|| প্রিয় কিছু মুহূর্তের ফ্রেমবন্দি ও তাদের নিয়ে কথা ||
বন্ধুরা কেমন আছেন। আশাকরি সকলে ভালোই আছেন। আজ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তার সাথে কিছু কথা।
বিকেল বেলা। বৃষ্টি হয়ে থেমেছে। ঠান্ডা বাতাস ঝির ঝির করে বইছে। মাটিতে একটুও ধুলো নেই। বৃষ্টির সমস্ত ধুলো মাটিতে চেপে বসে গেছে। এমন আবহাওয়ার সৃষ্টি হলে আমি সাধারণত ঘরে বসে থাকিনা।
গ্রামে আমার একটিমাত্র বন্ধু আছে। বাকি যারা আছে তাদের সাথে আমার ছোটবেলা থেকেই বন্ধুত্ব হওয়ার সুযোগ ঘটেনি, তাই খুব সখ্যতা নেই, খবরাখবর নেওয়া অব্দি কথা হয়।
আরো একজন ছিল অবশ্য। তবে সে এখন গ্রামে থাকেনা। তাই ধরলে আমার ওই একটাই বন্ধু গ্রামে। দুজনেই আমরা একসাথে, একই বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছি। একইভাবে আমিও তার একমাত্র বন্ধু এই গ্রামের মধ্যে। সে হিসেবে হয়তো আমাদের দুজনের মধ্যে দারুন সখ্যতা। আর পাঁচ জনের অভাব , আলাপ, পাঁচজনের সমান কথা ওই একজনের সাথে বলেই পূরণ করি। সেও গোটা দিন চুপ মেরে থেকে বিকেল বেলা আমরা যখন বেরোয়, তখন বেহিসেব কথা বলে।
আমরা আমাদের প্রাণের গল্প কথা উজাড় করি এই বিকেল বেলায়। বেশির ভাগ দিন কড়া রোদে বেলে মাটি শুকিয়ে ধুলো হয়ে থাকে। আমাদের ধুলোর ওপর গাড়ি উড়িয়ে যেতে হয়, ফলস্বরূপ ফেরার পথে চেহারার কোনো আস্ত থাকেনা। অতএব এমন একটা বৃষ্টি হাওয়া মেঘলা বিকেল পেলে আমাদের সত্যই আনন্দের সীমা থাকেনা।
আজ কিছু ছবি আপনাদের দেখাবো। আমরা যেখানে ঘুরে বেড়ায়, শান্ত বিকেল গুলোয় বসে বসে যেখানে সময় কাটায়, তার কিছু আলোকচিত্র আপনাদের দেখাবো।
তখন আকাশে ঘন কালো মেঘ। বারিধারা কিছুক্ষন আগে থেমেছে, তবুও আকাশের মুখ ভারী। তখন সন্ধ্যে নেমে আঁধার হব হব। একটি বাইক আলো জ্বালিয়ে ছুটে আসছে। সবমিলিয়ে একটা দারুন মুহূর্তের তৈরি হয়। প্রকৃতিকে অপরূপ লাগে। আমি প্রকৃতির এই মাধুর্য মুহূর্ত ক্ষণ ফ্রেমবন্দি করে ফেলি।
মরা গাছটি নিরব শান্ত মেঘলা আকাশটির কাছে কি যেনো আর্জি করছে। তার দাবিমুখর এই মুহূর্তটুকু তৎক্ষণাৎ আমি ফ্রেমবন্দি করি।
ফুলহরের পাড়। আমার প্রিয় একটা বসবার জায়গা। গোধূলিক্ষণে আকাশের ছায়া বুকে করে থাকা ফুলহরের এই অপরূপ শোভা আমি অপলক চেয়ে থাকি।
আমার বাড়ির ছাদ থেকে তোলা গভীর রাতের আকাশ। চাঁদ আকাশ আলো করে আছে। একটি তারা প্রদীপের মত টিমটিম করছে। অনেক নিচে পৃথিবীর সকল গাছপালারা চুপচাপ। সৌন্দর্যের নিরবতা ভাঙতে আমার ভালো লাগেনা। আমিও চুপচাপ থেকে কেবল দেখতে থাকি নিরব সুন্দরকে।
স্থান : নাককাটি ব্রিজ, বালুপুর, পোদ্দার পাড়া, মালদা
ক্যামেরা : iQoo 9se
মডেল : 12019
ফোকাস লেংথ : 25 mm
আজ এই অব্দি রইল। আগামীকাল আবার নতুন একটি লেখা নতুন একটি কথা নিয়ে হাজির হব। ততক্ষণ আপনারা ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
প্রথম ছবিটা প্রথমে ভেবেছি পিক্সাবে থেকে নিয়েছিস, পরে পোস্টে ঢুকে বুঝলাম তোর ফোন থেকে তোলা। দারুন ফটোগ্রাফি হয়েছে ওটা।
হ্যাঁ ছবিগুলো ভালো লেগেছে আমার নিজেরও।
আপনার প্রথম ছবিটি দেখে আমি অবাক ভাই। এতো সুন্দর ছবি কেমনে সম্ভব। পারফেক্ট একটি ক্লিক ছিলো। তবে আপনার ছবিতে কোনো লোকশন এড করেন নাই ভাই৷ আশা করি লোকেশন এড করে দিবেন এডিট করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ মন্তব্য রাখার জন্য দাদা। হ্যাঁ ওটা এখন ঠিক আছে।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর প্রকৃতির সাথে কিছু সুন্দর সময় কাটানোর ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ।।
হ্যাঁ ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।
সবগুলো ছবি বেশ দারুন ভাই। বাড়ির ছাদ থেকে তোলা গভীর রাতের ছবিটা বেশ সুন্দর। চাঁদ মামার উকি দেওয়া ছবিটা।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
বাড়ির ছাদ থেকে তোলা ছবিটি আমারও খুব ভালো লেগেছে। মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আপনার তোলা প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করার পাশাপাশি নিজের মনকে প্রাকৃতিক সাথে উজার করে দিয়েছেন।
এত সুন্দর কিছু আমাদের উপর দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
একটা সুন্দর মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় কিছু মুহূর্তের ক্যামেরাবন্দি এবং সেই সাথে তাদের সম্পর্কে কিছু কথা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগলো এরকম পোস্ট আপনার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত আশা করব।
দাদা গাছের উপরের অংশটা মরা আবার নিচের অংশটা জীবত বুঝলাম না। কাহিনীটা কি। সব গুলো ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
ওখানে দুটো গাছ আছে ভাইয়া। নিচে যেটা দেখছেন ওটা অন্য জাতের একটা গাছ l।