নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৬ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৬ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম চম্মনের বাবা তার মেয়ের বাড়িতে এসেছে চম্মনকে নিয়ে। এখন এর পর থেকে দেখবো। এই পড়বে দেখলাম চম্মন এবং তার বাবা চম্মনের বোনের বাড়িতে এসেছে। এরপর তারা সেখানে বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত কথা বলতে থাকে এবং তর্ক ও করতে থাকে। সায়েম ফকির তার শ্বশুরের সাথে কিছুটা খারাপ ব্যবহারের মত করে কথা বলার কারণে, তার শশুর সেখান থেকে চলে গিয়েছিল চম্মন কে নিয়ে। চম্মনকে বলে তার বাবাকে যেন তাড়াতাড়ি করি কাদের ফকিরের কাছে নিয়ে যায়। এরপর চম্মন তার বোনের বাড়ি থেকে বের হয় কাদের ফকিরের বাড়িতে যাওয়ার জন্য।
এরপর দেখা যায় চেয়ারম্যানের মেয়েকে, তার কাছে তাদের কাজের মেয়ে ফুলি এসেছিল। এরপর তখন চাঁদনী অর্থাৎ চেয়ারম্যানের মেয়েকে বলে দোকানে যখন গিয়েছিল, তখন সে দেখেছিল অনেকগুলো লোক মেম্বারের বাড়িতে যাচ্ছে তার ছেলেকে দেখার জন্য। এরপরে এভাবে কিছুক্ষণ তাঁরা কথা বলে। তারপরে চাঁদনীর রুম থেকে ফুলি চলে যায়। এরপর কয়েকজন ফকিরকে দেখা যায় কাদের ফকিরের বাড়িতে। তারা বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত অভিশাপ নিয়ে কথা বলছিল কাদের ফকিরের সাথে। কিছুক্ষণ পরে সেখানে চম্মন তার বাবার সাথে আসে।
এরপর কাদের ফকিরের সাথে তার বাবা কথা বলে, যেন ওনার পেটের বাচ্চা দূর করে দেয় এবং ওনাকে ক্ষমা করে দেয়। তখন ওখানে সায়েম আসে এবং কিছুক্ষণ পর্যন্ত সবাই মিলে তর্ক করে। এরপর কাদের ফকির চম্মনেল বাবাকে মাটির মধ্যে শুয়ে যেতে বলে। তারপরে কিছুক্ষণ পর বলে 5000 টাকা দিলে সে দূর করে দিতে পারবে। এরই মধ্যে তার 5000 টাকা লাভ হয় জাদুর মতো কিছু একটা করে এবং বলে তার বাচ্চা চলে গিয়েছে। তারপর সবাই সেখান থেকে চলে যায়। এরপর চাঁদনী এবং ফুলিকে দেখা যায়। তখন তাদের সাথে মেম্বারের ছেলের দেখা হয়। তারপরে চাঁদনী এবং মেম্বার এর ছেলে প্রিন্স বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত তর্ক করছিল।
কিছুক্ষণ তর্ক করার পরে প্রিন্স সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে চম্মন এবং তার বাবাকে দেখা যায় বসে রয়েছে। আর ফকিরদের কে নিয়ে কথা বলছিল। তখন সেখানে একটা লোক আসে এবং চম্মনের বাবাকে কাদের ফকিরের অভিশাপের কথা জিজ্ঞেস করতে থাকে। তারপরে তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর লোকটা চলে যায়। এরপর চম্মন এবং তার বাবা আরো কিছুক্ষণ কথা বলে, তারপরে তারা বাড়িতে চলে যায়।এরপর চান্দু মর্জিনার বাড়িতে যায়। আর মর্জিনার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর সেখানে তার বাবা চলে আসে। মর্জিনার বাবা বলেছিল তার মেয়েকে কখনোই চান্দুর কাছে বিয়ে দেবে না। তাই চান্দু মরে যাবে বলে সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর প্রিন্সকে দেখা যায় তার বন্ধুর সাথে দেখা করতে। তারা সেখানে কিছুক্ষণ পর্যন্ত কথা বলে এবং ফকিরদের কে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলে। তার বন্ধু ও অভিশাপের ব্যাপারে কিছুটা ভয় পাচ্ছিল। তবে প্রিন্সকে কিছুক্ষণ সান্ত্বনা দেয়। তারপরে আবার তার বন্ধু তাকে বাচ্চার