ভ্রমণ :- ফেনী বানিজ্য মেলায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে আমাদের এখানে এক মাস ব্যাপী বাণিজ্য মেলা বসেছিল ফেনীতে। প্রতিবছর ফেনীতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু এটা বাণিজ্য মেলা এখানে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের রাইড এবং বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা করার দোকানপাট রয়েছে। মেলা শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই চিন্তা করতে লাগলাম মেলাতে ঘুরতে যাবো। কিন্তু বিভিন্ন রকম ব্যস্ততার কারণে কোনোভাবেই মেলায় ঘুরতে যেতে সম্ভব হচ্ছিল না। পরবর্তীতে অনেক চিন্তা ভাবনা করে কিছু কাজ জমিয়ে তারপর মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে মেলাতে বেশিরভাগ সময় নাশিয়াকে নিয়ে গেলেই সে খুশি হয়।
এইজন্য মূলত নাশিয়াকে নিয়ে মেলাতে যাওয়া। কারণ হচ্ছে সে বিভিন্ন ধরনের রাইড গুলোতে উঠতে এসে খুবই খুশি হয়। তো আমরা প্রথমেই চলে গেলাম সিএনজি করে ফেনীতে। এরপর আমরা মেলার সামনে নামলাম। দেখলাম প্রচুর মানুষের ভিড়। এরপর আমরা মেলাতে প্রবেশ করার জন্য টিকেট নিলাম। টিকেট কিনে নেওয়ার পর আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে দেখলাম একটা খাবারের দোকান। এখানে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করছে। এই জিনিসগুলো কিন্তু খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
তবে যেহেতু আমরা প্রথমে ঢুকে ছিলাম তাই জন্য কোন কিছু কেনা হয়নি। এরপর আর একটু সামনের দিকে যেতেই দেখলাম একটা আর্টিফিশিয়াল ফুলের দোকান। ফুলের দোকানের সামনে নাশিয়াকে দাঁড় করিয়ে একটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল ফটোগ্রাফি টা। এরপরে আর একটু ভেতর দিকে এগিয়ে দেখলাম ছোটদের জন্য অনেক ধরনের রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটা ট্রেন এর মত ছিল। যেটা আবার ছিল ময়ূরের ডিজাইন করা। নাশিয়া দেখেই তো উঠার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে দিল।
তাই জন্য ওকে উঠানোর জন্য টিকিট কেটে নিলাম। কিন্তু সে আবার একা একা বসবে না। বলছিল আমিও যাতে বসি। কিন্তু আমার কাছে এগুলোতে বসতে কেমন যেন আনইজি লাগছিল। কিন্তু তারপরেও মেয়ের কথা শুনে গিয়ে বসে পড়লাম। তবে বড় বড় লোকজনেরা দেখছি উঠতেছে। এমনিতে ভীষণ ভালোই লেগেছিল। সেখান থেকে নেমেই অন্য দিকে তাকাতেই একটা ঘটনা দেখলাম। দেখলাম এখানে আবার ভিডিও করার একটা জায়গা রয়েছে। যেহেতু এখন অনেকেই টিকটক করে। তাই জন্য মূলত এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু সেখানে দেখি একজন বোরকাওয়ালী মেয়ে একটা ছেলেকে নিয়ে অভিনয় করে গানের সুরে ভিডিও করছে। তবে বিষয়টা কেমন জানি লাগলো। যেহেতু এসব কিছুই সামনাসামনি দেখার অভ্যাস নেই তাই হয়তো। এরপর আর একটু সামনে দিকে দেখলাম পানিতেও ছোটদের একটা রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এর জন্য একটু বড় বাচ্চা হলে সুবিধা। তাই জন্য সেগুলো আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখেই চলে আসলাম। কিন্তু এখানে আরো অনেক কিছু রয়েছে, এমনকি নাশিয়া কিন্তু আরো অনেক কিছুতে চড়েছে। তবে সেই বিষয়গুলো আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1800828522413645952?t=R9P3KxOpFlaJWhhnRGEfVQ&s=19
বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এ বছরে কুষ্টিয়া এবং ঢাকা বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করেছি বেশ কয়েকদিন ধরে।
বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করলে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পাওয়া যায়।
সেই সাথে মৃৎশিল্পের কথা না বললেই নয়।
আপনি বাণিজ্য মেলা ভ্রমন করে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
