আমার জন্য কিছুই অবশিষ্ট রইল না।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি ,
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজকে যে কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব, এগুলো বলা ছাড়া আমার কাছে পোস্ট করার মত কিছুই বাকি রইল না। গত পরশুদিন রাতে আমি একটা ডিজিটাল আর্ট করছিলাম। যখন আমি কার্ড করছিলাম আর্টে কালার করতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। তখন আমি ভাবলাম ফোনে নরমাল রিস্টার্ট দিলে হয়তোবা ঠিক হয়ে যাবে। পরবর্তীতে যখন আমি রিস্টার্ট দিলাম দেখলাম ফোন অন হয়ে দুই তিনটা অপশন আসলো।
আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করব। তখন ফোনটা অন করতে গিয়ে দেখি কিছুই নেই। একদম নতুন ফোন কিনে আনলে আমরা যেরকম সেটিং করি ওই রকম অপশন গুলো আসছিল। পুরো মোবাইলটা সাদা হয়ে গিয়েছে। তখন সবকিছু যখন নতুন অপশন আসছিল পরবর্তীতে আবারো নতুনভাবে সেট করলাম। দেখলাম আমার মোবাইলে কোন সফটওয়্যার ছিল না। আর সব থেকে মূল বিষয় হচ্ছে, আমার মোবাইলে ২০০০০ ছবি ছিল। আর তার মধ্যে ১৭ হাজার ছবি মোবাইলের সেট এ, তিন হাজার ছবি মোবাইলের মেমোরি কার্ডে। তখন দেখি আমার ১৭ হাজার ছবি কিছুই নেই।
পুরো মোবাইলটা ফরমেট হয়ে গেছে। এমনকি আমার কাজ করার কোন সফটওয়্যার পর্যন্ত বেঁচে ছিল না। আমিতো যেন আকাশ থেকে পড়লাম। তখন কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আর বর্তমানে আমার মোবাইলটা সবথেকে বেশি এই প্লাটফর্ম এর সাথে জড়িত। আসলে আমি সব সময় অ্যাডভান্স কাজ করে রাখার চেষ্টা করি। কারণ তৎক্ষণাৎ কাজ করে কখনোই কাজের সবকিছু ঠিক রাখা যায় না। আমার মোবাইলে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টা রেসিপি পোস্ট এর ছবি ছিল। বিশেষ করে ঈদের সময় আমি কিছু অসাধারণ রেসিপি তৈরি করেছিলাম। যেগুলো কিনা আপনাদের সাথে আস্তে আস্তে শেয়ার করব।
তার ওপর অনেকগুলো খুব সুন্দর ড্রাই পোস্ট, কয়েকটা আর্ট পোস্ট অনেক কিছুই ছিল। এমনকি কিছুদিন আগে এত সুন্দর একটা ডাই তৈরি করেছিলাম যেটা আমি আগে কখনো তৈরি করিনি। আমি তো শুধু এটাই চিন্তা করছিলাম যে এত সুন্দর আর ইউনিক জিনিসগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলাম না। আসলে আমি প্রতি সপ্তাহে একটা করে রেসিপি এবং একটা করে আর্ট , একটা করে ডাই এভাবে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করি। সে ক্ষেত্রে চিন্তা করলে আমার অন্তত কয়েক মাসের পোস্ট জমা ছিল। আসলে আমাদের যদি এই পোস্টগুলো তৈরি করা থাকে তাহলে কিন্তু পোস্ট রেডি করতে খুব একটা সময় লাগে না।
সবকিছুই হারিয়ে ফেললাম। তার সাথে ঈদের সময় কয়টা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়া করেছি কিছুই আপনাদের সাথে ব্যস্ততার জন্য শেয়ার করে উঠতে পারিনি। এছাড়াও আমি চট্টগ্রাম গিয়ে একটা গোলাপের রাজ্যে গিয়েছিলাম। সেখানে এত জাতের গোলাপ ছিল বলে বোঝানোর মত না। আমি সেখান থেকে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আসলে সবগুলো ছবি একদিনে শেয়ার করা কখনোই সম্ভব না। তাই জন্য সেখান থেকে কয়েকটা ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি কিন্তু আরো অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো রয়ে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম আস্তে আস্তে শেয়ার করব।
