|| রাজস্থানের রাজমহলের ঘরানায় এবার দুর্গা মন্ডপ লো-ল্যান্ড কলোনিতে ||
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালো আছেন।
আমার ঘরের কাছাকাছি এক আশ্চর্য দুর্গের নির্মাণ হয়েছে দুর্গা পূজা উপলক্ষে। রাজস্থানের রাজপুত রাজাদের প্রাসাদের অনুকরণে তৈরি এই দুর্গা মন্ডপ। বরানগর লোল্যান্ড কলোনির এই মণ্ডপটি আর বারের থেকে অনেক বেশি জাঁকজমক। যা কলকাতার সেরা কয়েকটি মন্ডপের মধ্যে একটি নির্বাচিত। এবিপি-র তরফ এটি জেলার সেরা মন্ডপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এর গড়নের নিপুণ শৈলীকলা আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আজকে মূলত বাহির মহলটাই আলোচনা করা হলো ছবি সহকারে।
আমার ঘরের কাছে এমন একখানা আশ্চর্য দুর্গ তৈরি হবে ভাবিনি। ঘরের কাছে বলতে যে পাড়ায় থাকি সেখানে।
ভাবিনি এই কারণে বললাম, এখানে বরাবরই দুর্গা পুজোর কোনো না কোনো একটা থিম হাজির হয়ে থাকে, তবে সেটা কলকাতার আর পাঁচটা বাঘা থিমের কাছে থই পায়না।
তবে এবার যে তারা এহেন তাক লাগিয়ে দেবে, তা মেসের ছেলেপিলেদের কারোরই বোধহয় ভাবনায় আসেনি।
বাহির মহল দেখেই এর সৌন্দর্য ও কারিগরী মুন্সিয়ানা আঁচ করা যায়। বিশেষত মহলের বাইরে এই পুকুরটি থাকায় এর সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
দুর্গটি উল্টোদিকে হওয়ায় চোখে পড়ার কারণও ছিলনা তেমন। কারণ সেদিকে সচরাচর যাওয়া আমার হয়না। সদর পথ যেদিকে সেদিকেই আমার মূলত যাওয়া আসা। বাস গাড়ি অটো সবই ওই সদর পথে।
দু আড়াই মাস আগে থেকেই এদের তোর জোড় দেখেছি। বাঁশ খুঁটি নিয়ে থিম শিল্পীরা চালা চালি করছিল। তাতো সব মন্দপেই করে। তবে সেই চালা চালি এমন চমৎকার কিছু নির্মাণের জন্যে হচ্ছে, তা বুঝে ওঠার অবকাশ পায়নি।
সেদিন সিলেবাসের ছোটগল্পের একটা জেরক্স নিতে আরেক মেস বাড়ি গেছিলাম। সেখানে আমার বন্ধু পল্লব থাকে। দুর্গা মন্ডপের কাছাকাছি সে থাকে।
সেখানেই সন্ধেবেলা বিরাট আলোর ঝলকানি পাশ ফিরে তাকাতেই তাজ্জব হয়ে যায়।
একি এ যে রাজপুতদের সম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। রাজস্থানের রাজপুত রাজাদের তৈরি সুবিশাল প্রাসাদের ঘরানায় তৈরি হয়েছে বরানগর লো ল্যান্ড এরিয়ার এই দুর্গা মণ্ডপ টি। আশ্চর্য নির্মাণ। নিখুঁত গড়ন। অবিকল তৈরি হয়েছে রাজপুতদের দুর্গ।
আকারেও বিরাট। দুর্গের মাথা আকাশ ছুঁয়েছে যেন। দীর্ঘ এই দুর্গ চলে গেছে এ মাথা থেকে ও মাথা। প্রশংসা করতে হয় এই থিম শিল্পীদের।
মাথার বুদ্ধি চোখা নাহলে এতটা অবিকল করা যায়না। নাহ, দু মাস আগে বাঁশ চালা চালি করার লোকগুলোর ওপর আমার শ্রদ্ধায় মাথা নুইয়ে আসে। শিল্পীদের আসলে কেউ উপেক্ষা করতে পারেনা। বাইরে না দেখাক, তার ভেতর স্বীকার করে নেয়।
এই ক্যারেক্টারটি সাপের মত ফণা তুলে থাকা হলেও অনেকটা ড্রাগনের ধাঁচে তৈরি। মন্ডপের বাইরে যে বিরাট মেলার আয়োজন হয়েছে, তাই এই ক্যারেকটার গুলো নিঃসন্দেহে মানুষের কৌতুহল , উত্তেজনা ও আনন্দ বাড়াচ্ছে।
বাহিরের সাজসজ্জা খুব সুন্দর। এই ক্যারাক্টর গুলো ছবিতে ছোট হলেও আকারে ভীষণ বড়। এবং মুভমেন্ট করছে। রাতে যা ভারী সুন্দর দেখায়। এখানে খুব বড় একটা গিরগিটি দেখা যাচ্ছে।
আজ এই অব্দি রইল। আগামীকাল এই মন্ডপের অন্দর মহলের দুর্দান্ত কারুকার্য ও শৈল্পিক নিপণতা আপনাদের দেখাবো। ততক্ষণ ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
আপনি প্রথমে যে থিমটা দেখিয়েছেন এটা স্বাগতা দিদি তার পোস্টে শেয়ার করেছেন। এই থিমটার নাম মনে হয় অন্দরমহল। এবং বেশ অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। রাতের বেলা আপনার ঘোরাঘুরি টা বেশ চমৎকার ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। বহু মানুষই এসেছেন এই দুর্গ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে। মিলনের একটা বড় জায়গা হয়ে উঠেছিল এই মহল।
এতগুলো ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। রাতের বেলা আলোকসজ্জার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। পূজাতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। বাহিরের মহলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই বেশ অসাধারণ। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ঠিকই বলেছেন। রাত্রি বেলাতেই এই মহলের চমক আরো বেড়েছে। যেমন ভিড় তেমন আলোর ঝলকানির সৌন্দর্য। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।