আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আবোল তাবোল কিছু কথা।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।
আমাদের সবারই নিজস্ব আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। নিজ পরিবার আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলেই একটি জীবন হয়। মাঝে মাঝে কিছু বিষয় থাকে যেগুলোর কারণে আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্ক ঠিক রাখাটা খুব দুষ্কর হয়ে যায়। তেমনি একটি বিষয় আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কিছু কিছু বিষয় মনের মাঝে গেথে থাকে কাটার মত। যেগুলো কোনদিনও ভোলার মত নয়।
আমাদের বিয়ে হয়েছে আজ পাঁচ বছর। তখন থেকে আমার স্বপ্ন ছিল আমি আর আমার হাজব্যান্ড একসাথে কিছু করার। আমরা অনেক আনন্দিত যে আমরা একসাথে এই প্লাটফর্মে কাজ করতে পারতেছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক শুকরিয়া এজন্য। সৃষ্টিকর্তার জন্যই হয়তো সব সময় ২৪ ঘন্টা একসাথে থাকতে পারি। দুজনের সুখ দুঃখ দুজনের মধ্যেই রাখি। বাহিরের জগতের কেউই আমাদের সুখ দুখের কথা জানেনা। সুখের বিষয় জানলেও কখনো দুঃখের কিছুই শেয়ার করি না।
পাঁচ বছর আগেও আমাদের সম্পর্ক ছিল দুই বছরের। তাকে খুব ভালোভাবে চিনি আজ সাত বছর। আসল কথায় আসা যাক। দীর্ঘদিন যাব ত আমার হাজব্যান্ড অনেক কিছুই করতে চেয়েছিল। অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য সহ কোন কিছু বাদ ছিল না। আমরা দুজন উদ্যোগ নিয়েও অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছি কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে করা হয়নি। সর্বশেষ দুইজন একসাথে একটি ব্যবসা করার চিন্তা করেছিলাম।
ব্যবসাটির সম্পর্কে অন্য আরেকদিন অন্য আরেকটি পোস্টে শেয়ার করব। আমরা দুজন যখন ব্যবসা শুরু করতে চাইলাম তখন আমাদের হাতে খুবই কম টাকা ছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল দুইজন একই জায়গায় থাকবো এবং ব্যবসা করব। দীর্ঘদিন যাবত অনেকের কাছেই টাকা চাইলাম। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এমন কোথাও বাকি ছিল না যেখানে টাকা চাইনি। আমরা দুজন অনেকের কাছেই অনেক ছোট হয়েছিলাম। অনেক কটু কথাও শুনেছি। সবাই বলে দুইজন একসাথে কিভাবে ব্যবসা করবে। কিন্তু আমাদের কনফিডেন্স ছিল আমরা দুজন একসাথে থাকলে যে কোন পরিস্থিতিতে আমরা ব্যবসার দাড় করাতে পারবো।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য তেমন কারো থেকে আমরা সাহায্য পেলাম না। উল্টো অনেক কটু কথা বলতো। দুই একজন উৎসাহ দিয়েছে ঠিকই কিন্তু টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ ছিলাম। পরবর্তীতে আমরা যখন ব্যবসার সম্পর্কে সবাইকে তুলে ধরলাম সবাই অনেক অবাক হয়ে গেল। সবাই বলেছে আসলেই ব্যবসাটি করতে পারলে অনেক দূর আগানো সম্ভব। ব্যবসার মূল থিম আমরা কারো সাথে শেয়ার করিনি। মোটামুটি এর মধ্যে যা শুনেছে খুশি হয়েছে।
তখনই ঘটলো আসল ঘটনা। অনেকেই ব্যবসায় শেয়ার হতে চাইলো। অনেক ভালো ভালো এমাউন্ট দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু আমাদের দুজনের জেদ ছিল আমরা শেয়ারে কিছু করবো না। প্রয়োজনে ব্যবসায়ী করব না। কিন্তু সবার কাছে যখন আমরা দুজন প্রথমে টাকা চেয়েছি কেউই টাকা দিবে বলেনি। সবাই বলেছে তাদের কারো কাছেই টাকা নেই। কিন্তু শেয়ারের জন্য যত টাকা লাগে দিতে পারবে। এই হলো অবস্থা। আমরা দুজন পরে ডিসিশন চেঞ্জ করলাম। আমরা ব্যবসা বাদ দিয়ে দিলাম। কিন্তু এখনো আমাদের দুজনের ইচ্ছে আছে যদি কখনো ভালো টাকা পয়সা হয় আমরা দুজন একসাথে ব্যবসা করব। এর কিছুদিন পরেই steemit প্ল্যাটফর্ম পেলাম । দীর্ঘ দুই বছর কাজ করতেছি একসাথে। এবং খুব ভালোই আছি। এ ধরনের আত্মীয়-স্বজন থেকে দূরে থাকাটা খুবই দরকার। এ বলে ঘটনাটি শেষ করলাম। আবোল তাবোল হলেও আমাদের সবারই আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এমন আত্মীয়-স্বজন রয়েছে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
