নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ১৩ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১৩ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই চান্দু মর্জিনাকে নিয়ে জঙ্গলে এসেছে। আর তারা কথা বলছিল আর একটু সামনে যেতেই দেখে কাদের ফকির সুন্দরী খালার সাথে কথা বলতেছে। এটা দেখে চান্দু মর্জিনাকে বলে তার বাবা আসলেই এরকম। এবং কি তাকে ব্ল্যাকমেইল করার কথা বলে। এরপর মর্জিনাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে চান্দু তাদের কাছে যায়। এরপর দেখা যায় মানিক আবারো চম্মনের বাড়িতে এসেছে লুকিয়ে। আর সায়েমের কন্ঠ শুনেই চম্মন তাকে লুকিয়ে দেয়। তারপর সায়েম তার বউকে খুঁজতে থাকে। আর তখনই তার শ্বশুরের কণ্ঠ শুনতে পায়। তিনি দাও নিয়ে আসতেছে।
এরপর সায়েম তাড়াতাড়ি করে মানিক যেখানে লুকিয়ে ছিল সেখানে লুকিয়ে পড়ে। এরপর তিনি তাদের ঘরের সামনে বসে। যেন এই ফকির গুলো আসলে তাদেরকে দাও নিয়ে কোপাতে পারে। তারপর আবার দেখা যায় কাদের ফকির এবং সুন্দরী খালাকে। সেখানে তখন চান্দু আসে আর দেখেও না দেখার ভান করে ভিক্ষা চাইতে থাকে। এরপর কাদের ফকির এবং সুন্দরী খেলা একটু ভয় পেয়ে যায়, কারণ চান্দু যদি সবাইকে বলে দেয়। এরপর চান্দু বলে বলবে না তবে তার একটা শর্ত আছে যেটা সে পরে বলবে। এরপর চান্দু সেখান থেকে চলে যায়। আর তখনই সেখান থেকে কাদের ফকির এবং সুন্দরী খালা ও চলে যায়।
এরপর দেখা যায় চম্মনের বাবা মানিক এবং সায়েম কে দেখে ফেলেছে। আর তাদেরকে দাও দিয়ে দৌড়াতে থাকে। তারপর সায়েমও সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর দেখা যায় রতন এবং সায়েমের বউ ভিক্ষা করতেছে। তাদেরকে আরেকটা ফকির দেখে ফেলেছিল। আর তারা অন্ধ সাজার কারণে লোকজন বেশি করে টাকা দিচ্ছিল। এরপর দেখা যায় মেম্বার মেম্বারের বউয়ের বোনের মেয়ে নিয়ে বাড়িতে এসেছে। প্রিন্সের মাকে ডাকছিল। আর প্রিন্সের মা তাকে দেখে অনেক খুশি হয়েছে। তার নাম হচ্ছে ঝুমা। এরপর মেম্বার চলে যায় বাজার করার জন্য আর মেম্বারের বউ ঝুমাকে নিয়ে ঘরে যায়।
আর তখন সায়েমের দেখা হয় সুতার সাথে। তখন সায়েমের বউয়ের কথাটা বলে। এরপর তারা দুজন চলে যায় তার কাছে। এরপর চান্দু এবং মর্জিনাকে দেখা যায় কথা বলছে। তখনই চান্দুর কাছে মর্জিনার বাবা আসে তখন মর্জিনা লুকিয়ে যায়। আর কাদের ফকির বারণ করছিল যেন সুন্দরী খালা আর তার কথাটা কাউকে যেন না বলে। তখন চান্দু বলে মর্জিনার সাথে থাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে আর দুজন দুদিকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় রতন এবং সায়েমের বউ ভিক্ষা করছিল। আর তাদের সামনেই তখন সায়েম আর সুতা চলে আসে। সায়েম এটা দেখে অনেক বেশি রেগে যায়।
সায়েম এর বউ এবং রতন তাকে বোঝাতে থাকে কিন্তু সে বুঝেনা। আর সায়েমের বউকে নিয়ে সায়েম বাড়িতে চলে যায়। এরপর রতন সুতা কে বলে সে তাকে দেখে নেবে। এরপর রতন ও চলে যায় এবং সুতা ও চলে যায়। এরপর চেয়ারম্যানের সাথে রাস্তার মধ্যে দেখা হয় মেম্বারের। তখন মেম্বার সায়েমের কথাটা বলে। আর চেয়ারম্যান এটা শুনে বলে এরকম কিছুই হবে না সর্দারের সাথে কথা বলেছে সে। তারপর চেয়ারম্যান বলে সব সমস্যার সমাধান করবে। এরপর তারা চা খেতে চলে যায়। এরপর প্রিন্স একটা দোকানে যায় যেখানে চাঁদনিও আসে। সেখানে গিয়ে দেখে দোকানদার দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছে।
তারপর সেখানে চাঁদনী আসে আর তাদের মধ্যে একটু ঝগড়া হয়। এরপর চাঁদনী সেখান থেকে চলে যায়। আর প্রিন্স দোকানদারকে বকতে থাকে, কারণ সত্যি কথাটা চাঁদনীকে দোকানদার বলে দিয়েছিল। এরপর দোকানদার ও সেখান থেকে চলে যায় কারণ তার খিদা লেগেছে। এরপর মানিক এবং রতনের দেখা হয়। আর রতন মানিককে জিজ্ঞেস করতে থাকে কোথায় ছিল। এরপর মানিক চম্মনের বাবার কথাটা বলে।তারপরে মানিক বলে সে আবার ফুলির সাথে দেখা করতে যাবে তাই তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য। তারপর তারা বাড়িতে চলে যায়। এরপর রতন চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসে ফুলির সাথে দেখা করার জন্য। সে যখন ফুলিকে ডাকছিল তখনই চাঁদনী শুনে ফেলে কিন্তু ফুলি ঘুমাচ্ছিল। আর চাঁদনী বেরিয়ে আসে ঘর থেকে। রতন চাঁদনীকে দেখে পালানোর সময় চাঁদনি তাকে পেছন থেকে ডাক দেয়। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকের মধ্যে সুন্দরী খালা এবং কাদের ফকিরের অভিনয়গুলো আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। তারা যখন একটু কথা বলতে চাই তখনই চান্দু এসে হাজির। চান্দু আবার মর্জিনার পেছনে ঘুরে। এই বিষয়গুলোর মধ্যে অনেক বেশি খুনসুটি এবং মজার বিষয় থাকে। যেগুলো কিন্তু খুবই ভালো লাগে দেখতে। তবে চেয়ারম্যানের মেয়ে আর প্রিন্স দুইজনের কোন ছুটি গুলো কিন্তু খুবই ভালো লাগে দেখতে। এ পর্বে তো দেখলাম দুইজনের ঝগড়া আরও বেশি। এখানে আবার রবি মাঝি নাকি বিয়ে করবে বলে আরেকটা ভেজাল করল। রবিকে মর্জিনা সহ্য করতে পারে না তারপরেও সে তাকে বিয়ে করতে চায়। তবে সব মিলিয়ে এই পর্বটাও কিন্তু খুবই ভালো লেগেছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1761377431074771220?t=Q8lfQs0Pcd4zcC7ltI7Yfg&s=19
ফকির গ্রাম নাটকটি দেখা হয়নি। তবে রিভিউ পড়ে বুঝা গেল খুব চমৎকার নাটক । ধন্যবাদ খুব চমৎকারভাবে এই ফকির গ্রাম নাটকের রিভিউটি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এই নাটকটা যদি না দেখা হয় তাহলে অবশ্যই দেখে নেবেন। এটা অনেক সুন্দর একটা নাটক।
বিনোদন এর জন্য ঈগল টিমের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ফকির গ্রাম নাটকটি বেশ সারা ফেলেছে। সবাই বেশ দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। আমিও মাঝে মধ্যে এধরনের নাটক দেখি। তবে আমার বাসায় সবাই দেখে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই আমি এই নাটকগুলো দেখার চেষ্টা করি।
ফকির গ্রাম নাটকের ১৩ তম পর্বের রিভিউ করে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এ ধরনের নাটক গুলো দেখলে মন বেশ প্রফুল্ল থাকে। উক্ত নাটকের রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে কাদের ফকিরের অভিনয় বেশ আকর্ষণীয়। আগামীতে সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখবো।
ফকির গ্রাম নাটকটার ১৩ তম পর্বের রিভিউটা পড়ে আপনার ভালো লাগলো শুনেই খুশি হলাম।
দেখতে দেখতে এই নাটকের ১৩ তম পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন। এই নাটকের রিভিউ পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে সময় স্বল্পতার কারনে এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি৷ তবে সবসময় আপনার এই রিভিউ এর মাধ্যমে এই নাটকের সবগুলো বিষয় বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি।।
১৩ তম পর্বের রিভিউটা পড়তে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সময় পেলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন দেখার।
ঈগল টিমের নাটকগুলো আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। কিছু কিছু নাটক থাকে যেগুলো পর্ব আকারে থাকলেও দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে এই নাটকের গল্প খুবই মজার। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। আপনার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটকের ১৩ তম পর্ব রিভিউ দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন পর্ব আকারে নাটকগুলো থাকলেও দেখতে অনেক ভালো লাগে।
ফকির গ্রাম নাটকের পর্ব বেশিরভাগ পড়া হয়েছে। এই পর্বগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগতেছে। কারণ এই নাটকটার মধ্যে বেশ মজার কাহিনী রয়েছে, সবাই অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। আর দেখছি সুন্দরী খালা এবং কাদের ফকির কোথাও একলা কথা বলার সময়, চান্দু সেখানে কিভাবে কোথা থেকে এসে উপস্থিত হয়ে যায়। আর প্রিন্স এবং চাঁদনীর মধ্যেও ঝগড়া বেড়েই চলেছে শুধু। এখন এটা দেখতে হবে যে এই নাটকের পরবর্তীতে কি হবে। পরবর্তী পর্বটা পড়ার জন্য আমি অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলেই এই নাটকটার মধ্যে মজার কাহিনী রয়েছে আর সবাই সুন্দর অভিনয় করে। আমার লেখা এ নাটকটার এই পর্বের রিভিউ সম্পূর্ণ পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।