স্বরচিত কবিতা : " লোড শেডিং "
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করার চেষ্টা করছি। কারণ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোস্ট করলে সবার দেখতেও ভীষণ ভালো লাগে। আসলে কবিতা তো লেখা আমার কাছে ভীষণ কঠিন। কারণ আমি মনে করি কবিতা লেখাটা অনেক সময় এবং অনুভূতির প্রয়োজন। যেহেতু আজকে ইচ্ছে করছিল কবিতা লেখার, এইজন্য একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। আমি মূলত এই কবিতাটি কোন কবিতায় কিছুটা অংশ লিখেছিলাম। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পুরো কবিতাটি সম্পূর্ণ করে আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করি আমার আজকের কবিতাটি আপনাদের ভালো লাগবে।
কবিতার মূলভাব
শীতকালে তবুও কিছুটা লোডশেডিং এর অশান্তি ভোগ করতে হয় না। তখন কিন্তু গরমের জন্য ফ্যান এর প্রয়োজন নেই। যেহেতু এখন গরম আসছে, তখন লোডশেডিং এর যন্ত্রণাটাও শুরু হয়ে যাবে। আর আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি, তাদের জন্য এই বিষয়টা অনেক বেশি কষ্টের হয়ে যায়। তাছাড়া আমরা আমাদের পরিবার সুন্দর ভাবে চালানোর জন্য এই সব কিছু সহ্য করে থাকি। বিশেষ করে আমাদের সাধারণ পাবলিকদেরকে এই গরমে অত্যাচার সহ্য করতে হয়। যারা বড়লোক তাদের ঘরে সুন্দরভাবে বিদ্যুৎ রয়েছে। সবকিছুতেই যেনো সাধারণ মানুষকে ভুগতে হয়। আবার দেখা যায় যে মানুষেরা বেশি পরিশ্রম করে তাদের কোন মূল্য থাকে না। যারা পরিশ্রম করে না, তারা শুধু মাত্র ঘুষ দিয়ে অনেক আরামে জীবনযাপন করছে।
" লোড শেডিং "
শীতের পরেই গরম শুরু,
বুকটা করে শুধু দুরুদুরু।
ক্লান্তি আর সূর্যের তাপে,
পুড়ে যায় যেন কাজের চাপে।
আবার দেখা দিবে লোডশেডিং,
করতে পারবো না তো কাজের সেটিং।
অনলাইনে কাজ আমার,
পাবো শুধু গরম আর লোডশেডিং এর সমাহার।
কপালে গাম আর পরিশ্রম,
সবকিছু সহ্য করি পার করি অতিক্রম।
পরিবারকে সুন্দর দেখতে,
কষ্ট করতে হবে প্রতিটা ক্ষেত্রে।
আমরা যারা পাবলিক আছি,
এই সবকিছু সহ্য করে বাঁচি।
খেয়ে, পড়ে বাঁচতে হলে,
গরমের যন্ত্রণা সহ্য করে চলে।
এই পৃথিবীর সুন্দর সব,
কষ্টগুলো সহ্য করি, থাকি নিরব।
পরিশ্রমের নেইতো দাম,
ঘুষ দিলে সব কিছুই আরাম।
এখন যেন এটাই ট্রেন্ডিং,
ফসলের জমিতে হচ্ছে বড় বড় বিল্ডিং।
আমরা শুধু সাধারণ মানুষ,
কষ্ট সহ্য করছে সকল নারী-পুরুষ।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | কবিতা |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
লেখক | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
আপু গরম আসার আগেই আপনি তো আপনার কবিতার মাধ্যমে আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে দিলেন হা হা হা। তবে দারুন লিখেছেন ভিন্ন ধরনের কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আগে থেকেই সতর্ক করে দিলাম আপনাদের, ভয় দেখাইনি ভাইয়া।
https://twitter.com/TASonya5/status/1761020748364149177?t=LZOQJ_6wgdtsorZ-lzupTg&s=19
সত্যি আপু আমার কাছে মনে হয় কবিতা লেখা অনেকটাই কঠিন। নিজের আবেগ দিয়ে কবিতা লিখতে হয়। আর আজকে আপনি দারুন একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। শীতকালে লোডশেডিং কম হলেও গরমকালে অনেক বেড়ে যায়। দারুন ছিল আজকের কবিতাটি।
আমাদের এদিকে তো আজকে সকাল থেকে কারেন্ট ছিল না। বিকেলের দিকে এসেছিল।