এ ধরনের আবোল তাবোল কাহিনী অনেকের জীবনেই আছে। নিজের না থাকলে তখন কারো কাছে হাত পাতলে পাওয়া যায় না কটু কোথায় শুনতে হয়। এজন্য নিজের যা আছে তাই নিয়েই থাকা উচিত অন্যের কাছে হাত না পাতাই ভালো। আপনারা দুজন মিলে এখন একই প্লাটফর্মে কাজ করছেন এটাই ভালো একটি উদ্যোগ। আপনাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু নিজের না থাকলে অন্যের ভরসা করা উচিত না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ঠিকই বলেছেন এ ধরনের কিছু আত্মীয় আসলে সব ফ্যামিলিতেই থাকে।সাহায্য তো দূরে থাক কটু কথা বলতে তারা ছাড়ে না।অন্যদিকে যারা উৎসাহ দেয় তাদের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য থাকেনা।তারপর টাকা নেই আবার তারা শেয়ারে থাকতে প্রস্তুত।এসকল আত্মীয়দের সাথে ব্যাবসা না করে ঠিকই করেছেন আপু।যাইহোক আপনারা দুজন একসাথে স্টিমিট এ কাজ করতে পারছেন এটা সত্যি অনেক আনন্দের।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য, বাস্তভিত্তিক ছিল পোস্টটি।
আমিও মনে করি এরকম আত্মীয় থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ঠিক বলেছেন সব ফ্যামিলিতেই এমন আত্মীয় স্বজন আছেন।আমার মনে হয় এদেরকে দেখিয়ে দিতে তাদের সাহায্য ছাড়াও কিছু করতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ আপু আবোল- তাবোল হলেও সত্যিকারের চিত্র তুলে ধরার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু তাদেরকে দেখিয়ে দিতে পারলেই ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এক সাথে থাকার জন্য এত কিছু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ধরনের কাহিনী সব পরিবারেই দেখা যায় আপু। এরকম আত্মীয়-স্বজন নেই এরকম কোন পরিবারই পাওয়া যাবে না। এরকম আত্মীয়-স্বজন সত্যিই কোনো কাজের না । তারা সুসময়ের বন্ধু হতে চাই কিন্তু দুঃসময়ের বন্ধু হতে চায় না। এরকম আত্মীয়-স্বজন থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনারা দুজন মিলে এভাবেই কাজ করে যান এই প্লাটফর্মে। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে ঠিক বলেছেন আমিও মনে করি সবার এরকম আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। এইসব আত্মীয়-স্বজন থাকার চেয়ে না থাকা ভালো।
আপু পরিবারের আত্মীয়-স্বজনগুলো সব সময় এরকমই হয় বোধ হয়। টাকা চাইলেই সবাই বেকে বসে। কারোর কাছেই টাকা থাকে না তখন। সত্যি বলতে এরকম পরিস্থিতি আমার পরিবারও এক সময় ফেস করেছে। সবাই স্বার্থের জন্য মনে হয় শুধু কাছে আসে। তবে এটুকু বলব দুজন দুজনের ঢাল হয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। একদিন না একদিন ঠিক দাঁড়িয়ে যাবেন এবং স্বপ্ন গুলো হাতের মুঠোয় চলে আসবে।
এটা আমিও বিশ্বাস করি দুজন একসাথে থাকলে সব কিছু করা সম্ভব হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন আপু,উপকার করার বেলায় থাকুক আর না থাকুক স্বার্থের বেলায় সবাই হাজির হয়ে যায়।তবে কিছু কিছু লোক এমনও আছে যারা উপকারীর উপকার করার কথা তো দূরে থাক সেটা স্বীকার করতেও লজ্জা পায়।কিন্তু তারা নিজেকে খুবই বড় মাপের মানুষ মনে করে।এমন অনেক আত্মীয় স্বজন আমাদের সবারই কেউ না কেউ থাকে।
আসলে সবাই স্বার্থের কথা চিন্তা করে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।