বিরামপুরের জনপ্রিয় আলু পরোটা।
🌼আসসালামুআলাইকুম/আদাব🌼
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আমার শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম যে বিরামপুরে যাবো, বিরামপুরের জনপ্রিয় পরোটা খাইতে। যেহেতু আমার সব বন্ধুদের এইচএসসি পরীক্ষা শেষ তাই সবাই ফুলবাড়ী শহরেই আছে। তাই বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করে বিকালে বের হইলাম বিরামপুরের উদ্দেশ্যে বিরামপুরের জনপ্রিয় আলু পরোটা খাওয়ার জন্য। আমাদের ফুলবাড়ী শহর থেকে বিরামপুরের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আমরা দুটো বাইক নিয়ে ছয় জন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম বিরামপুরের উদ্দেশ্যে। আজকে সেই জনপ্রিয় বিরামপুরের আলু পরোটা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। 😌
আমরা ফুলবাড়ী শহর থেকে ৬ জন বন্ধু মিলে দুটো বাইক নিয়ে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে বিরামপুর শহরে প্রবেশ করি। বিরামপুরে জনপ্রিয় আলু পরোটার দোকান বিরামপুর রেলস্টেশনের পাশেই। ওখানে বেশ কয়েকটা আলু পরোটার দোকান রয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী "রাব্বি আলু পরোটা হাউস" এই দোকানের আলু পরোটা সবথেকে বেশি টেস্টি। দুর্ভাগ্যবশত সেই দিন দোকানটা বন্ধ ছিল। তাই আমরা পাশের দোকানে চলে যাই আলুর পরোটা খাইতে।
আমার দোকানে গিয়ে ছয় জন বন্ধু মিলে ছয়টা আলু পরোটা অর্ডার দিলাম। দোকানে বেশ ভিড় থাকায় আলু পরোটা তৈরি করার সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়। তাই আমাদের অর্ডার নিয়েই তারা ছয়টি পরোটা তৈরি করার জন্য বড় তাওয়ার মধ্যে উঠিয়ে দিলো।
প্রায় ৮ থেকে ১০ মিনিট পর পরোটা গুলো তৈরি হয়ে গেল। এতক্ষণে আমরা বন্ধুরা মিলে দোকানের ভিতরে বসে জমিয়ে গল্প করছিলাম। গল্প করতে করতে আলু পরোটা আমাদের সামনে হাজির। যেহেতু আলু পরোটার দোকানগুলো রেলস্টেশনের পাশেই তাই দোকানগুলো ছিল অতি সাধারণ ফুটপাতের দোকানের মতই। এগুলোকে ফুটপাতের দোকান বললেও কোনো দিক দিয়ে ভুল হবে না।
আলু পরোটা মূলত সাধারণ পরোটার ভিতরে আলুর ভর্তা দিয়ে তেলে ভেজে তৈরি করা হয়। আলু পরোটা তৈরি করার রেসিপি অনেক সহজ আপনি চাইলে বাড়িতেও তৈরি করতে পারবেন।আলু পরোটা দেখতে যেমন সুস্বাদু মনে হচ্ছে খেতে তার থেকে আরো অনেক বেশি সুস্বাদু। 😋 আলু পরোটা গুলো মোটামুটি বড় সাইজের ছিল। বিকেলের নাস্তা হিসেবে পারফেক্ট। প্রতিটি আলু পরোটার দাম মাত্র ১৫ টাকা। সাথে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভর্তা। ভর্তার জন্য আবার আলাদা করে কোনো টাকা দিতে হয় না। বাদামের ভর্তা, তিলের ভর্তা, ধনেপাতার ভর্তা ইত্যাদি আরও অনেক কয়েকটা ভর্তার আইটেম ছিল। আমরা মূলত বাদামের ভর্তা এবং তিলের ভর্তা দিয়ে খেয়েছিলাম। আমি বাদামের ভর্তা, তিলের ভর্তা দিয়ে খেলে বেশি টেস্ট পাই। আমি প্রায় দুই এক মাস পরপর বিরামপুরে যাই আলু পরোটা খাইতে। কারণ আলু পরোটা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আজকে এই পর্যন্তই দেখা হবে নতুন কোন ব্লগে নতুন কোন টপিক নিয়ে।
লোকেশন | ফোনের মডেল | ফটোগ্রাফার |
---|---|---|
বিরামপুর,দিনাজপুর | Oppo F17 | মোহাম্মদ তাশিক |
🌹ধন্যবাদ সবাইকে 🌹
😇চাইলে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন😇
FacebookInstagramTwitter
বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন রকমের জনপ্রিয় সব খাবার রয়েছে। যেই খাবারগুলো সেই জায়গাগুলোতে গেলেই একেবারে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। আলু পরোটা গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। ১৫ টাকা পিস হওয়াতে বেশ ভালো হয়েছে। গরম গরম আলু পরোটা হলে মজা করে খাওয়া যেতে পারে। আর সাথে যেহেতু ভর্তা ছিল তাহলে তো আরো মজা হয়েছিল নিশ্চয়ই। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে ভালই মজা করেছেন বুঝতে পারছি ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলেই জনপ্রিয় খাবারগুলো সকলে তৃপ্তি সহকারে খায়। আপনার এত সুন্দর মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ🥀
বিরামপুরের জনপ্রিয় আলু পরোটা বাহ্ দারুন। আমি তো খাইনি ভাই। আমাদের কেও বলতে পারেন সবাই মিলে গিয়ে জমিয়ে খেতাম। বন্ধুদের সাথে চমৎকার সময় উপভোগ করেছেন। আপনাদের সবাইকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
কখনো দিনাজপুরে আসলে আমাকে জানাবেন অবশ্যই আপনাকে খাওয়াবো। লিমন ভাই এত সুন্দর করে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে🥀
আপনাদের এই মুহূর্তটা দেখে আসলেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। পরীক্ষা শেষ হওয়া মানেই যেন অনেক বড় একটা বিপদ থেকে উদ্ধার হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে আপনারা বন্ধুরা সকলে মিলে একটি বিকেলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলুর পরোটা খেতে যাবেন আসলে এরকম সিদ্ধান্তকে আমি সব সময় সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি সব সময় লেখাপড়ার মধ্যে থাকলে জীবনটা উপভোগ করার আনন্দটা একদমই হারিয়ে যায় তাই মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি করা উচিত। আর ঘোরাঘুরির মুহূর্তে যদি বন্ধুরা পাশে থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আপনার সুন্দর মুহূর্তটা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপনি ঠিকই বলেছেন যে পরীক্ষার পর বন্ধুদের সাথে ভালো সময় অতিবাহিত করলে মন এবং ব্রেইন দুটোই ফ্রেশ হয়ে যায়। এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য জীবন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 🥀