কথা বলে এবং এর জন্য প্রিন্স রেগে যায়, আর সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে তার বন্ধুও চলে যায়। এরপর রতন ফকিরকে দেখা যায় মানিককে খুজতেছে। রবির কাছে জিজ্ঞেস করলে সে কিছুই বলে না। বরং তারা আরো তর্ক করছিল। এরপর রতন সেখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে মানিককে দেখা যায় সায়েমের বাড়িতে আসতে। এবং সায়েমের স্ত্রীর সাথে কথা বলছিল আর তার বাবা এবং বোনের কথা জিজ্ঞেস করছিল।
তারা যখন কথা বলছিল তখনই সেখানে সায়েম ঘর দেখে চলে আসে। আর মানিক ফকিরকে জিজ্ঞেস করতে থাকে সে কেন এখানে এসেছে। তারপরে তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক হয়। তর্ক করার সময় মানিক ফকির বলে ফেলেছিল, সে সায়েমের শালিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেছি। এই কথাটা শুনেই সায়েম মানিক ফকিরকে দৌড়াতে শুরু করে। আর মানিক ফকির পালিয়ে যায়। তারপরে সায়েম তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে থাকে এসে। এরপর দেখা যায় একজন রোগ বরিশাল থেকে ছাগল বিক্রি করে মেম্বারের ছেলেকে দেখতে এসেছে। আর এই কথা শুনে মেম্বার অনেক বেশি রেগে গিয়েছিল। আর তখন মেম্বার তার স্ত্রীকে বলে যেন তার জন্য একটা লাঠি নিয়ে আসে। এরপর লাঠি দিয়ে ওই লোকটাকে দৌড়াতে থাকে। আর এখানেই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়। এখন পরবর্তী পর্বে কি হয় এটাই দেখব।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকের এই পর্ব টাও দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এই নাটকের মধ্যে একটা গুজব ঘটনা নিয়ে এত বেশি তোলপাড় হচ্ছে এই বিষয়টাই সব থেকে ভালো লেগেছে। আসলে অসুস্থতা মানুষের মনের ভুলেও হয়ে থাকে। আমরা অনেকে যদি অসুস্থ না হয় কিন্তু মস্তিষ্কে চিন্তা করি অসুস্থ তাহলে কিন্তু অসুস্থতা অনুভব করি। তেমনি এই নাটকের মধ্যেও কাহিনীটা কে এইভাবে সাজানো হয়েছে। গর্ভবতী না হয়েও চম্মনের বাবা সেটা অনুভব করছিল। আসলে এটা একটা মনের ভুল। আবার বিশ্বাস করার মধ্যেও মিলিয়ে গেল। আসলে নাটকটা বেশ মজার ছিল। আমার কাছে প্রত্যেকটা পর্বই ভীষণ ভালো লাগছে দেখতে। আর নাটকটা অনেক বেশি হাসির নাটক। আশা করি আমার নাটকের রিভিউটা আপনাদের ভালো লাগবে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1741783212534468661?t=z2K91i0OtSuFndp9jvoJ3w&s=19
ফকির গ্রাম নাটকটি আমি মাঝে মধ্যে দেখি ভীষণ হাসি পায়। আজকে নতুন পর্ব রিভিউ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ঈগল টিমের সবাই বেশ সুন্দর অভিনয় করে। পরিবারের সবাই মিলে দেখলে আরো বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ফকিরগ্রাম নাটকের রিভিউ পেয়ে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। আমার নিজের অনেক হাসি পায় তবে এই নাটকটা অনেক মজার।
ব্যস্ততার কারণে নাটক আমার তেমন একটা দেখা হয় না। তবে মাঝে মাঝে রিভিউ পোস্টগুলো পড়লে তখন নাটক দেখার ইচ্ছা জাগে। যাইহোক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আমার নিজেরও দেখা হয় না তবে মাঝে মাঝে দেখার চেষ্টা করি। বুঝতেই পারছে ভাইয়া আপনি অনেক বেশি ব্যস্ত মানুষ তাই দেখতে পারেন না। মাঝে মাঝে ব্যস্ততার মাঝেও দেখা উচিত। তাহলে নিজের কাছেও ভালো লাগে।