ড্রাগন ফলের জুস রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ড্রাগন ফলের জুস রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার। ফলের মধ্যে ড্রাগন ফল এখন খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। বিশেষ করে ফলটা দেখতে এত সুন্দর। আর কাটার সময় একদমই নরম। এইজন্য আমি জুস তৈরি করার জন্য ড্রাগন ফলটাকে বেছে নিলাম।
এর আগেও আমি ড্রাগন ফলের জুস খেয়েছিলাম। এটা খেতে কিন্তু ভীষণই সুস্বাদু। বিশেষ করে কালারের কারণে জুস তৈরি করলে দেখতেও অসাধারণ লাগে। এখন প্রচুর পরিমাণে ড্রাগন ফল পাওয়া যাচ্ছে। ড্রাগন ফলের অনেকগুলো উপকারিতা ও রয়েছে। যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই স্বাস্থ্যকর। এইজন্য আমি জুসটা তৈরি করলাম। আমার কাছে ড্রাগন ফল শুধু শুধু খেতে ভালো লাগে না। জুস তৈরি করলে তাও খেতে খুবই ভালো লাগে। ভাবলাম রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলে, আপনাদের ভালই লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ড্রাগন ফল | অর্ধেকটা অংশ। |
চিনি | ৩ চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটা ড্রাগন ফল কেটে, অর্ধেকটা অংশ টুকরো টুকরো করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি ড্রাগন ফলের টুকরোগুলো একটা ব্লেন্ডারের জাগিয়ে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি ব্লেন্ডারের জাগে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
চিনি দেওয়ার পর আমি পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি কিছুক্ষণ ফলটাকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলাম। এটা ব্লেন্ড করতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না।
ধাপ - ৬ :
ব্লেন্ড করার পর দেখতে পাচ্ছেন এরকমটা দেখতে হয়েছে।
ধাপ - ৭ :
এরপরে আমি এর সাথে কিছুটা পানি এড করলাম। পানি এড করার পর হালকা একটু ব্লেন্ড করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর আমি একটা গ্লাসে নিয়ে পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের আলপনা ড্রাগন ফলের জুস রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ড্রাগন ফলে এর মধ্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে যা মানুষের শরীরের জন্য অনেক ভালো।আমার কাছে ড্রাগন ফলের স্বাদের তুলনায় কালারটি অনেক বেশি লোভনীয় লাগে।ড্রাগন ফল নরম নরম খেতে ভালো লাগে।আপনি ড্রাগন ফল দিয়ে জুস তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু ড্রাগন ফল একটু নরম নরম তাই খেতে ভালো লাগে।
কালার দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু। ড্রাগন ফলের জুসের দারুন কালার এসেছে। যদিও ড্রাগন ফলের জুস কখনো তৈরি করা হয়নি। তবে অবশ্যই তৈরি করে খেতে হবে। দেখে লোভ জেগে গেল আপু। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপি তৈরি করে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জি আপু ড্রাগন ফলের জুস কালার টাই ভীষণ সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ড্রাগন ফলটি দেখতে যতটা আকর্ষণীয় খেতে ততটা আমার কাছে ভালো লাগে না। তবে আমার মেয়ে ড্রাগন ফল খেতে বেশ পছন্দ করে। ড্রাগন ফলের ভিতরের কালারটা অসম্ভব সুন্দর লাগে। এখন পর্যন্ত ড্রাগন ফলের জুস তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তাই আপনার তৈরি ড্রাগন ফলের জুস রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একদিন বাসায় তৈরি করে খেতে হবে। ড্রাগন ফলের শরবত রেসিপির প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আমরা এখন আর কালার টা বেশি ভালো লাগে দেখতে। অবশ্যই তৈরি করে দেখবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক তাছাড়া এই ফলের কালার টা অনেক সুন্দর।ড্রাগন ফলের জুস পরিবেশন খুব সুন্দর ভাবে করেছেন আপু।দেখতে দারুন লাগছে আর খেতেও দারুন হয়েছিল আপনি বললেন।আমিও বাসায় একদিন ট্রাই করবো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর জুসের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
খেতে খুবই দারুণ হয়েছিল আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, আপনি সুন্দর কালারফুল একটি জুসের রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যার অনেক গুন।আপনার পরিবেশন খুব ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু।
কালারফুল জুস দেখতে যেমন ভালো খেতেও তেমনি ভালো।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ গুনাগুনে ভরা। অনেক উপকার আছে এই ফলে। হজমের জন্য ভাল এই ফল। জুসের কালার টা অনেক লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই মজা হয়েছে। অল্প উপকরণে সুন্দরভাবে জুস বানিয়ে দেখিয়েছেন । ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ড্রাগন ফল অনেক বেশি উপকারী। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ড্রাগণ ফ্রুট পিংকটা আমাদের এখানে পাইই না। বেশিরভাগ সময়ে সাদা। আপনার এত সুন্দর ইউনিক রেসিপি টা দেখে যে বানাবো ফ্রুট জুস সে উপায়ও নেই। সাদাটা দিয়ে বানালে কি আর এত অ্যাট্রাক্টিভ লাগবে? আমার তো দেখে মনে হবে দই এর ঘোল। 😁 কিন্তু আপনার রেসিপি বেশ ভালো হয়েছে।
আপনাদের এখানে লালটা নেই আর আমাদের এখানে সাদাটা নেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, জুস তৈরির রেসিপিটি জাস্ট অসাধারণ ছিল। জুসের কালার টি দেখে এখনি খেতে ইচ্ছা করছে আর খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। জুসের সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যার ফলে রেসিপিটি অনেক আকর্ষণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।