নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২০ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের বিশতম পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই ফকিরদের সর্দার কে একটা বাচ্চা বাতাস করছিল। আর তখনই সেখানে ছোট মেয়েটা চান্দুকে ধরে নিয়ে আসে। এরপর সর্দার তাকে মর্জিনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। এভাবে কিছুক্ষণ কথা বলার পর ছোট বাচ্চা দুইটা একে অপরের সাথে ঝগড়া করে। কারণ ছেলেটা সর্দারের মুখে মুখে তর্ক করছিল। এরপর চান্দু সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় মানিক পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর তখন সেখানে সায়েমের বউ আসে। তারা যখন কথা বলছিল, সায়েম তাদেরকে দেখে ফেলে। এরপর মানিক নিজের দুঃখের কথা বলতে থাকে সায়েমের বউকে। আর সায়েম এসে তার বউকে বিভিন্ন রকম কথা বলতে থাকে। সায়েম তো তার বউকে মারবে বলে টেনে টেনে নিয়ে যায় তাকে। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সে তার বউকে অনেক বেশি মারতে থাকে। এরপর সেখানে সুন্দরী খালা আসে। সায়েমকে আটকানোর চেষ্টা করলে তারা আরো মারামারি করতে থাকে। এরপর সেখানে চান্দু এবং মর্জিনা আসে। আর চান্দু সায়েমের গায়ে লাঠি মারতে গিয়ে, সুন্দরী খালার মাথায় পড়ে যায়। আর তিনি মাটিতে পড়ে যান। তখন সবাই সেখান থেকে ভয় পেয়ে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় মানিক এবং ডাক্তার আপা রাস্তা দিয়ে একসাথে কথা বলতে বলতে যাচ্ছিল। আর গ্রামের কথা বলছিল। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় সুন্দরী খালা কাদের ফকিরের বুকের উপর শুয়ে শুয়ে কান্না করতেছে। এরপর তারা কথা বলছিল মাথা ফাটানোর বিষয়টা নিয়ে। তারা এটা নিয়ে অনেক দুঃখ করছিল। এরপর রতন ডাক্তার আপাকে নিয়ে তাদের কাছে আসে, সুন্দরী খালার চিকিৎসা করার জন্য। এরপর ডাক্তার আপা ওনার চিকিৎসা করে। এরপর রতন আবারো ডাক্তার আপাকে নিয়ে চলে যায় এগিয়ে দিয়ে আসার জন্য। এরপর সুন্দরী খালা কাদের ফকিরের বুকে আবারো শুয়ে পড়ে। এরপর দেখা যায় ফুলি একা একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপর সেখানে চেয়ারম্যান সাহেব আসে। এরপর ফুলি বলে আমার খুব খারাপ লাগতেছে চাঁদনী আপার জন্য। এরপর চেয়ারম্যান বলে ওনার আরেকটা মেয়েও আসবে তার পরীক্ষা শেষ, চাঁদনী চলে গেলে কি হয়েছে। তারপর চেয়ারম্যান সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় রবি একটা লাঠি হাতে নিয়ে অনেক বেশি মাথা গরম করছিল। কারণ তার মায়ের মাথায় চান্দু বাড়ি দিয়েছে। আর সে চন্দুকে মারার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে। তারপর সেখানেই মর্জিনা মুড়ি নিয়ে আসে। রবি তো অনেক খুশি। কারণ মর্জিনা তার মায়ের জন্য মুড়ি নিয়ে এসেছে। এরপর রবি কিছু মুড়ি নিয়ে চলে যায়। এরপর মর্জিনা সুন্দরী খালার হাতে মুড়ি দিয়ে চলে যায়। তারপর দেখা যায় সায়েম এবং সায়েমের বউ ভিক্ষা করতেছে। তারপর সায়েম এবং সায়েমের বউ কিছুক্ষণ কথা বলছিল। এরপর সেখানে মানিক ফকির আসে। এরপর সায়েম তো মানিককে বিভিন্ন রকম কথা বলতে থাকে। এরপর সায়েমের বউ এবং সায়েম সেখান থেকে চলে যায়। তারপর মানিকও চলে যায় শ্বশুর বাড়ি যাবে বলে। এরপর দেখা যায় প্রিন্স বাড়ির সামনে পাইচারি করছিল। আর তখন সেখানে ঝুমা আসে। তারপর প্রিন্স বলে যেন চাঁদনীর খোঁজ-খবর নেয়। তারপর সেখানে প্রিন্সের মা আসে। এরপর তার মা বলে যেন কারো সাথে ঝগড়া না করে। এরপর তারা খাবার খাওয়ার জন্য চলে যায় ঘরে।
তারপর ওই নতুন মহিলা ফকিরটাকে দেখা যায়। এরপর ওনার সাথে সুতার দেখা হয়। এরপর তিনি বলেন তিনি টিক্কা ফকিরকে খুঁজতেছে। সুতা আর ওই মহিলা একসাথে যখন ভিক্ষা করতে যাচ্ছিল, তখনই টিক্কা সেখানে চলে আসে। আর তাকে নিয়ে চলে যায়। এরপর সুতাও সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় চান্দু এবং মর্জিনা একটা গাছের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। আর সুন্দরী খালার কথা জিজ্ঞেস করছিল। সেখানে তখন এই রবি আসে। এরপর রবি চান্দু এবং মর্জিনাকেই জিজ্ঞেস করতে থাকে চান্দুকে দেখেছে কিনা। সে চশমা পড়ে যাচ্ছিল যার কারণে খেয়াল করেনি তাদের দুজনকে। তারপর রবি তাদেরকে জিজ্ঞেস করে সেখান থেকে চলে যায়। আর তারা দুজনও চলে যায়। এরপর দেখা যায় সায়েম এবং সায়েমের বউ তাদের শ্বশুরবাড়িতে এসেছে। আর সায়েমের বউ তার বোন এবং বাবাকে ডাকতে থাকে। এরপর সায়েমের শ্বশুর তাকে দশ টাকা দেয়। এরপর তারা বাবাকে ভালো মাছ মাংস আনার কথা বলে ঘরে চলে যায়। তারপর সায়েমের শ্বশুর বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়।
