তুর্কী সিরিজ রিভিউ : " জান্নাত " ( পর্ব ৯)
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি তুর্কী সিরিজ জান্নাত এর নবম পর্ব নিয়ে আসলাম। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম মাহিরের বাবা একটা লোক পাঠিয়ে মাহির সম্পর্কে সব কিছুই জেনে গিয়েছে.
সিরিজটির সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
সিরিজটির নাম | " জান্নাত " |
---|---|
পর্ব | ৯ |
পরিচালনা | সাদুল্লাহ জেলেন |
বাংলা ডাবিং পরিচালনা | দীপক সুমন |
লাইন প্রডিউসার | মাহাবুব মারুফ |
নির্বাহী প্রযোজক | মুসফিকুর রহমান মন্জু। |
অভিনয়ে | আলমিলা আদা ( জান্নাত), বার্ক আমান (সেলিম), জেহরা ইলমা (মেলিসা), এসরা রোনাবার (আরজু), গুলার ওকতআন (বিলকিস), চিচেক আজার (শারমিন), হাকিম করমুকচু (মাহির), শেরচান গুলায়রিয়ুজ (মেহেদী), ইউসুফ আকগুন (ফারহান), এব্রু দেস্তান (শবনম), আলি ইপিন (রেজা), সুয়েদা চিল (রুনা)। |
স্টুডিও ডিরেক্টর | শুভ্রা, শম্পা, মারুফ, সঞ্জয়, এলিন। |
ভিডিও এডিটর | রাকিব হাসান এনি |
টাইটেল ও প্রমো | অনুপ কুমার বিশ্বাস। |
প্রধান উপদেষ্টা | নওয়াজাদ আলি খান |
মূল ভাষা | তুর্কী |
মূল কাহিনী
এ পর্বের শুরুতেই দেখতে পেয়েছি মাহির রাতে বাড়িতে ফিরেছে। তখনই নিচে শুধুমাত্র তার বাবাকে বসে থাকতে দেখল। সবার কথা জিজ্ঞেস করাতে তার বাবা বলল, তোমার সাথে কথা আছে এদিকে আসো সবাই উপরে। তখনই মাহির যখন আসলো তখন সে বলল মিটিংয়ের ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই। কিন্তু তার বাবা বলল তুমি কি আমাকে বাচ্চা ভাবো। তুমি আমাকে মিথ্যে বলা শিখে গিয়েছো। এই কথাটা শুনে মাহির বুঝতে পেরে গিয়েছে তার বাবা সবকিছু জেনে গিয়েছে। তখন সে বলল তুমি কি আমার পেছনে আবারো লোক পাঠিয়েছো। এই কথাটা শোনার পরে মাহিরের বাবা বলতে লাগলো তুমি তোমার অতীতটাকে কবে পেছনে ফেলে আসবে।
আর্য যদি জানতে পারে তাহলে কি হবে। এই কথা বলতে না বলতেই মেলিসার মা কথাটা শুনতে পেরে গিয়েছে। কথাটা শোনা মাত্রই বলতে লাগলো আমি জানতে পারলে কি হবে কি কথা তোমরা বলছ। তখনই বাবা ছেলে দুইজনে হাসতে লাগলো আর তার বাবা বলতে লাগলো আসলে তোমাদের দুজনের অস্ট্রেলিয়া থেকে ঘুরে আসার কথা বলছিলাম। কিন্তু সেটা তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। এটা শুনে আর্য নিজের শশুরকে জড়িয়ে ধরল আর হাসতে হাসতে বলল এখন আমি ছুটি কাটাতে চাই না। দুবাইয়ের প্রজেক্টটা শেষ হলেই পরে যাওয়া যাবে। এসব কথা বলে চলে গেল।
অন্যদিকে জান্নাতে নিজের ঘরটাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে সবকিছু আবার নতুন ভাবে সাজিয়ে নিয়েছে। কিন্তু জান্নাতের দাদি তাদের একটা ফ্রেম নিয়ে আসলো যেখানে জান্নাত আর দাদির ছবি ছিল। আগুন লেগেছিল যে ওই সময় ফ্রেমটাও পুড়ে গিয়েছে। তখনই জান্নাত বলল আমি কালকে সকালে নতুন একটা নিয়ে আসব। কিন্তু জান্নাতের দাবী বললো আমি এটার ব্যবস্থা করছি তুমি কালকে অফিসে যাবে। পরের দিন সকালে জান্নাত ওর দাদিকে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়েছে। তখনই জান্নাতের বোন বলতে লাগলো তুমি এখন কোথায় যাবে তোমার চাকরিটা তো আর নাই। জান্নাত আসলে নিজের দাদির করা একটা কাজ করতে যাচ্ছিল।
ওই কাজটা খুবই নির্মানের ছিল। তখনই জান্নাতের বোন বলতে লাগলো তুমি কি এই কাজটা করতে পারবে। জান্নাত বলছিল দাদি যখন করতে পারতো আমিও পারবো। আর আমি নিশ্চয়ই তাড়াতাড়ি একটা ভালো চাকরি পেয়ে যাব। এটা বলেই জান্নাত ওর দাদির কাজের জায়গায় চলে গেল। কিন্তু অন্যদিকে সেলিম অফিসে গিয়ে জান্নাতের কেবিন দেখতে লাগলো জান্নাত এসেছে কিনা। কিন্তু সেলিম জান্নাতকে দেখতে পেল না। তখনই সে বেরিয়ে গেল। আসলে সেলিম জান্নাতের বাড়িতে আসলো আর তখনই বৃষ্টির সাথে দেখা হলে বলল জান্নাত কোথায়। বৃষ্টি বলল জান্নাত আপু কাজে গিয়েছে।
কিন্তু জান্নাত অফিসে যায়নি এজন্য সেলিম জিজ্ঞেস করতে লাগলো সে কোথায় গিয়েছে। বৃষ্টি বলতে চাইছিল না কিন্তু সেলিম জোর করাতে বৃষ্টি বলে দিল আসলে জান্নাত কোথায় গিয়েছে। অন্যদিকে জান্নাতের দাদি জান্নাতকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য ছবিটা কে আবারও নতুন ফ্রেম করে বাঁধিয়ে নিয়েছে। আর সেই ফ্রেম দেওয়ার জন্য জান্নাতের অফিসে জান্নাতের সাথে দেখা করতে গিয়েছে। তখনই আর্য ওদেরকে দেখে একটু আড়ালে সরে যায়। আর জান্নাতের দাবি মিলিসাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই মিলিসা বলে দিল জান্নাতকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই কথাটা শুনেই জান্নাতের দাদি অবাক হয়ে গিয়েছে তখন তারা অফিস থেকে বেরিয়ে আসলো।
