DIY || এসো নিজে করি |👑👑 জন্মদিনের মুকুট তৈরি 👑👑
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি জন্মদিনের মুকুট তৈরি করলাম করলাম।
ছোট বাবুদের জন্মদিন উপলক্ষে অনেক সুন্দর সুন্দর মুকুট বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সেই মুকুট যদি নিজের হাতে তৈরি করা যায় তাহলে কেমন হয়। এইজন্য আমি নিজের হাতে মুকুট মুকুট তৈরি করে নিলাম। এক্ষেত্রে টাকাও আছে এমনকি নিজের হাতে তৈরি করার আনন্দ ও অনেক। এটা ছিল অনেকদিন আগের তৈরি করা। এটা আমি আমার মেয়ের প্রথম জন্মদিনের তৈরি করেছিলাম। এখন তো প্রায় ওর দ্বিতীয় জন্মদিন আসতে চলেছে। অনেকদিন ধরে এই পোস্ট আমার ফোনে ছিল। ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। মুকুট তৈরি করতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। এমনকি এই ধরনের মুকুটগুলো মাথায় লাগালেও বেশ ভালো লাগে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই মুকুট তৈরি করতে অনেকগুলো উপকরণ ব্যবহার করেছি। মুকুট তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই মুকুট করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের মুকুট আপনাদের ভালো লাগবে।
🎇 আঁকার উপকরণ 🎇 |
---|
• গ্লিটার পেপার
• সাদা প্লাসটিক
• পুঁতি
• কাঁচি
• হেয়ার ব্যান্ড
🎇 আঁকার বিবরণ : 🎇 |
---|
✴️ ধাপ 0️⃣1️⃣ ✴️ : |
---|
প্রথমে আমি একটি গোলাপি কালারের গ্লিটার পেপার নিলাম। এরপর আমি এখান থেকে একদম চিকন চিকন করে কিছুটা কেটে নিলাম।
✴️ ধাপ 0️⃣2️⃣ ✴️ : |
---|
তারপর পুরাতন একটা চিকন হেয়ার ব্যান্ড এর উপরে একটু একটু করে লাগিয়ে নিলাম।
✴️ ধাপ 0️⃣3️⃣ ✴️ : |
---|
এরপর আমি একদম সাদা রংয়ের পাতলা প্লাস্টিক নিলাম। এরপর পেন্সিল দিয়ে প্লাস্টিকের উপরে একটা ডিজাইন করে এঁকে নিলাম।
✴️ ধাপ 0️⃣4️⃣ ✴️ : |
---|
এরপর ওই ডিজাইনের উপরে চিকন করে কেটে নেওয়া গ্লিটার পেপার একটু একটু করে লাগানো শুরু করি।
✴️ ধাপ 0️⃣5️⃣ ✴️ : |
---|
এরপরে গোল গোল করে কিছুটা অংশের উপরে গ্লিটার পেপার লাগিয়ে নিলাম।
✴️ ধাপ 0️⃣6️⃣ ✴️ : |
---|
এরপর পুরো প্লাস্টিকের উপরে চিকন চিকন করে গ্লিটার বসিয়ে দিলাম।
✴️ ধাপ 0️⃣7️⃣ ✴️ : |
---|
এরপরে উপরের বাড়তি অংশের প্লাস্টিকটা একটু একটু করে কেটে নিলাম।
✴️ ধাপ 0️⃣8️⃣ ✴️ : |
---|
এরপর ছোট ছোট পতি নিয়ে ঘাম দিয়ে মুকুটের উপরের অংশগুলোতে লাগিয়ে নিলাম।
✴️ ধাপ 0️⃣9️⃣ ✴️ : |
---|
এরপরে মুকুটের উপরের অংশটা গাম দিয়ে ব্যান্ডের উপরে জোড়া লাগিয়ে দিব।
✴️ শেষ ধাপ ✴️ : |
---|
এভাবে আমি পুরো মুকুট তৈরি করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের মুকুট তৈরি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | পেইন্টিং |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
গ্লি টার আর্ট পেপার দিয়ে খুবই সুন্দর একটি জন্মদিনের মুকুট প্রস্তুত করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার রাজকন্যার মাথায়
আমার কাছে ভালো লেগেছে যেন খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু বাজারের কেনা জিনিস আর নিজের হাতের তৈরি জিনিসের মধ্যে বিস্তর ফারাক। নিজের হাতের তৈরি যে কোন জিনিসই ভালোলাগাটা এতটাই বেশি থাকে যা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। খুব সুন্দর করে আপনার মেয়ের জন্মদিনের মাথার মুকুট তৈরি করেছেন। আর সেই মুকুট পড়ে আপনার মেয়েকে পরীর মত লাগছে। মুকুট তৈরির প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাশাআল্লাহ কি কিউট বাবু।যাই হোক আসলেই জন্মদিনের নিজের হাতের মুকুট টা বেশ সুন্দর হয়েছে।পিংক কালার টা বেশ সুন্দর লাগছে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