এ বছর তো দেখছি আপনি দুই জায়গার বাণিজ্য মেলাতে ঘুরে এসেছেন। এটা জেনে সত্যি খুব ভালো লাগলো।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফেলিতে বানিজ্য মেলা বসেছে। এই ধরনের মেলাতে ঘুরতে গেলে বেশ মজা করা যায় খাওয়া দাওয়া ঘোরাঘুরির পাশাপাশি অনেক কিছু কেনাকাটা করা যায়। আসলে বাচ্চাদের মন কখন কি চাই বোঝা কঠিন নশিয়া ট্রেন দেখেই উঠার বাইনা ধরেছিলো আর সাথে আপনাকে নিয়েই সে ট্রেনে চড়তে চেয়েছে। যদিও আপনার কাছে এই জিনিসটা আনিজি লাগে তারপরও কিছু করা নাই যেহেতু মেয়ে বায়না ধরেছে। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফেনী বাণিজ্য মেলাতে ঘুরতে পেরে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
ঘুরতে পারলে সবারই অনেক ভালো লাগে।
ফেনী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু। নাশিয়াকে তো খুব খুশি দেখাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট এবং রাইড রয়েছে দেখছি। প্রবেশের প্রধান গেট খুব সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করেছে। মুহূর্তগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম ফেনী শিল্প ও বাণিজ্য মেলাতে।
আসলে মেলার মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি ফেনির বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন।ফেনিতে এবছর মাস ব্যাপী মেলা বসেছিল, জেনে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে এবছর এ বছর বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই মেলা। আপনি মেলার মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।
আসলে এই মেলার মধ্যে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম। মুহূর্তগুলো মনে পড়লেই খুব ভালো লাগে।
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো আপনি ফেনী বানিজ্য মেলায় অত্যন্ত আনন্দময় একটি দিন কাটিয়েছেন। আপনার ভ্রমণের বর্ণনা এবং নাশিয়ার সাথে আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে আমি নিজেও যেন সেই মেলায় ঘুরে আসলাম। আপনার লেখনীর মাধ্যমে আপনি যে সুন্দর মুহূর্তগুলো ধরে রেখেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
তাহলে তো আপনার ঘুরা হয়ে গেলো। এরকম ভাবেই ঘুরে ফেলবেন সবার অভিজ্ঞতা পড়ে 😁। সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ছোট বাচ্চারা রাইড কিন্তু বেশ পছন্দ করে। আপনার মেয়েও তার ব্যতিক্রম না। বানিজ্য মেলা আমাদের দিকে হয় শীতের সময়। তবে আমার একটা বিষয় খারাপ লাগে এই টিকিট কেটে ঢোকার বিষয়টি। বানিজ্য মেলায় গিয়ে কিন্তু মানুষ কেনাকাটা কমই করে ঘোরাঘুরি করে বেশি। বেশ ভালো লাগল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হ্যাঁ আমরাও ঘুরাঘুরিটা একটু বেশি করে ছিলাম বাণিজ্য মেলাতে। আমার মেয়েও অনেক আনন্দ করেছিল।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। কি আর বলবো? ভ্রমণ করার বিষয়টা হচ্ছে মজার একটা অন্যরকম ব্যাপার। আমি মনে করি সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করার জন্য কোথাও ভ্রমণ করাটাই হবে শ্রেষ্ঠ। কেননা কোথাও ভ্রমণ করলে। ঠিক তেমনি আপনি বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়েছেন। সেই সাথে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি উপভোগ করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এরকম জায়গা গুলো আমার খুব ফেভারিট। তাই তো না গিয়ে থাকতে পারিনা।
ফেনী শিল্প বাণিজ্য মেলায় খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু। মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমারও অনেক ভালো লাগে। এ ধরনের মেলাতে ঘুরতে গেলে অনেক মজা হয় খাওয়া দাওয়া করা যায় পাশাপাশি অনেক কিছু কেনাকাটা করা যায়। প্রবেশের প্রধান গেট খুব সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করেছে।আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই মেলাতে ঘুরতে গেলে অনেক বেশি মজা হয়ে থাকে। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
সু স্বাগতম আপু।