আসলে আমার মোবাইলের 90% সব কিছুই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এখন আমার আফসোস শুধু একটাই যে এত সুন্দর বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে উঠতেই পারলাম না। হয়তোবা এগুলো দেখলে আপনারা কত সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করতেন, আর সবাই খুবই পছন্দ করতেন। সবকিছুই আমার কাছ থেকে চলে গেল। এই দুইদিন ধরে একদম অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। প্রতি শুক্রবারে আমি রেসিপি পোস্ট করি, কিন্তু আজকে এই দুর্ঘটনার কথাগুলো শেয়ার করা ছাড়া আমার কাছে আর কিছুই নেই। কোথায় থেকে যে শুরু করব এটাই বুঝতে পারছি না। আমি কখনো পোস্ট করার জন্য চিন্তা করতে হয় না যে কি পোস্ট করব।
কারন আমার সবকিছু এডভান্স করা থাকে। আর আজকে তো একটা মাত্র ফটোগ্রাফি নেই যে কিছু একটা শেয়ার করব। আর সব থেকে বড় বিষয় আমার মেয়ের ছোট থেকে এতটুকু হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের স্মৃতি মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি ছিল। কত জায়গায় যাওয়ার স্মৃতি ক্যামেরায় বন্দি ছিল। সবকিছুই চলে গেল। যদি সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও থামতো তাহলেও হত। ফোনটা অন করার পর যখন আবারো আমার আমার কাজের সফটওয়্যার গুলো নিয়েছিলাম, দেখি সফটওয়্যারে প্রবেশ করা মাত্রই আবার বেরিয়ে যাচ্ছে। কোন কাজ করতে পারছি না। পরবর্তীতে ঠিক করার জন্য নিয়ে গিয়েছিল।
তারপর আবারও ঠিক করে এনে যখন সফটওয়্যার গুলো নিলাম পরবর্তীতে আমার, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে সফটওয়্যার প্রয়োজন ওইটাই চলছিল না। অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর আবারও মেকানিকের কাছে নিয়ে গেলাম। তারপরে আবারো ঠিক করে নিয়ে আসলাম। আসলে মোবাইলে নাকি ভাইরাস প্রবেশ করেছে এই জন্য এরকম হলো। বুঝতেই পারেনি কিছু। পরবর্তীতে দেখলাম কিছুটা ঠিক হয়েছে। আসলে সবকিছু চলে যাওয়ার কষ্ট, তারপরেও মোবাইলের সমস্যা সব কিছু যেন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। এখন আবার কোথায় থেকে কি শুরু করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমাকে কেউ কখনো বলা লাগেনি নিজের কাজের জন্য। এমনকি কেউ ইনস্পিরেশন দেওয়ার প্রয়োজন হয় নাই। কারণ আমি সব সময় নিজের কাজ গুলো আগে করতেই পছন্দ করি। আর আমি সবাইকে কাজের ইনস্পিরেশন দিয়ে থাকি। এখন প্রথমবারের মতো নিজেই শূন্য হয়ে গেলাম। যাইহোক আপনাদের মাঝে অনেক কথা শেয়ার করলাম। আপনারা কেউ কিছু মনে করবেন না। দেখি পরবর্তীতে নতুন করে আপনাদের মাঝে কি শেয়ার করতে পারি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন নতুন করে যেন আবারও সবকিছু শুরু করতে পারি।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপনার এই দুঃখজনক ঘটনা সত্যি আমার খুবই খারাপ লেগেছে। তবে এমন একটি মুহূর্তে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। হয়তো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আপনি তবুও ক্ষতিগ্রস্তর বিষয়টা কাটিয়া তুলতে হবে। একটি কথা আছে সবুরে মেওয়া ফলে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে নিজের ভিতরে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি গ্রহণ করতে হবে। দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যে আরো অনেক কিছু আবার জমে ফেলতে পারবেন।