সত্যিই নিজেদের হাতে ধরি যে কোন জিনিস বেশ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আইডিয়াগুলো কিন্তু আসলেই ইউনিক। দারুন দারুন সব পোস্ট করেন আপনি। আজকের টিও আমার কাছে দারুন লাগলো। জন্মদিনে এমন একটি মুকুট হাতে তৈরি করতে পারলে আসলেই অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কৌশল শেয়ার করার জন্য।
আমার সব কথা ভালো লাগে শুনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলছি আপু আমি জাস্ট অবাক হয়ে গেছি। আসলে গিটার আর্ট পেপার দিয়ে আপনি এত সুন্দর মুকুট তৈরি করেছেন দেখে আমার খুব ইচ্ছে করছে এমন একটি মুকুট তৈরি করি। আমার কাছে ভালো লাগে ছোটদের জন্য কিছু তৈরি করতে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বানিয়েছেন। এক কথায় অসাধারণ আমি চোখ ফেরাতে পারছি না।
কখনো তৈরি করে দেখবেন আমার কাছে দারুন লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এক কথায় অসাধারণ আপু। আপনি খুব সুন্দর করে গ্লিটার পেপার ব্যবহার করে আপনার মেয়ের জন্য মুকুট তৈরি করেছেন। সত্যিই আপনার কাজটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সাথে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কারুকাজ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নিজের হাতে এরকম কাজ করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই চমৎকারভাবে জন্মদিনের মুকুট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার তৈরি কিন্তু এই জন্মদিনের মুকুট তৈরি দৃশ্যটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই দক্ষতার সঙ্গে আপনি এটা তৈরি করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে দক্ষতার সাথে তৈরি করার চেষ্টা করলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি খুবই চমৎকার একটি মাথার মুকুট তৈরি করেছেন। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। একদম বাজার থেকে কিনা মুকুটের মতই। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি বাসায় একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব। আপনার আইডিয়াটা দারুন ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুকুট তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন তৈরি করার পর বাজার থেকে কেনা মুকুটের মতোই লাগছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার প্রতিটি ডাই প্রজেক্ট এক একটি আকর্ষন। আপনি সব সময় ইউনিক জিনিস আমাদের সাথে শেয়ার করে থাকেন। আজকে আপনি জন্মদিনের মুকুট তৈরি করেছেন। এটা বেশ ভালো লেগেছে আমার। বিশেষ করে আপনার মেয়েকে মাশাল্লাহ অনেক কিউট লাগছে।
আকর্ষণীয় পোস্ট করার চেষ্টা করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি অনেক সুন্দর একটি জন্মদিনের মুকুট তৈরি করেছেন। এটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি অবশ্যই বাসায় এটি তৈরি করব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
অবশ্যই তৈরি করবেন আমার কাছে ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।