লাইফ স্টাইল :- হঠাৎ করে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আসলে মাঝে মাঝে বাইরে খেতে যেতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সময় দেখা যায় কোন প্ল্যান ছাড়াই খেয়ে থাকি। কিছুদিন আগে আমার বোনসহ সন্ধ্যেবেলায় বাজারে গিয়েছিলাম একটা কাজে। মূলত আমাদের এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলাম প্রথমে। একজন রোগী দেখতে গিয়েছিলাম আমরা। যেহেতু সবসময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকি। তাই জন্য খুব একটা বেরোনো হয় না। এজন্য ভাবলাম যেহেতু একটা উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম, আসার সময় আমরা একটু যখন আসতেছিলাম, চোখের সামনেই একটা রেস্টুরেন্ট পরল।
আসলে মাঝে মাঝেই এই রেস্টুরেন্টে আমাদের খাওয়া হয়। রেস্টুরেন্ট চোখে পড়াতেই ভাবলাম কিছু একটা খাওয়া যাক। তবে এই রেস্টুরেন্টটা মূলত কাচ্চি বিরিয়ানি , চিকেন বিরিয়ানি এবং বিভিন্ন বিরিয়ানির জন্যই বেশি ভালো। তো আমরা চলে গেলাম রেস্টুরেন্ট এর ভেতরে। ভেতরে গিয়ে বসার পরে চিন্তা করতে লাগলাম কি খাওয়া যায়। চিন্তা করতে করতে অনেকটা সময় লেগে গেল। পরবর্তীতে ভাবলাম কাচ্ছি বিরিয়ানি খাওয়া যাক। আসলে এর আগে আমি কয়েকবার এখানে এসে খেয়েছিলাম। এদের কাচ্চি বিরিয়ানিটা খেতে খুবই ভালো লাগে।
তাই জন্য আর কিছু না ভেবে সেটাই অর্ডার করে দিলাম। বিরিয়ানি আসতে আসতে আমরা কিছুক্ষণ কথা বলছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই চলে আসলো খাবার। খাবার আসলে আমরা খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দিলাম। তবে এরই মাঝে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ফটোগ্রাফি করাটা আসলে এখন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের একটা অংশ। বিশেষ করে এখন যেখানেই যাওয়া হয় ফটোগ্রাফিটা করা হয়। তবে সেদিন কিন্তু খেতেও ভীষণ ভালো লেগেছে।
আমার কাছে আবার কাচ্চি বিরিয়ানির মধ্যে ভেতরের মাংসটাই খেতে বেশি ভালো লাগে। কারণ এগুলো খুবই সফট হয়ে থাকে। এজন্য আমি বেশিরভাগ সময় খেতেও পছন্দ করি। আসলে আমাদের কোন তাড়া ছিল না তাই জন্য আস্তে আস্তেই খাচ্ছিলাম। তবে খেতে খেতে আমরা বেশ ভালোই কথা বলছিলাম। আসলে আমার কাছে এইসব মুহূর্তগুলো ভীষণ ভালো লাগে। খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত প্রায় শেষের দিকে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারো হাত ধুয়ে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। এটা পর আবার একটা কোল্ড ড্রিংকস খেয়েছিলাম।
বিরিয়ানি খাওয়ার পর কোল্ড ড্রিংকস খেতেও ভালো লাগে। খাওয়া শেষ হলে এরপর আর বেশিক্ষণ এখানে বসিনি। ওয়েটার আসলে তাকে বিল দিয়ে দিলাম। বিল দিয়ে আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পড়লাম। যেহেতু রাতের বেলা তার জন্য আর অন্য কিছু না ভেবেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে আবার বেশিক্ষণ বাইরে না থাকাটাই ভালো। তবে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা কিন্তু ভীষণ ভালোই লেগেছে। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আত্মীয়ের বাসায় রোগী দেখতে গিয়ে হাতে সময় থাকার কারণে বাইরে থেকে খাওয়া-দাওয়া করে এসেছেন। মাঝেমধ্যে প্ল্যান ছাড়া এরকম বাইরে খাওয়া-দাওয়া করতে ভালোই লাগে। আপনারা সবাই মিলে কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই খুবই ভালো সময় এবং খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। খাওয়া দাওয়া তো ভালোই হয়েছিল।
একদম ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে বাইরে খেতে যাওয়ার মজাই আলাদা। পরিবারকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে কাচ্চি বিরানী পছন্দ করে খেয়েছেন। যেটা আমিও খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনাদের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্তটা দারুন ছিল। অনেক ব্যস্ত থাকেন সেটা আমরাও জানি তার মধ্যে থেকেই এরকম সুন্দর মুহূর্ত ফিরে আসুক। সেটাই প্রত্যাশা করি।
কাচ্চি বিরিয়ানি আপনিও খেতে পছন্দ করেন শুনে ভালো লাগলো।
হঠাৎ করে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ আসলে কিন্তু বেশ ভালই লাগে ।আমিও মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে যেয়ে খেয়ে থাকি। তবে হুট করে যাবার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায়। আপনাদের যেহেতু যাবার কোন প্ল্যান ছিল না হঠাৎ করেই খাওয়া-দাওয়া করলেন ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই হবে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপু। হ্যাঁ খাবার তো বেশ ভালোই হয়েছিল।