লোড শেডিং নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা আজ শেয়ার করেছেন। কবিতাটি ভীষণ ভালো লাগলো। কবিতার লাইনগুলো আমার ও যেনো মনের কথা।বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
আমার কবিতার লাইনগুলো একেবারে আপনার মনের মত হয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
সত্যি বলতে গরমের সময় লোডশেডিং এর প্রভাবটা যেন অনেক বেশি অস্বস্তিকর। যাহোক আপনার লেখা লোডশেডিং শিরোনামের কবিতাটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে কবিতার ভাষাগুলো এবং কবিতার ছন্দ অসাধারণ হয়েছে। চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছন্দ মিলিয়ে লোডশেডিং নিয়ে পুরো কবিতা সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করেছি।
আপু আপনি তো দারুন ক্রিয়েটিভ। গরমের আগমনের বার্তা নিয়ে লোডশেডিং এর যন্ত্রণার কথা মাথায় রেখে বেশ সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা কবিতাটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে লোডশেডিং এর যন্ত্রণায যারা ভোগ করে তারাই বলতে পারবে এর যন্ত্রণা কি। সব মিলে দারুন ছিল কবিতাটি আপু।
হ্যাঁ সবকিছু মাথায় রেখে সুন্দর করে কবিতাটা লেখার চেষ্টা করলাম।
শীতের সময় লোডশেডিং নিয়ে চিন্তা ছিল না। কিন্তু গরমকাল আসছে আর এই লোডশেডিং নিয়ে যেন চিন্তা ভাবনা চলে এসেছে। বিশেষ করে অনলাইনে কাজ করি আমরা যারা তাদের বেশি অসুবিধা হয়। আপনি লোডশেডিং নিয়ে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া এতদিন চিন্তা না থাকলেও, গরম কাল আসতেছে তাই চিন্তাভাবনা চলে এসেছে।
কবিতার নামটি খুবই সুন্দর আপু।তেমনি কবিতাটিও সুন্দর লিখেছেন, আসলেই কবিতা লিখতে অনুভূতির প্রয়োজন।সাধারণ মানুষ বরাবরই অত্যাচারের শিকার।গরমকালে খুবই লোডশেডিং দেখা যায়, সময় উপযোগী কবিতা লিখেছেন।ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু সাধারণ মানুষ বরাবরই অত্যাচারের শিকার।
আসলেই গরমকালের পাশাপাশি লোডশেডিং এর ব্যাপারটাও চলে আসতেছে। গরমের কালে তো লোডশেডিং কিছুক্ষণ পরপর হয় আর একটুও ভালো লাগেনা। কোন কাজও ঠিকভাবে করা যায় না এই লোডশেডিং এর কারণে। বিশেষ করে আমাদের মত মানুষদের জন্য এটা বেশি কষ্টকর। তুমি সব কিছুকে তুলে ধরেছো এই কবিতার মধ্যে, এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই কবিতার লাইন গুলোর মধ্যে তুমি বাস্তবতাকে অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছো। এত সুন্দর করে পুরো কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
ঠিক বলেছ তুমি, গরমের দিনে লোডশেডিং কিছুক্ষণ পরপর হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আমার লেখা কবিতা পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আর অল্প কিছু দিনের মধ্যে গরম চলে আসলে শুরু হয়ে যাবে লোড শেডিং এর যন্ত্রণা।আর এই যন্ত্রণায় ভুগতে হবে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কে। আসলে যারা বড়লোক মানুষ তারা হয়তো বিদ্যুৎ এর পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতি বের করে নিয়েছে ইতোমধ্যে। আজকে আপনি লোড শেডিং নিয়ে অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার লেখা কবিতা টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
অলরেডি গরম পড়া শুরু হয়ে গিয়েছে আস্তে আস্তে। আর এখন থেকেই লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে।