নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২৪ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৪ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই চম্মনের বাবা ঘরের সামনে পাইচারি করছিল। রাত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু এখনো পর্যন্ত চম্মনকে দেখতে কেউ আসেনি। এরপর মম্মনকে দিয়ে তার ফোন আনে। আর ঘটকের সাথে কথা বলে। কিন্তু ঘটক সাহেব সবকিছু বলে। আর চম্মনের বাবা অনেক রেগে যায়। এরপর চম্মন ঘরে চলে যায়। এরপর দেখা যায় রবিকে মেম্বারের লোকজন মারতেছে। গাছের সাথে বেঁধে রেখে। তারপরে দেখা যায় প্রত্যেকটা ফকির সর্দারের বাড়িতে এসেছে, রবিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা নিয়ে তারা মিটিং করছিল। এরপর তারা কালকে রবিকে ছাড়িয়ে আনবে বলে, চলে যায় যে যার বাড়িতে। এরপর দেখা যায় প্রিন্সের মা ঝুমাকে জিজ্ঞেস করছিল প্রিন্স ফকিরদের সাথে সত্যি মারামারি করেছে কিনা। এরপর ঝুমা বলে তিনি একজন ফকির কে ধরে রেখেছেন। এরপর প্রিন্স ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। আর তার মা বলে যেন ফকিরকে ছেড়ে দেয়।

এরপর তার বাবা আসে আর ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলে। এরপর প্রিন্স বলে সে ছেড়ে দেবে না। এগুলো বলে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর তার বাবাও রেগে চলে যায়। এরপর দেখা যায় রবি বিভিন্ন কথা বলছিল, আর তার উপর নির্যাতন করছিল মেম্বারের লোকেরা। এরপর সেখানে চান্দু আসে। এরপর চান্দু লোকদেরকে বলে যেন রবিকে আরো বেশি মারে। ১০০ টাকা দিয়ে তাকে আরও বেশি করে মারার কথা বলে চলে যায়। এরপর মেম্বারের লোক রবিকে আরো বেশি মারতে থাকে। আর চান্দু হাসতে হাসতে সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় সকল ফকিররা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এরপর তারা অন্য লোকদের কথা বলছিল। এরপর তারা স্লোগান করতে থাকে। তখন সেখানে ডাক্তার আপা আসে। আর রতন তাকে সবকিছু খুলে বলে। এরপর রতন ডাক্তারের কাছে খাওয়ার জন্য কিছু একটা চায়। তারপর তিনি তাকে এক প্যাকেট বিস্কিট দেয়। সেই বিস্কিট সুতা ফকির দৌড়ে নিয়ে চলে যায়।

তারপরে তার পেছনে পেছনে প্রত্যেকটা ফকির চলে যায়। এরপর দেখা যায় সুন্দরী খালা মেম্বারের বাড়িতে এসেছে, নিজের ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তখন সেখানে প্রিন্সের মা আসে। আর ওনাকে বলতে থাকে কেন তাদের বাড়িতে এসেছে। আর তখনই সেখানে প্রিন্স আসে। আর সুন্দরী খালা প্রিন্সকে বলে রবিকে যেন ছেড়ে দেয়। তারপর প্রিন্সের মা বিভিন্নভাবে বলতে থাকে যেন তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর প্রিন্স তাকে ছাড়ার জন্য যায়। আর প্রিন্সের মা তখন সুন্দরী খালাকে কড়া ভাবে নিষেধ করে দেয়, যেন এই বাড়িতে আর কখনো না আসে। এরপর সুন্দরী খালা প্রিন্সের পেছনে পেছনে চলে যায়। এরপর দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ রাস্তা দিয়ে ভিক্ষা করছিল। আর তখনই সায়েমের শশুর তাদের সামনে আসে। সায়েম বুঝতে পারিনি এটা তার শশুর। তাই ভাই ডেকে তার কাছে ভিক্ষা চায়। এরপর তাদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা হয়। আর চম্মনের বিয়ে নিয়ে তার শশুর বলতে থাকে।

