ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বাড়ি ফেরা।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত কয়েকদিন বিদ্যুতের সমস্যা একটু বেশি দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে পরশুদিন তো প্রায় ছয় ঘন্টা পর এসেছে। এই নিয়ে আবার অনেক বেশি গুজব ছড়িয়ে গিয়েছিল। যে হয়তো বা দুইদিন টানা বিদ্যুৎ আসবে না। আসলে আমরা সারা বছর বিদ্যুৎ ব্যাবহার করি। যেহেতু এটা মানুষের তৈরি এক্ষেত্রে সমস্যা তো হতেই পারে। আর এজন্য সমস্যার মোকাবেলা না করে যদি এটা আরো বেশি গুজব ছড়ায় তাহলে কি লাভ। আর এখন তো ফেসবুক আছেই কিছু হওয়ার আগেই দুলাইন বেশি করে লিখে দেওয়া। যাই হোক আমরা সবাই সমস্যায় পড়েছিলাম বিদ্যুৎ না থাকার কারণ। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যে আবার ফিরে এসেছিল।
বাবার অপারেশন না হওয়ার কথাটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। যেহেতু প্রায় অনেকদিন হাসপাতালে ছিল। এজন্য আমার মনে হচ্ছিল ফ্রেশার কম ছিল না। কারণ আমি মনে করি হাসপাতালে এতদিন থাকা কোন মানুষের পক্ষেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তেমনি বাবাও এতদিন থাকতে থাকতে একেবারে অসহ্যকর হয়ে উঠেছে। আর এমনিতে চিন্তা না করলেও ভেতর থেকে তো একটা চিন্তা আসেই। চিন্তা আসলে আমরা করা লাগেনা সেটা অটোমেটিক্যালি হয়।
সেই জন্য ভাবলাম, যেহেতু এবারেও অপারেশন হলো না হাসপাতালে আর অপেক্ষা করে লাভ নেই। এজন্য আমার সিদ্ধান্ত নিলাম বাবাকে বাড়িতে নিয়ে আসব। কয়েকদিন বাড়িতে থাকার পর একটু নরমাল হলে তারপর না হয় আবারও হাসপাতালে গিয়ে দেখব ব্যাপারটা। যেহেতু ব্যাপারটা এখনো স্থিতিশীল। স্থিতিশীল বলতে বাবা এখন একটু চলাফেরা করতে পারছে। যে জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটা এখনো কোন ইফেক্ট পেলেনি। এজন্য ভাবছি কিছুদিন পরে অপারেশনটা করলেও হয়তোবা অসুবিধা হবে না। আর তারপরে এতদিন হাসপাতালে থাকতে থাকতে অপারেশন টেবিলে গিয়ে আরো বেশি টেনশন ঢুকে পড়ে। এইজন্যই মনে হয় প্রেসার বেড়ে যায়।
বাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশ সাথে একটু সময় কাটালে হয়তোবা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এইজন্য গতকালকে আমরা বাবাকে হসপিটাল থেকে ডিস্টার্জ করে প্রথমে আপুর বাসায় নিয়ে আসলাম। যেহেতু আপু চট্টগ্রামেই থাকে। এতদিন ধরে আপু বাবার কাছে গিয়ে দেখাশোনা করত। বাবাকে নিয়ে আসার পর একদিন আপুর বাসায় ছিলাম। এরপরে আমরা বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা প্রায় সকাল আটটায় গাড়িতে উঠলাম। চট্টগ্রাম থেকে ফেনী আসতে যতটুকু সময় লাগে আরকি। অবশেষে বাড়িতে এসে পৌঁছালাম।
কিন্তু তারপরেও অনেক চিন্তায় আছি। যদি আবার কোন সমস্যা দেখা দেয়। তারপরেও বাড়িতে থেকে যদি কিছুটা নরমাল হতে পারে তাহলে আবারও চিকিৎসা করানোর জন্য চেষ্টা করব। আসলে সমস্যাটার চিকিৎসা করো না পর্যন্ত যেন স্থির হয়ে থাকতে পারছি না। আপনারা সবাই দোয়া করবেন। আজকে এ পর্যন্ত। পরবর্তীতে আমারও আসব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
|---|
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
দোয়া করি উনি যেন জলদি নরমাল হয়ে যান আর উনার অপারেশন টা যেন জলদি হয়ে যায়।আমারো মনে হয় বাসায় থাকলে উনি জলদি নর্মাল হয়ে যাবেন।
