অরিগ্যামি : কাগজ দিয়ে চকলেট তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি কাগজ দিয়ে চকলেট তৈরি করলাম।
আসলে প্রতিনিয়ত সবাইকে দেখে আসছি রঙিন কাগজ কিংবা কাগজ ব্যবহার করে খুব সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র তৈরি করে। আমার কাছে ও এইসব জিনিসগুলো তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই জন্য একটু সময় পাওয়াতে ভাবলাম কিছু একটা তৈরি করি। যেহেতু আমার মেয়ে খুব ছোট তাই জন্য ভাবলাম চকলেট তৈরি করলে ও সেটা দিয়ে খেলতে পারবে। যদিও ভেতরে কোন চকলেট দেই নাই। আসলেই এই চকলেটের প্যাকেট গুলা তৈরি করার পর আমার মেয়ে দেখে ভীষণ খুশি হল। আমার যখন ছবি তোলা শেষ তখন ওকে দিয়ে দিলাম খেলার জন্য। যদিও পরবর্তীতে নষ্ট করে ফেলেছিল কিন্তু প্রথমে খুব সুন্দর ভাবে এগুলো পেয়ে খেলেছিল। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই অরিগ্যামি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই অরিগ্যামি তৈরি করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
• সাদা কাগজ
• কাঁচি
• গাম
• জল রং
• রংয়ের ব্রাশ
• স্কেল
প্রয়োজনীয় বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি কাগজ নিলাম। এরপর কাগজটাকে মাফ নিয়ে সমানভাবে দাগ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে কাগজটাকে একটু একটু করে সমানভাবে কেটে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে সমান কাগজটাকে কয়েকটা ভাজে ভাঁজ করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে রং দিয়ে দুই পাশের অংশে একটু ঢেউ এর মতো করে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে মাঝখানের অংশে মিল্ক লিখে ডিজাইন করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর এর নিচের অংশে কার্টুনের মত করে ডিজাইন করে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে আমি আবার কাগজটাকে ভাঁজ করে নিলাম। উপরে এবং নিচের অংশেও ভাঁজ করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর দুই পাশে কোনা করে খুব সুন্দর ভাবে কেটে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপরে চারপাশে কোন অংশগুলো কেটে নিলাম।
ধাপ - ১০ :
এরপরে চিকন সুতা দিয়ে কাটা অংশগুলোর ভাঁজ করে বেঁধে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো পোস্ট করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ডাই |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
৯০ দশকের সেই পুরনো চকলেট ৷ বাহ!!! অনেক সুন্দর করে বানিয়েছেন আপু ৷ একটা সময় ছিল যখন ৷ ১ টাকার চকলেট ৪/৫টা করে ৷ আর এখন সময়ের স্রোতে সব পরিবর্তন ৷ ভালো লাগলো আপনার রঙিন কাগজের তৈরি চকলেট ৷
ঠিকই বলেছেন এখন সময়ের স্রোতে সব পরিবর্তন। আগে এক টাকার চার-পাঁচটা চকলেট পাওয়া যেত। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ আপু আপনি তো দেখছি আজকে কাগজ দিয়ে দারুন দেখতে চকলেট তৈরি করে দেখিয়েছেন। চকলেট গুলো দেখতে দারুন লাগছে। আর চকলেট তৈরি করার পদ্ধতিটাও দারুন লেগেছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য এটা শুধু দেখতে পারবো খেতে পারবো না। যাইহোক ধন্যবাদ আপু আপনাকে কাগজ দিয়ে এই সুন্দর দেখতে চকলেট তৈরি করার প্রক্রিয়াটা আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রঙিন কাগজের জিনিস গুলো পেলে বাচ্চারা খুবই খুশি হয়। আমার বাচ্চারাই রঙিন কাগজের জিনিসগুলো দিয়ে খেলে তারপর নষ্ট করে ফেলে দেয়। আপনার রঙিন কাগজের তৈরি চকলেট টা খুবই সুন্দর হয়েছে। এজন্য তো আপনার মেয়ে পেয়ে খুবই খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি চকলেট তৈরি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ অনেক খুশি হয়েছিল আমার মেয়েটা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কাগজ দিয়ে চকলেট তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। এমনকি আমি আজকে কাগজ দিয়ে চকলেট তৈরি করেছি কালকে শেয়ার করব বলে। যাই হোক আপু আপনার সাথে আমার একেবারেই মিলে গেল। যদিও আমার তৈরি করা চকলেট গুলো একটু আলাদা রকমের হয়েছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
উৎসাহিতমূলক এত সুন্দর একটা মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
বেশ সুন্দর ক্রেয়েটিভ পোস্ট। রঙিন কাগজ দিয়ে কি সুন্দর করে আপনি চকলেট এর অরিগামি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে ধরনের রঙিন কাগজের চকলেট দেখলে তো বাচ্চারা আসল চকলেট বলে হুড় মুড় করে নিয়ে নিবে। তবে আপনার রঙিন কাগজের বানানো চকলেট গুলো কিন্তু দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে।
খুবই সুন্দর ভাবে মন্তব্য করেছেন সাজিয়ে গুছিয়ে। মন্তব্য পেয়ে ভালো লেগেছে।
আমি ভেবেছিলাম চকলেটের ফটোগ্রাফি করেছেন। কিন্তু পরে আপনার টাইটেল আর ধাপগুলো দেখে বুঝতে পারছি এটা রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো। কাগজ দিয়ে চকলেটের অরিগ্যামি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে চকলেট গুলোকে একেবারে বাস্তবিক দেখতে তাই আপনার কাছে মনে হয়েছিল আমি ফটোগ্রাফি করেছি। ধন্যবাদ
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণভাবে কাগজ দিয়ে চকলেট তৈরি করে শেয়ার করেছেন। যতই আপনার পোস্টগুলো দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি আপু। এত সুন্দর ভাবে কাগজ দিয়ে চকলেট তৈরি করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ উৎসাহিতমূলক মন্তব্যের জন্য।
কাগজ দিয়ে চকলেটের অরিগমি তৈরি করা দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা এই ভিন্ন ধরনের জিনিসটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। আপনিও এটা দারুন ভাবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
ওয়াও দারুন হয়েছে ছোটবেলায় এই ধরনের কাগজে মোড়ানো চকলেট অনেক খেয়েছি। আপনার চিন্তাভাবনা আইডিয়া দারুন ছিল আসলে চকলেটের ডিজাইন খুব সুন্দর হয়েছে। এইরকম চকলেট এখন পেলে সাথে সাথে খেয়ে ফেলতাম। আপনার মেয়ে খুবই খুশি হবে পেয়ে।
দোকান থেকে নিয়ে এসে খেয়ে নেন ভাইয়া। আসলে আমার মেয়ে অনেক খুশি হয়েছিল পেয়ে। মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।