নারিকেল আইসক্রিম রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নারিকেল আইসক্রিম রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
নারিকেল আইসক্রিম শব্দটা শুনলেই কেমন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। বিশেষ করে আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখা যেত বাড়ির সামনে রাস্তায় আইসক্রিমওয়ালারা আসতো। আর তখন তাদের কাছে ৫ টাকা দামের এইরকম নারিকেল আইসক্রিম পাওয়া যায়। আইসক্রিম গুলো খেতে যে কি যে মজা ছিল। এখন তো সেই আইসক্রিম ওয়ালাদের পাওয়াই যায় না। কিন্তু হ্যাঁ এখন অনেক সময় দোকানে এইরকম নারিকেল আইসক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু তাও খুব বেশি দোকানে থাকে না। কিছুদিন আগে আমার মেয়ে একটা বাচ্চার কাছে এই নারিকেল আইসক্রিম দেখে কান্না করছিল ও খাবে।
এইজন্য আমি ভাবলাম যেহেতু ও এখনো ছোট বাহির থেকে কিনে খাওয়ানোটা হয়তোবা স্বাস্থ্যকর হবে না। যদি আমি নিজেই তৈরি করে ফেলি তাহলে ই ওর জন্য ভালো। তখন নারিকেলও ছিল ঘরে। তাই আমি চেষ্টা করলাম নিজের মতো করে এই আইসক্রিমটা তৈরি করার জন্য। আসলে শুধু মেয়ের কথা বললে ভুল হবে। কারণ আমরা বড়রা ও এই আইসক্রিমটা বেশ পছন্দ করি। আর আমি যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে সেটা ছোট থেকে বড় সবাই খেতে পছন্দ করে। এটাতো তৈরি করার পর অনেক মজা হয়েছিল খেতে। সবাই খেয়ে তারপর বলছিল আবার তৈরি করার জন্য।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
নারিকেল কোরানো | ২ কাপ |
তরল দুধ | ২ কাপ |
পাউডার দুধ | ১/২ কাপ |
চিনি | ১/২ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি পাতিল এর মধ্যে দুধ নিয়ে নিলাম। এরপর চুলায় বসিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে দুধটা হালকা একটু গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে পাউডার দুধগুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। এভাবে চুলায় কিছুক্ষণ জ্বাল করব।
ধাপ - ৩ :
এরপর এর মধ্যে চিনি দিয়ে দিলাম। তার সাথে সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে একটু ঘন হয়ে আসলে এর মধ্যে নারিকেল কুড়ানো গুলো দিয়ে দিলাম। নারিকেল কুরানো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এভাবে সবকিছু কিছুক্ষণ জ্বাল করে একদম একটু ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিব।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি কয়েকটা জেলি বক্স এমন কি ছোট ছোট গ্লাস নিলাম আইসক্রিম গুলো বসানোর জন্য। এরপর সবগুলোর মধ্যে প্রথমে আমি কিছুটা নারিকেল দিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে আমি সবগুলো পাত্রের মধ্যে চুলা থেকে নামানো দুধটা একটু একটু করে দিয়ে দিলাম। এরপর সবগুলোর মধ্যে একটা একটা করে আইসক্রিম স্টিক দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে আমি সবগুলো ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলাম। এগুলো আমি সারা রাতের জন্য ফ্রিজে রেখে দিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরের দিন আইসক্রিম গুলো বের করে পাঁচ মিনিট প্রথমে অপেক্ষা করলাম। এরপর আইসক্রিম স্টিকটা একটু টান দিলে আইসক্রিম গুলো খুব সুন্দর ভাবে বেরিয়ে আসলাম। এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
সত্যিই নারিকেলের এই আইসক্রিম খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আমার কাছেও খেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমার তো ইচ্ছে করতেছিল তখন সবগুলো খেয়ে নিতে। আমার মনে হয় দোকান থেকে না কিনে ঘরে তৈরি করে সবাই একসাথে খেলে ভীষণ ভালো লাগবে।এখন যেহেতু গরম পড়ছে সেজন্য যে কোন সময়ই ফ্রিজ থেকে নিয়ে খাওয়া যাবে।
হ্যাঁ সেটা ঠিক তাই জন্য অনেকগুলো তৈরি করেছিলাম আস্তে আস্তে খাবো বলে। কিন্তু বেশি মজা হয়েছিল এজন্য শেষ হয়ে গেছে।
Hello friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
আমার ও এই নারিকেল আইসক্রিম খুব পছন্দের। আপনি অনেক সুন্দর করে আইসক্রিম বানানো ধাপগুলি উপস্তাপন করছেন। এখন ঘরে তৈরি করে খেতে পারব।অনেক ধন্যবাদ আপু
ঘরে তৈরি করে খেতে পারবেন যেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন একসময় বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে বাড়ির সামনে দিয়ে আইসক্রিম আলারা বলতে বলতে যেত নারিকেলের আইসক্রিম নারিকেল দুধের আইসক্রিম মাত্র পাঁচ টাকা।। এমন আইসক্রিম আমি খুব খেয়েছি টাকা দিয়ে ধান দিয়ে চাল দিয়ে মনে আছে এখনো ছোটবেলার কথাগুলো।।
আপনার মেয়ের আবদার রাখতে তো হয়ই তাই তো দেখলাম ঝটপট ভাষায় প্রস্তুত করে ফেললেন মজাদার নারিকেল আইসক্রিম দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল
আসলেই ভাইয়া গ্রাম অঞ্চলে বাড়ির সামনে এরকম আইসক্রিম ওয়ালা আসতো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার নারিকেলের আইসক্রিমের গল্পটা বেশ আকর্ষণীয়। আপনি যদিও নারিকেলের আইসক্রি ৫ টাকায় কিনে খেয়েছেন আর আমরা খেয়েছি মাত্র এক টাকা আটানায় পাওয়া যেত নারিকেলের আইসক্রিম। সেই সোনালী অতীতের কথা মনে করিয়ে দিলেন এবং নিজের বাচ্চার স্বাস্থ্য সচেতনতা কথা ভেবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করলেন নারিকেলের দারুণ আইসক্রিম। এত সুন্দর একটা রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলে ঠিক বলেছেন ভাইয়া সচেতনতার কথা চিন্তা করেই ঘরে তৈরি করলাম। বেশ মজা হয়েছিল কিন্তু।
ছোট বেলাটা জুরে আছে এই নারকেল মালাই এর সাথে।সেই আইসক্রিম ওয়ালা আসলেই টাকা নিয়ে ছুটে যাওয়া।আইসক্রিম এর পেছনে অনেক পছন্দের আইসক্রিম এটি আমার দারুন উপস্থাপনা করেছেন।
দেখছি সবার ছোটবেলা টাই বেশি দারুন ছিল। আইসক্রিমওয়ালার পেছনে ছোটা দিনগুলো সত্যি মনে পড়ে।
পুরনো দিনের স্মৃতি মনে পড়ল আপু।আমার ছোট বেলায় ১টাকা করে ছিল নারিকেল আইসক্রিম।বেশ লাগত খেতে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই এক টাকা ছিল সেটা অনেক আগের কথা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট বেলায় নারিকেল আইসক্রিম অনেক খেতাম। রাস্তায় পাশেই পাওয়া যেতো। অনেক দিন হয়ে গেলো নারিকেল আইসক্রিম খাওয়া হয়না। আমি ভাবতেছি আপনার রেসিপি দেখে বাসায় তৈরী করবো। আর সবাই মিলে জমিয়ে খাবো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অবশ্যই তৈরি করে দেখবেন বেশ মজা লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন সেই ছোট্ট বেলায় ৫ টাকা দিয়ে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া আইসক্রিমওলা রাস্তায় বেড়াতে বেড়াতে বাক্স শব্দ আর এই শব্দ শোনার সাথে সাথেই বাড়িতে কি বের হয়ে আইসক্রিমওলার পিছনে দৌড়ানো৷ সত্যি আজ শুধু মনে পড়ছে সেই দিনগুলোর কথা৷
তবে আপু এবার বছরে আমি আইসক্রিম খেয়েছি কিনা আমার নিজেরই মনে নেই৷ আর বর্তমান তো শীতের দিন আসতেছে তাই আইসক্রিম না হওয়াটাই ভালো৷ তবু আপনি বাড়িতে খাওয়ার জন্য বেশ স্বাস্থ্য সম্মতভাবে তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো৷ নিশ্চয়ই আজকের যে অনেক টেস্ট এবং কি মজাদার হয়েছে৷
আসলেই ছোটবেলার অনেক কথাই দেখছি আপনার মনে পড়ে গেল। সত্যি সেই দিনগুলো অনেক আনন্দের দিন ছিল।
আপনার নারকেলের আইসক্রিম দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। যখন অনেক ছোট ছিলাম ৫ টাকা দিয়ে নারকেলের আইসক্রিম গুলো কিনে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগতো। এখন অবশ্য মার্কেটে আইসক্রিম গুলো তেমন চোখে পড়ে না।আপনার নারকেলের আইসক্রিম দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। শিখে নিলাম এখন বাসায় তৈরি করে খেতে পারব। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
এখন একদমই কম পাওয়া যায় এই আইসক্রিম গুলো। অবশ্যই বাসায় তৈরি করবেন ভালো লাগবে।