তখন মা তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল দুজন মহিলা কেন এসেছে। তখনই মেলিসা বললো জান্নাতের কাজ চলে গিয়েছিল তারা জানতো না আমি এখন বলে দিয়েছি। অন্যদিকে জাননা তোর দাদীর কাজটা করতে গিয়ে জানতে পারল দাদি কত বেশি কাজ করতো। এমনকি সিঁড়ি মোছার কাজ করতো। তখন জান্নাত ওর দাদীর কাজটা করছিল খুবই কষ্ট করে। অন্যদিকে মেলিসার মা জান্নাতের বাড়ি গিয়েছে ওর দাদীর সাথে কথা বলার জন্য। আর ওর দাদির সাথে দেখা করেই বলতে শুরু করলো কেন মেয়েটাকে ওরা ওর অফিসে চাকরি করার জন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু আসলে জান্নাতের দাদি এই বিষয়ে কিছুই জানতো না। সে নিজের মেয়েকে অস্বীকার করল। আর এই জন্য জান্নাতের দাদি জান্নাতের মায়ের গায়ে হাত তুলতে চেয়েছিল। কিন্তু সে হাত ধরে বলতে লাগলো যাতে কখনো তারা জান্নাতকে ওর কাছে না পাঠায়। এমনকি ওদের কত টাকা লাগলে ওরা চলে যাবে এই বিষয়টা বলতে লাগলো। অন্যদিকে জান্নাত সকল কাজ করে বেরোনোর সময় দেখল সেলিম দাড়িয়ে আছে। আর সেলিমকে যে বৃষ্টি বলল এটাও জানতে পেরে গিয়েছে।
ব্যক্তিগত মতামত
এ পর্বে দেখতে পেলাম আসলে মাহিরের সবকিছু সম্পর্কে তার বাবা জানতে পেরে গিয়েছে। আর এই বিষয়ে তাকে সতর্ক করেছে। জান্নাত নিজের দাদিকে অফিসে যাবে বলে আসলে দাদীর পুরনো কাজটা করতে গিয়েছে। গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেও সে এত নির্মাণের কাজ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু জান্নাতের চাকরি চলে গিয়েছে এই বিষয়টাও জান্নাতের দাবি তার অফিসে গিয়ে জানতে পেরে গিয়েছে। অন্যদিকে জান্নাতকে অফিসে না দেখে আবার সেলিম জান্নাতের বাড়িতে এসে বৃষ্টির কাছ থেকে সবকিছুই জানতে পেরেছে। তখন জান্নাতকে আনার জন্য ওই কাজের জায়গায় চলে গেছে। অন্যদিকে আবার মেলিসার মা জান্নাতের দাদিকে বাড়িতে এসে শাসিয়ে গেছে যাতে কখনোই জান্নাত কে তাদের কাছে না পাঠায়। সেলিম আসার পর জান্নাতকে অফিসে নিয়ে যেতে পারবে কিনা এই বিষয়টা পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
সিরিজটির ট্রেইলার ভিডিও লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
আপনি বেশ কিছুদিন ধরে এই সিরিজটি আমাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছেন। আপনার এই সিরিজটি শেয়ার করা দেখে আমার অনেক ভালো লাগে। যেহেতু আমি আজ পর্যন্ত এটা দেখিনি তবে আপনার মাধ্যমে যথেষ্ট জানার সুযোগ পেয়েছি। খুবই ভালো লাগে আপনার এই সিরিজের বিস্তারিত কাহিনী গুলো জানতে।
আমাদের শেয়ার করা দেখে আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। বিস্তারিত কাহিনী গুলো আমার মাধ্যমে জানতে আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম।
https://twitter.com/TASonya5/status/1678255578131632128?t=L6rVBkH9Vl7gbGHj_x89uw&s=19
আপু অনেক সুন্দর করে আজকের পর্বটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। জান্নাতের চাকুরী, মেলিসার কাহিনী সব যেন দিনে দিনে খুলাসা হয়ে যাচেছ। কিন্তু সেলিম কি পারবে জান্নাত কে অফিসে ফেরাতে।
দেখা যাক সেলিম জান্নাতকে অফিসে ফেরাতে পারে কিনা। তা পরবর্তী পর্বে হয়তো জানতে পারবেন।
তুর্কি সিরিজ জান্নাত এর নবম পর্বের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এ ধরনের সিরিজ গুলো দেখতে পারলে অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়। সময় পেলে অবশ্যই এ ধরনের সিরিজ দেখা শুরু করব। তুর্কি সিরিজ জান্নাতের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
এই সিরিজের নবম পর্ব পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সময় পেলে অবশ্যই এরকম সিরিজ গুলো দেখার চেষ্টা করবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকেন খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করব।