ধৈর্য ধরেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/TASonya5/status/1656875393968902144?t=xlerQHQA51vXh5Os4gdpqQ&s=19
মোবাইল ফরমেট হয়ে গেছে জেনে খুবই খারাপ লাগলো। যদিও এরকম পরিস্থিতির মধ্যে কখনো পড়িনি তবে আপনার কষ্টটা বুঝতে পারছি আপনি ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। অনেক পুরনো স্মৃতি হারিয়ে গেছে। এই বিষয় গুলো খুবই দুঃখজনক।
আসলেই আপু এইরকম পরিস্থিতিটা কখনো আগে থেকে চিন্তাও করিনি।
আপু আপনার মত আমিও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পোস্ট রেডি করে রাখি। এজন্য প্রতিদিন পোস্ট করতে সমস্যা হয় না। এমন সমস্যায় পড়লে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতোনই অবস্থা। তাছাড়া আপনি গুগল ড্রাইভে কেন ছবি সেভ করে রাখেননি আমি তো সব ছবি গুগলে ব্যাকআপ দিয়ে রাখি। যাতে কখনো মোবাইলে এমন সমস্যা হলে এই বিপদে পড়তে না হয়। আসলেই অনেক খারাপ লাগছে আপনার জন্য। বুঝতে পারছি আপনার কতটা কষ্ট লাগছে। কি আর করার কিছুদিন কষ্ট করলে আবারো আগের মতো গুছিয়ে উঠতে পারবেন আশা করি। শুভকামনা রইল।
গুগল ড্রাইভে ছবি রাখার কথা কখনো ভাবিনি। বিশেষ করে এরকম পরিস্থিতি হবে এটা কখনো চিন্তাও করিনি।
ব্যাপারটা সত্যিই বেশ কষ্টের। মোবাইলের সমস্ত ছবি এবং তথ্য হারিয়ে ফেললে আকাশ থেকে পরার মতো অবস্থা হবেই। আমরা আপনার অনেকগুলো অসাধারণ কাজ মিস করলাম আরকি। যাক বিপদ তো বলে কয়ে আসে না, আপনি আবারো সবকিছু গুছিয়ে নেবেন ইনশাআল্লাহ।
সামনে পারলেই হয়তো কিছুটা স্থির হতে পারবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরো বিষয়টি শুনে খুবই খারাপ লাগলো ।আসলে আপনার পরিশ্রম সবকিছুই হঠাৎ করে এভাবে নষ্ট হয়ে গেল খুবই খারাপ লাগছে।এতগুলো রেসিপি পোস্ট চলে গেল অনেক পরিশ্রম করে সবকিছু করেছেন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য কিন্তু সবকিছু মোবাইলে ফরমেট এর কারণে চলে গেছে। আসলে মোবাইল এমন একটা জিনিস যেখানে আমরা আমাদের সব কিছুই সংগ্রহ করে রাখি। মাঝে মধ্যে মোবাইল যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন এইরকম সব প্রয়োজনীয় জিনিস চলে গেলে খুবই খারাপ লাগে।
মোবাইল নাম্বার পর্যন্ত চলে গেছে। আপনার নাম্বারও নাই। whatsapp এ নক দিয়েন।
এটি আসলে খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। আসলে তোমার মোবাইল ফরমেট হয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। যে পোস্টগুলো সম দিয়ে তৈরি করেছে সেগুলো পুনরায় রেডি করতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন। এরপরেও বলবো মন খারাপ করে লাভ নাই, মন খারাপ কে জিতে পরিণত করে, সামনের দিকে এগিয়ে যাও। তোমার জন্য অনেক ভালো কিছু অপেক্ষা করতেছে সামনে। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
ক্ষতিটা আসলে বলে বোঝানোর মত না।
এমন একটা যদি কাজ হয় আকাশটা যেন ভেঙ্গে মাথার উপর পড়ছে এমন মনে হয়। সত্যিই অনেক খারাপ লাগার একটি বিষয় আপনি শেয়ার করলেন এমন বিষয়টা যদি আমার সাথে ঘটে আমারও এমন হবে। অনেক কষ্ট করে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলেন রেসিপি, ডাই পোস্টের এবং বিভিন্ন ফুলের সব গুলো হারিয়ে গেল। আস্তে আস্তে আপনার ফোনে আবার সব কিছু কভার হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
কিভাবে যে কভার করব এটাই বুঝতেছিনা। তবে চেষ্টা করছি।