এরপর তিনি তাকে বারণ করে দেয় যেন উনার পরিচয় কখনো না দেয় কাউকে। এরপর তিনি সেখান থেকে চলে যান। এরপর তারা চলে যায় ভিক্ষা করার জন্য। এরপর দেখা যায় রবি এবং মেম্বারের লোককে। সেখানে সুন্দরী খালা আর প্রিন্স আসে। আর তাকে ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেওয়ার পর রবি তো মেম্বারের লোককে লাঠি নিয়ে দৌড়াতে থাকে। তার পেছনে পেছনে তার মাও চলে যায় তখন। এরপরে দেখা যায় চম্মন বাড়ির সামনে বসে রয়েছে। তখন সেখানে মানিক আসে। আর তার সাথে কথা বলে। এরপর মানিক বলে সে চালাকি করে সব ফকিন মিলে ওই লোকদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তখনই চম্মনের বাবা কথাগুলো শুনে ফেলে। আর তার পিছন দিয়ে ধরে। এরপর তারা কথা বলে, আর মানিক উনাকে নিচে ফেলে দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। তারপরে দেখা যায় জোনাকি এবং ফুলি রাস্তা দিয়ে আসছিল। আর প্রেমের বিষয়ে কথা বলছিল। তখনই তারা ঝুমাকে দেখে। এরপর ফুলি নিজে থেকেই তার সাথে ঝগড়া করা শুরু করে।

এরপর জোনাকি তাদেরকে থামায়। আর ফুলিকে নিয়ে চলে যায়, ঝুমাও তাকে থ্রেট দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় চান্দু মর্জিনার সাথে কথা বলছিল। এরপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে রবিকে নিয়ে। এরপর রবি তাদেরকে দেখে যায়, আর রবি তাদের কাছে চলে আসে। এরপর রবি তাকে লাঠি দিয়ে দৌড়ানি দেয়। এরপর দেখা যায় প্রত্যেকটা ফকির মিছিল করতে করতে যাচ্ছিল। তারা মিছিল করতে করতে মেম্বারের বাড়িতে চলে আসে। তারা রবির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকে। এরপর ঝুমা তো তাদের সাথে ঝগড়া লেগে যায়। এবার ফকিরদের মধ্যে থেকে একজন মহিলা জুমাকে কোলে নিয়ে নেয়। এরপর প্রিন্সের মা এবং ঝুমা ঘরে চলে যায়। এরপর ফকিররা ঢিল মারতে থাকে ঘরের মধ্যে। এরপর দেখা যায় জোনাকি এবং ফুলিকে। এরপর তারা ঝগড়ার বিষয়ে কথা বলছিল। এরপর সেখানে প্রিন্স আসে। সে ফুলিকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করতে থাকে। তারপর জোনাকির সাথে পরিচিত হয়। এরপর ফুলি প্রিন্সের নামে বিভিন্ন কথা বলে জোনাকিকে নিয়ে চলে যায়। এরপর প্রিন্স নিজে নিজে কিছু কথা বলে। এরপর দেখা যায় মানিক সায়েম ফকিরের সাথে ধান্দা করতে আসে, তাকে যেন চম্মনের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়, এই কথা বলে। তারপরে পর্বটা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

ব্যক্তিগত মতামত

এই পর্বে তেমন কোন কিছুই ঘটেনি। ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আর হাস্যকর বিষয় ঘটেছে অনেক বেশি। রবিকে প্রিন্স সহ তার বন্ধুরা ধরে নিয়ে এসে বেঁধে রেখেছিল। চান্দু সেখানে এসে তাদেরকে টাকা দিয়ে যায়, যেন রবিকে বেশি করে মারে। এটা দেখে আমার তো খুব হাসি পেয়েছিল। আসলে তাদেরকে দুইজনের মধ্যে থাকা ঝগড়া, চান্দু এরকম ভাবে প্রতিশোধ নেয়। চান্দু রবিকে না ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে মারার জন্য বলছিল। আর অন্যদিকে তো আমার মনে হচ্ছে প্রিন্স জোনাকিকে পছন্দ করা শুরু করেছে। আর জোনাকির সাথে পরিচিত হয়েছে। আরো একটা ঘটনা ঘটেছে সেটা হচ্ছে মানিক ফকির সায়েম ফকিরের কাছে টাকার বিনিময়ে চম্মনকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু সায়েম এটা শুনে অনেক রেগে গিয়েছিল। দেখা যাক এরপরে কি হয়।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক