিলো, দেখে তো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।

দেখেই অনেকটা দারুন লেগেছিল। তাই জন্য কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। ভাবলাম আমার কাছে যেহেতু ভালো লেগেছে, তাহলে আপনাদের মাঝেও শেয়ার করা যাবে। তো আমরাও খাওয়া শুরু করলাম। এদিকে আবার মেয়েকে ও একটা দিলাম খাওয়ার জন্য। এমনিতে কিন্তু সে সহজে কিছু খেতে চায় না। কিন্তু তখন দেখলাম এই দধি টাকে আস্তে আস্তে খাচ্ছিল। এটা দেখেও আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। যদিও সে কিন্তু পুরোটা খেয়ে শেষ করতে পারেনি। এমনিতে বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া খুব অল্প পরিমাণে থাকে।

20240524_200150.jpg

IMG_20240811_135850.jpg

আমার নিজের কাছেও কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছিল খেতে। আসলে মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে এইসব কিছু খেতে ভীষণ ভালোই লাগে। আমরা আমাদের খাওয়া শেষ করে এরপর, কিছুক্ষণ বসে কথা বলেছিলাম। তবে একটি মজার ব্যাপার হলো আমরা কিন্তু খাওয়ার পরে দোকানের লোকটাকে বললাম এই মাটির হাঁড়িগুলো একটা প্যাকেটে করে আমাদেরকে দিয়ে দিতে। সত্যি বলতে এগুলো দিয়ে কি করবো আমার মনে হয় আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন। হ্যাঁ পরবর্তীতে এগুলো দিয়ে আপনাদের মাঝে নতুন করে কিছু শেয়ার করবো।

তবে আমার মনে হয় দোকানদার একটা অবাক হয়েছিল কেন আমরা এগুলো নিয়ে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা তো আর তাদেরকে বলতে পারছি না কেন নিয়ে যাচ্ছি। তবে সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। এরপর আমরা টাকা দিয়ে বেরিয়ে পড়েছি ‌। আবারো আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পরবর্তীতে আবারো আসবো আপনাদের মাঝে সুন্দর কিছু মুহূর্ত নিয়ে। এ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।

20240524_200314.jpg

20240524_200310.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 7 days ago 

মাটির হাড়িতে দই খেতে খুবই ভালো লাগে। আপু আপনারা তো বেশ ঘোরাফেরা করেন ইদানিং। আসলে কাজের ভিতরে থাকতে থাকতে অনেক সময় বের হয়ে ঘুরতে ইচ্ছে করে। আর বের হয়ে ঘুরাঘুরি করলে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে বের হয়ে ঘুরাঘুরি করা খাওয়া-দাওয়া অনেক ভালো লাগে। আর দইয়ের কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে।

 6 days ago 

আসলে সময় পেলেই ঘুরাঘুরি করার জন্য চেষ্টা করি আপু। মাটির হাড়িতে দধি খেতে খুব ভালো লেগেছিল।

 7 days ago 

এভাবে মাটির পাত্রে দই খেতে আমারও ভালো লাগে। ঠিক তেমনি একটা ভালো লাগার মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বেশ লোভনীয় একটা বিষয় ছিল কিন্তু। আর এই লোভনীয় মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো আরো।

 6 days ago 

মাটির পাত্রে দধি খেতে আপনার নিজের কাছেও ভালো লাগে শুনে খুশি হলাম।

 7 days ago 

দধি খেতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আপনার মাটির হাড়িতে দধি খাওয়ার মুহূর্তের অনুভূতি পড়ে আমারও দধি খেতে খুব ইচ্ছে করতেছ। দধি খাওয়ার মুহূর্ত বেশ সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 6 days ago 

ইচ্ছে করলে যেখানে বিক্রি করে সেখানে গিয়ে খেয়ে ফেলেন। যাইহোক সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 7 days ago 

কাবাব হাউস থেকে একেবারে মিষ্টি দইয়ের হাড়ি? হা হা হা। বেশ সুন্দর কম্বিনেশন কিন্তু। যাইহোক দইয়ের হাড়ি গুলি খুব সুন্দর দেখতে। এবং দই খেতে যে সুস্বাদু ছিল তা আপনার বর্ণনা থেকেই বুঝতে পারলাম। মিষ্টি দই খেতে আমার খুব ভালো লাগে। এ বাংলায় নবদ্বীপের দই খুব বিখ্যাত। উপরে শক্ত মাটা দইয়ের স্বাদকে আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে।

 6 days ago 

আমি নিজেও মিষ্টি দই অনেক বেশি পছন্দ করি।

 6 days ago 

মাটির হাঁড়িতে দই খেয়েছি আপু ভীষণ মজা লাগে। কিছুদিন আগে বাইরে কাবাব হাউজে গিয়েছিলেন সেখানে খাওয়া-দাওয়া করার পর একটু ঘোরাঘুরিও করেছেন। আসলে মাঝে মাঝে একটু বাইরে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো। মেয়ে আপনার মেয়ে দধি খেতে পছন্দ করেছিল। বাচ্চাদের মাঝে মাঝে কথা ঘুরতে নিয়ে গেলে ওরা অনেক খুশি হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 6 days ago 

আসলে এরকম কিছু দেখলে না খেয়ে থাকা যায় না। আমার কাছে এই দধি খেতে খুব ভালো লেগেছে।

 6 days ago 

বেশ মজার এই দধিগুলো। আমি কিন্তু তেমন একটা দধি খেতে পছন্দ করতাম না। তবে এই দধি খাওয়ার পর বুঝলাম এটা একদম বেস্ট একটা দধি ছিল। তাইতো এটা খেতে চেয়েছিলাম অনেক আগে থেকে। কারণ একদিন আপনার ভাইয়া বলছিল যে স্টারলাইনের দধিগুলো নাকি অনেক বেশি মজা হয়। যাইহোক মুহূর্তগুলো পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো আপু।। নাশিয়া দেখছি বেশ মজা করেই দধি খাচ্ছে।

 6 days ago 

এই দধি গুলো আসলেই একেবারে বেস্ট দধি। দধি খাওয়ার মুহূর্ত আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।

 6 days ago 

মাটির পাত্রের দই খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আপনারা মাটির পাত্রে দই খাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দই খাওয়ার সুন্দর মুহূর্তটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 5 days ago 

মাটির পাত্রে দই খাওয়ার এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে তো আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে।

 5 days ago 

সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 days ago 

সত্যি বলতে এগুলো দিয়ে কি করবো আমার মনে হয় আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন।

মাটির হাঁড়ি গুলো দিয়ে নিশ্চয়ই ডাই প্রজেক্ট তৈরি করবেন। যাইহোক মাটির হাঁড়িতে দই খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে খেয়ে থাকি। তাছাড়া আমাদের এখানে সুগন্ধা রেস্টুরেন্টে মাটির হাঁড়িতে ফিরনি বিক্রি করে থাকে। খেতে আসলেই দারুণ লাগে। আপনারা বেশ মজা করেই দই খেয়েছেন তাহলে। নাশিয়াও তো দেখছি মজা করে দই খেয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 61744.65
ETH 2678.63
USDT 1.00
SBD 2.59