আসলেই যদি অপারেশনটা হয়ে যায় তাহলে বেশ ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, বিদ্যুতের সমস্যা টা মোটামুটি গত পরশুদিন সবাই ভুগেছে।তবে বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য যে গুজব ছড়ানো হয়েছে সেটা আসলে দুঃখজনক। বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার যন্ত্রপাতি মানুষই সৃষ্টি করেছে আর মানুষের সৃষ্টি তো নষ্ট হতেই পারে এটা নিয়ে গুজব ছড়ানো ঠিক না। যাইহোক আপু,আপনার বাবার কি সমস্যার জন্য অসুস্থ সেটা আমি জানি না। ওনাকে যেনো আল্লাহ সুস্থ করে দেন দোয়া করি।আপু, অপারেশন হতে যখন একটু দেরী হবে তাহলে উনাকে একটু মানসিক প্রশান্তির জন্য বাড়িতে নিয়ে আসাটাই সবচেয়ে উত্তম কাজ হয়েছে।পরিস্থিতি খারাপ দেখলে অবশ্যই আবার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো শুরু করতে হবে।আপু,আমি মন থেকে দোয়া করি আপনার বাবা যেন পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু
আপু বাবা সুস্থ হয়ে গেলে এটাই পাওয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে বেশ খারাপ লাগলো । আপনি ঠিকই বলেছেন আসলে হসপিটালে বেশি দিন থাকলে মানুষ মানসিক ভাবেও অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যায় । যেহেতু সমস্যাটা এখনো খুব একটা ইফেক্ট করেনি সেহেতু আপনারা তার মানসিক অবস্থার উন্নতি করার জন্য বাড়িতে এনেছেন বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো । কিছুদিন বাড়িতে কাটানোর পর তাড়াতাড়ি দ্রুত সমস্যার সমাধান করে ফেলবেন আশা করছি । খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ । ধন্যবাদ ।
ঠিক বলেছেন আপু, বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য একটু হয়তোবা ভালো লাগবে।
বিদ্যুতের সমস্যাটা কয়েকদিন হলোই প্রকট আকার ধারণ করেছে সারা দেশে। কবে যে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে বলা খুবই মুশকিল। আর বাড়ির একজন মানুষ অসুস্থ হলে যে কেমন লাগে সেটা আমি নিজে দেখেছি কদিন হলো। দোয়া করি আঙ্কেল যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। কিছু দিন বাসায় থাকলে ওনার শরীর মন দুটোই অনেক ভালো হবে আশা করি। হাসপাতালে থাকলে একঘেয়েমি লাগে মাঝে মধ্যে। তাই বাড়িতে সবার সাথে থাকলে অনেক টাই ভালো থাকবেন আশা করি।
ঠিক বলেছেন হাসপাতালে থাকলে একঘেয়েমি লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যখন কোন রোগীকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয় তখন এমনিতেই প্রেসার অনেক বেড়ে যায়। আর আপনার আব্বু বেশ কিছুদিন থেকেই হসপিটালে ছিলেন এটা আমরা আগেই জেনেছি। উনার প্রেসার বেড়ে গিয়েছে এটা এর আগে আমরা জানতে পেরেছিলাম। সেজন্য হয়তো উনার অপারেশনটা করা হলো না। যাইহোক আরো কিছুদিন অপেক্ষা করে এরপর অপারেশন করাই ভালো হবে।
ঠিক বলেছেন যে কোন অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেই এমনিতে প্রেসার বেড়ে যায়। এটাই বড় সমস্যা হয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি দোয়া করেছেন দেখে ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বয়সের সাথে সাথে মানুষের রোগ ব্যাধি বাসা বেঁধে ফেলে জানিনা আপনার আব্বুর কি রোগ হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকায় একঘেয়েমি ব্যাপার চলে আসছে। যেখানে অপারেশনের টেবিল থেকে ফিরে আসতে হয়েছে ওনাকে অতএব আমি বলব এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই না। শুধু একটা কথাই বলব আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। যেহেতু বাড়িতে নিয়ে এসেছেন, প্রাকৃতিক পরিবেশে চলাফেরা করলে আঙ্কেল একটু নরমাল হলে না হয় দেখবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া একটু নরমাল বলে তারপর আবারও চেষ্টা করব। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।