এরপর দেখা যায় মানিক ফকির ভিক্ষা করতে করতে ডাক্তার আপার সাথে দেখা হয়। আর উনার কাছে ভাংতি না থাকায় এক হাজার টাকা দেয়, মানিক ভাংতি টাকা দেবে বলে। এইবার মানিক ওনাকে ১০০০ টাকা ভাঙিয়ে দেয়। তারপর তিনি উনাকে ১০ টাকা দিয়ে চলে যান। এরপর ডাক্তার আপা এখান থেকে চলে যায়। আর মানিক ও চলে যায় এরপর দেখা যায়। এরপর দেখা যায় ফুলি এবং ঝুমাকে তারা দুজন কোথাও যাওয়ার সময় তাদের দুজনের দেখা হয়েছিল। এরপর তারা সেখানে ঝগড়া করা শুরু করে দেয়। এরপর তারা দুজন তো সেখানে মারামারি শুরু করে দেয়। আর প্রিন্স এসে তাদেরকে আটকায়। তারা তখন ঝগড়া করা শুরু করে মারামারি বাদ দিয়ে। এরপর ফুলি সেখান থেকে চলে যায়। এরপর ঝুমা প্রিন্সকে চাঁদনীর বিদেশ যাওয়ার কথাটা বলে। তারপর তারা দুজন সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় মানিক এবং রতন কথা বলতেছে। আর রতন কাদের এবং সায়েমের বিষয়টা বলতে থাকে। এবার মানিক হেসে বলে, বিষয়টার প্যাচ সে নিজেই লাগিয়েছে। আর এখানেই এই পর্বটা শেষ হয়। পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করব।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকের অন্য পর্ব গুলোর মত আমার কাছে এই পর্বটাও অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কিন্তু এই পর্বে ঘটেছে আরেকটা ঘটনা। সায়েম যখন তার বউকে অনেক বেশি মারছিল, তখন চান্দু সায়েমকে লাঠি দিয়ে মারার সময় তো সুন্দরী খালার মাথায় পড়ে গিয়েছিল ।আর এটার জন্য তারা সবাই খুব ভয় পেয়েছে। আর অন্যদিকে একটা হাস্যকর ঘটনা ঘটেছিল সেটা হচ্ছে রবি সানগ্লাস লাগিয়ে যাওয়ার কারণে চান্দু এবং মর্জিনাকেই চিনতে পারেনি। চান্দুর কথা চান্দুকেই জিজ্ঞাসা করেছিল। এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক হাস্যকর লেগেছে। কারণ যাকে খুঁজতেছে তাকে জিজ্ঞাসা করতেছে দেখেছি কিনা। অন্যদিকে আবার মানিক একটা প্যাচ লাগিয়ে দিয়েছে সায়েম আর কাদের ফকিরের মধ্যে। এখন দেখা যাক এটা নিয়ে কি হয়। এই নাটকের পরবর্তী পর্ব আমি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করব। সেই পর্যন্ত আশা করছি আপনারা পাশেই থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1780432673514848367?t=4yDI09-iY-kRv5IfNXgpjg&s=19
দেখতে দেখতে নাটকের ২০ তম পর্ব শেয়ার করে দিলেন। আপনার এই নাটকে অনেক গুলো পর্ব আমি পড়েছি। প্রত্যেকটা পর্ব খুবই সুন্দর, আজকের পর্ব টা খুবই দারুণ। অনেক সময় মানুষের কিছু পরিবর্তনের জন্য অনেক মানুষ সামনে থেকেও চিনতে পারেনা এ বিষয়টি নাটের বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। এত সুন্দর হচ্ছে নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি আমার শেয়ার করা এই নাটকের অনেকগুলো পর্ব পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো। সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি প্রায় লক্ষ্য করি আপনি ফকিরগ্রাম নাটকটা আমাদের মাঝে রিভিউ করে থাকেন। আপনার এই সুন্দর নাটক রিভিউ দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। নাটকটা বেশ চমৎকার। বেশ ভালো লাগে নাটকের অভিনয় গুলো।
আমার শেয়ার করা নাটকের রিভিউ দেখে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
ফকির গ্রাম নাটকটার ২০ তম পর্বের রিভিউ আমার অনেক ভালো লেগেছে। দেখতে দেখতে কিন্তু এই নাটকটার ২০ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এই পর্বটা সত্যি অনেক বেশি মজার ছিল। প্রথমে তো আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম সুন্দরী খালার মাথায় বাড়ি দেওয়ার কথাটা শুনে। পরবর্তীতে তিনি ভালো হয়ে গিয়েছে শুনে ভালো লাগলো। রবির মায়ের মাথায় বাড়ি দেওয়াতে রবি তো দেখছি রাগে আগুন। সানগ্লাস লাগানোর কারণে সে তো দেখছি চান্দুকেই চিনতে পারেনি। চান্দু কে জিজ্ঞেস করছিল তার কথা। বিষয়টা আমার কাছেও অনেক হাস্যকর লেগেছে।
হ্যাঁ রবি তো রেগে আগুন হয়েছিল। কিন্তু সানগ্লাস পড়াতে চান্দুকেই চিনতে পারল না। এটা দেখে আমি তো হাসতে হাসতে একেবারে শেষ। সুন্দর একটা মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।