আসলেই আপু মাঝে মাঝে বাইরে এরকম খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হলে মনটা ভালো হয়ে যায়। কাচ্চি বিরানী আমারও বেশ পছন্দের একটি খাবার। আর খাওয়ার সময় গুলো যদি একটু আস্তে ধীরে খাওয়া যায় তাহলে আরো বেশি মজা লাগে। আর বিরিয়ানি কিংবা কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার পর কোল্ডড্রিংস খেতে পারলে বেশ মজাদার লাগে আপু। পরিবারসহ রেস্টুরেন্টে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক কথা বলেছেন কাচ্ছি বিরিয়ানি খাওয়ার পর যদি কোলড্রিংস খাওয়া হয়, তাহলে তো আরো বেশি মজা লাগে।
আসলে আমরা নিজেকে কাজের মধ্যে এতটাই ডুবিয়ে রেখেছি অন্য কোথাও যাওয়ার সময় সুযোগ দুটাই হয়ে ওঠে না। রোগী দেখতে গিয়ে আপনারা রেস্টুরেন্টে খেয়েছেন। রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি খেয়েছেন পাশাপাশি কোলড্রিংস খেয়েছেন। এর মানে বোঝাই যাচ্ছে বেশ মজা করেই খেয়েছেন। খাবারের এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে কাচ্চি বিরিয়ানি অনেক মজাদার হয়েছিল, আর খেতেও খুব ভালো লেগেছে।
আপনার রেস্টুরেন্টের খাওয়া দাওয়ার সুন্দর একটা মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আমিও কাচ্চি বিরিয়ানি খুবই ভালো বাসি।আমিও বাইরে গেলে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টে ঢুকে পরি।যাইহোক আপনার এই সুন্দর মূহুর্তটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু নিজের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমাদের কাচ্ছি বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্তের পোস্ট পড়ে আপনার কাছে খুবই ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
ঠিক বলছেন আপু মাঝে মধ্যে বাইরে যেয়ে খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে এমনই হয় কোন প্ল্যান ছাড়াই হুট করে মনটা ছুটে যায় বাইরে। যেহেতু কাজে গেলেন সেই ফাকে রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন। কাচ্চি বিরিয়ানি দেখে আপু লোভ সামলানো যাচ্ছে না। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন কোল্ড ড্রিংকস খেলেন। খুব সুন্দর একটি আনন্দময় মুহূর্ত কাটালেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপু বেশি নজর দেবেন না আবার, না হলে তো পেট ব্যথা করবে আমার।
হঠাৎ করে খাওয়া-দাওয়া করতে ভীষণ ভালই লাগে। আপনি ও রকি ভাইয়া মিলে বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন রেস্টুরেন্টে। আপনারা আত্মীয়র বাসায় এই রোগী দেখতে গিয়েছিলেন এবং কাজের ব্যস্তর মাঝেও বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করছেন।খুব ভালো একটা মহৎ উদ্যোগ। হাজারো ব্যস্ততার মাঝে পরিবারকে সময় দেওয়া। ভীষণ ভালো লাগলো মুহূর্তটি।
যেহেতু বাহিরে বের হয়েছিলাম তাই ভাবলাম খাওয়া-দাওয়া করা যাক। সবাই একসাথে খাওয়ার কারণে ভালো লেগেছিল অনেক বেশি।
মাঝেমধ্যে এমন হঠাৎ রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার মজাই আলাদা। ঠিক তেমনি সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। আশা করি দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনারা সবাই মিলে।
মাঝে মাঝে এরকম খাওয়া দাওয়া করার মধ্যে আনন্দ রয়েছে। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা।
আপু কোনো প্লেন ছাড়াই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ ভালো লাগে। আমিও যদি কখনো বাহিরে যাই তখন চিন্তা করি বাহিরে যখন আসা হয়েছে তাহলে কিছু একটা খাওয়া যাক। আপনারা রোগী দেখতে গিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক সময় সময়ের অভাবে বাহিরে যাওয়া হয় না। তবে হঠাৎ এভাবে ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া করতে খুবই ভালো লাগে। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি আপনারা খুব সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। ঠিক বলেছেন আপু ফটোগ্রাফি গুলো যেন আমাদের কাজেরই একটা অংশ। বিরিয়ানি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজাদার ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু প্ল্যান ছাড়া রেস্টুরেন্টে মাঝেমধ্যে খাওয়া দাওয়া করলে খুব ভালো লাগে। খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি যেন মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে ভাগ করে নিতে পারি।