একটি শিক্ষামূলক কবিতা ও আমাদের সমাজ বাস্তবতার চিত্র
অনেক সময় আমাদের সমাজে এই সমস্যাটা দেখতে পাওয়া যায়, একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসে না। হয়ত ভাবে, সে বিপদে পড়লে আমার কি? যত দিন যাচ্ছে, এই সমস্যাটা যেন বেড়েই চলেছে।
নাগরিক জীবনে সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, সেটা ঠিক। কিন্তু এই শহুরে সভ্যতা যে আমাদেরকে দিন দিন স্বার্থপর করে তুলছে, এর পরিণতি খুব ভয়ঙ্কর হতে পারে। আজ আমি যেমন অন্যের বিপদে চুপ করে আছি, না দেখার ভান করছি.. যেদিন আমি বিপদে পড়বো, সেদিন অন্যরাও ঠিক আমার সাথে একই আচরণ করতে পারে।
আমি সামাজিক জীব, তাই সমাজে সে দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে হয়। আর সবাই তো সেই বৃদ্ধর গল্প জানে, যে তার ছেলেদেরকে লাঠি ভাঙ্গার উদাহরণ দেখিয়ে একতাবদ্ধ থাকার শিক্ষা দিয়েছিল। এটা আপন ভাইদের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, ঠিক তেমনি সমাজের আর দশটা মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এ বিষয়টা নিয়ে আজ একটা শিক্ষামূলক কবিতা লিখলাম। পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
শিরোনাম: স্বার্থপরতার পরিণতি
কেমন মানুষ আমরা
চোখের সামনে মানুষ মরে
তাও জ্বলে না চামড়া!
রাস্তাঘাট যখন দেখি
ঘটতে দুর্ঘটনা
আমরা কেমন নির্বিকার
পাত্তাও দেই না।
কিংবা যখন চোখের সামনে
কেউ পরে বিপদে
আমরা সেসব না দেখেই
হেঁটে যাই নিজ পথে
হয়ত ভাবি এসব নিয়ে
ভাবার সময় নাই
অন্য লোকের সমস্যাতে
আমার কি আসে যায়?
যে মরেছে, সে তো আমার
আপন কেউ নয়
এসব নিয়ে ভাবার তাই
নেই আমার সময়!
কিন্তু আজ এভাবে যদি
এড়িয়ে যান ভাই
আপনার প্রয়োজনের সময়
দেখবেন কেউ নাই।
I believe, Life is beautiful!
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই
ধন্যবাদ কবিতাটি পড়ে উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য। পাশে থাকবেন।