ভ্রমণ :- মিয়াজির ঘাট ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
device : Redme note 9
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে মিয়াজির ঘাট ঘুরতে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
আসলে সব সময় ব্যস্ততার মধ্যে থাকি, তাই জন্য যদি একটু সময় পাই আমরা বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ঘুরতে। যদি মাঝেমধ্যে না বের হই তাহলে তো আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। মূলত আমাদের কোন প্ল্যান ছিল না আমরা কোথায় যাব। প্রথমেই আমরা দুইজন বাইকে করে বেরিয়ে পড়ি। আমরা মূলত গ্রামের ভেতরের দিকে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। গ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে চলে গেলাম আমি মিয়াজির ঘাট। এটা মূলত একটা নদীর পাড় । এর উপরে বড় রাস্তা এবং ব্রিজ করা হয়েছে। ব্রিজের নিচের অংশে এখানে আবার খুব সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট দেওয়া হয়েছে।
আর এই রেস্টুরেন্ট এর নাম দেওয়া হয়েছে নদীর কূল কাবাব হাউজ। যদি আমরা সকালে বেরিয়েছি তার জন্য কাবাব খেতে পারিনি। কারণ কাবাব সকালে বিক্রি করে না সন্ধ্যার পরেই কাবাব পাওয়া যায়। তবে এই রেস্টুরেন্টের একটা জিনিস আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। যেটা হচ্ছে এখানে খুব সুন্দর ছোট ছোট কুঁড়ে ঘরের মতো তৈরি করা হয়েছে। আর এই কুঁড়েঘর গুলোর ভেতরেই খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজকে না খেতে পারলেও কিন্তু আমরা আরো একদিন এখানে এসে খেয়েছিলাম। আমরা নিচে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম।
রেস্টুরেন্টের পরে নদীর পাড়ে বসে ছিলাম কিছুক্ষণ। সত্যি সবুজ প্রকৃতির মাঝে সময়টা যেন দারুন কেটে। সবুজ প্রকৃতির মাঝে আসলে যেন চারদিকের সব চিন্তা ভাবনা দূর হয়ে যায়। বসে কথা বলার সাথে সাথে কয়েকটা ফটোগ্রাফিও করলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নদী থেকে ব্রিজটা কিন্তু অনেক উপরে দেখা যায়। আমি আবার ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে আমি আবার নিচের দিকের কিছু ফটোগ্রাফি করি। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে আমরা কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম।
কারণ নিজের উপর থেকে নিচের জায়গাটাও দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। খুব সুন্দর একটা অনুভূতি তৈরি হয়েছিল নিজের মাঝে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো আসলে মুহূর্তটা। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল আমরা গ্রামের ভেতর দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুরে বেরিয়েছিলাম। গ্রামীন পরিবেশ কিন্তু আমার ভীষণ ভালোই লাগে। আমরা যখন গ্রামের ভেতর দিয়ে আসছিলাম তখন দেখছিলাম বিভিন্নজন বিভিন্ন রকমের কাজ করছে। আর সবুজ ধান ক্ষেত গুলো দেখতে খুবই ভালো লেগেছিল। পরিবেশটা খুবই মনোমুগ্ধকর ছিল। আমার কাছে মুহূর্তটা খুবই ভালো লেগেছিল।
এরপর সেখানে একটু সময় কাটানোর পরে আমরা আবারো বাইকে করে বেরিয়ে পড়ি। আমরা এখান থেকে বেরিয়ে আবারো গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলতে শুরু করলাম। একটা জায়গায় গিয়ে দেখলাম ফুচকার দোকান। তখন আমরা বাড়ির থেকে নেমে ফুচকা খাওয়ার জন্য গেলাম। আসলে হঠাৎ করে ফুচকা দেখে খেতে ইচ্ছে করছিল। আর খেতে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম যে ফটোগ্রাফি করতে পারলাম না। তাই জন্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। ফুচকা খাওয়া দাওয়া শেষ করে। এরপরে আমরা আবারও বাইকে করে গ্রামের ভেতর দিয়ে বাড়িতে চলে আসি। সতীর দিনটা আমরা কিন্তু খুব সুন্দর কাটিয়েছিলাম। আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে ভালই লেগেছে। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে মিয়াজির ঘাটে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। রেস্টুরেন্টে ফুচকা খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। পড়ন্ত বিকেলে গিয়ে আরেকদিন নিশ্চয় কাবাব খেয়ে আসবেন। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। অবশ্যই চেষ্টা করব আরেক দিন গেলে কাবাব খাওয়ার।
https://x.com/TASonya5/status/1732021047338164250?s=20
মিয়াজির ঘাট দেখতে অনেক সুন্দর আপু। এমন পরিবেশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। রেস্টুরেন্টে ফুচকা খেয়েছেন জেনে খুশি হলাম। পুচকা আমিও মাঝে মধ্যে খাই খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক ব্যস্ত সময় পার করেন এটা জানি আপু। এভাবে ভাইয়া কে নিয়ে মাঝে মধ্যে ঘুরতে বের হবেন আশাকরি আপনার ভালো লাগবে।
আসলে সব সময় তো ব্যস্ত সময় পার করি, তাই মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করি।
বাহ দু'জনে মিলে তো দারুন সময় কাটিয়েছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনারা একটু সময় বের করে দু'জন দু'জনকে এত সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। মিয়াজির ঘাট নামটা যেমন সুন্দর তেমনি রেস্টুরেন্টের নাম ও খুব সুন্দর। এমন সুন্দর পরিবেশে বসে খাওয়া দাওয়া করতে বেশ ভালো লাগে। সকালে গিয়েছেন বলে কাবাব খেতে পারেনি এই নিয়ে আফসোস করবেন না আরেক দিন গিয়ে খেয়ে আসবেন। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি জায়গাটা খুব সুন্দর। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আরেক দিন গেলে অবশ্যই খেয়ে আসবো। হ্যাঁ আপু জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর।
হুটহাট প্লান ছাড়া ঘুরতে অনেক মজা লাগে আমার কাছে। সুন্দর একটি সময় পার করেছেন দেখছি। মিয়াজির ঘাটের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে এটা আমি বেশি পছন্দ করি। প্লান ছাড়া ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা।
ভাইয়ার সাথে দেখছি বেশ সুন্দর একটি জায়গা ঘুরতে গেছেন আপু। আর সেখান থেকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন সেই জায়গার বর্ণনা। আর এরই মধ্য দিয়ে নতুন কিছু ধারণা পেলাম এবং অবগত হলাম অচেনা জায়গা সম্পর্কে।
জায়গাটা সত্যি অনেক সুন্দর, যার কারণে ঘুরতে খুব ভালো লেগেছিল।
আসলে কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে ভ্রমণ করাটা ভীষণ জরুরী। আপনারা চমৎকার একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন দেখছি, জায়গাটা সত্যিই সুন্দর। বিশেষ করে কুঁড়েঘর এর মত রেস্টুরেন্টটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। যাই হোক আপনাদের দুজনকে একসাথে বাইকে দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ব্রিজের নিচে এই রেস্টুরেন্ট। যার কারণে অনেক সুন্দর লাগছিল। আমরা মাঝে মাঝে যাওয়ার চেষ্টা করি ওখানে।
স্পট টা বেশ সুন্দর।কুড়ে ঘর স্টাইলে সবগুলো ঘর করা ।মনে হচ্ছে এখনি মিউজিয়াম ঘাট টা তে চলে যায়।তবে সেই সুযোগ তো আর নেই।আপনার পোস্টে আবারও দেখতে পাবো যখন কাবাব খেতে যাবেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমাদের ঘুরাঘুরি করার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মিয়াজির ঘাট জায়গাটি অনেক সুন্দর। ওখানের ব্রিজ এবং রাস্তা দেখতে অনেক ভালো লাগে। এবং কাবাব হাউস ও আছে। যদিও আপনারা সকালবেলা গিয়েছেন এই কারণে কাবাব হাউসে কিছু খেতে পারেন নাই। তবে ওখানে কাবাব হাউস বিকেল বেলা চালু করে। আমি নিজেও কয়েকবার ওখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে ওখানে পরিবেশ দেখলে আলাদা একটা সৌন্দর্য লাগে। যাইহোক ভাইয়াকে নিয়ে পছন্দের ফুচকা খেলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
ঠিক বলেছেন, এই জায়গাটাতে গেলে এটার পরিবেশ দেখলে আলাদা একটা সৌন্দর্য লাগে।