গল্প : অন্য ফেলুদা || ১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox ও ৫% @abb-school এর জন্যে
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন।
আজ লিখে ফেললাম একটি গল্প। একটি মজার গল্প। আজকের লেখাটি সেই সমস্ত কিছু ছাত্র বা দাদা যারা প্রতিবছর ফেল করে। কিন্তু এ ফেল করা নিয়ে তাদের তেমন মাথা ব্যথা থাকে না। তারা নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আনন্দে থাকে। এরা খুব মজার হয়। হয় সৎ ও। আর খাবারবেলায় এরা মোটেই ঢিলেমি করেনা। আজকের লেখা এই মানুষগুলোকে নিয়েই।
ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করার পরেই ফেলুদার কাছে ছুটলাম। আমাদের পাড়ার ফেলুদা। বছরের-পর-বছর ফেল করে সে ফেল বিষয়ক ক্ষেত্রে এতটাই জ্ঞানী হয়েছে যে, অনেকেই তার কাছে ছুটে যায় সমস্যা সমাধানের জন্য। মানে ফেল করার পর বাবার হাত থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় সেই বুদ্ধি টুকু পাওয়ার জন্য। ফেলুদা সহজে কিছু বলেনা। অনেক তেল দিতে হয় তাকে ,তারপর সে মুখ খোলে এবং সমস্ত মতলব বাতিয়ে দেয় তাতে ভালো কাজ হয়।
প্রায় কাঁদো-কাঁদো হয়ে ফেলুদাকে বললাম, "বাবার হাত থেকে আমাকে কি এবার বাঁচাবেনা ?
আমার ফেলের ব্যাপারটা ফেলেদে বলে ফেলুদা দু'ডিস ফালুদার এক ফোঁটাও ফেললেন না ! অতঃপর আমাকে ফুল বলে আমারই আনা ফুল এক চেঙ্গারি ফুলো ফুলো ফুলুরি ও কিছু ফলে মন ফেলে, শেষে গম্ভীর হয়ে বললেন, অদুর ভবিষ্যতে তোর ফল এবার খুব খারাপ ফলবে !
ফলের কথা শুনে আমি কেমন ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলাম। কেমন যেন অবশ মত হয়ে হয়ে গেলাম।
আমি ছোটবেলা থেকে ফেলুদার ভবিষ্যতবাণী ফলো করে আসি। সত্যিই খাটে। এবারও খাটবে। কিন্তু একটিমাত্র শব্দে একটুখানি আশ্রয় খুঁজে পাওয়া গেল-- 'অদূর ভবিষ্যত' ! এই অদূর ভবিষ্যত কথাটির সাথে যতবারই মুখোমুখি হয়েছি, আমি উতরে গেছি। অদূর সারাজীবনই সুদূর থেকেছে থেকেছে আমার থেকে। এবারও থাকবে বলে বেঁচে যাওয়ার একটা আভাস অনুমান করলাম।
কিন্তু একি, ফেলুদার কি হল, সে অসমাপ্ত আহার পরিত্যাগ করে ঘরের মেনিটির মত চক্ষের পলকে উরে গেল কেন পেছনের গেট টা দিয়ে। গেট তো নয় জানালা বললেই চলে, এতটাই ছোটো ! তাবলে অমন নিখুঁত পরিমাপে এবং অমন গতিতে কেউ খুব বড় বিপদে না পড়লে পালাতে পারেনা...
কি হলো, কেনো হলো কীভাবে হল সমস্ত কিছুর উত্তর পেলাম ঘরের মেইন গেটের দিকে তাকাতেই। হ্যাঁ তিনিই দাঁড়িয়ে আছেন। হ্যাঁ তিনি আমার বাবা ! সুদূর নয়, গেটের খুব অদূরেই দাঁড়িয়ে আছেন, হাতে মস্ত একখান পাকা কঞ্চির লাঠি নিয়ে।
এবার তাঁর আগমনী লক্ষ্য করা গেল। তিনি এদিকেই এগিয়ে আসছেন ! তিনি এদিকেই এগিয়ে আসছেন গুটি গুটি পায়ে ! হ্যাঁ তিনি এদিকেই এগিয়ে আসছেন গুটি গুটি পায়ে মৃদু-মন্দ ছন্দে !
আর আমি সা - সা - সা .... হ্যাঁ হাওয়ার বেগে নিজের অজান্তে কখন ফেলুদার মতই সেই খিড়কি বেয়ে পার হয়ে গেছি! বাবার থেকে এখন অনেক টাই দূরে....
আজ এই অব্দি। আবার নতুন একটি লেখা নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। ততক্ষন ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। অনেক ধন্যবাদ।
ফেলুদা গল্পটি পড়ে খুবই মজা পেয়েছি আমি আগে কখনো এই ধরনের গল্প পড়িনি। যে ফেলুদার কাছে গিয়ে অভিজ্ঞতা নিতে গিয়ে ফেলুদা ই পালিয়ে গেল বিষয়টা হাস্যকর ছিল । বাবার লাঠি দেখেই ফেলুদার অভিজ্ঞতা দূর হয়ে গেছে।🤩🤩
হ্যাঁ একেবারেই, আর যাইহোক , তালে কিন্তু ঠিক থাকে ফেলুদা।😁
এজন্যই সে অদূর কথাটা বললো ফেলুদা।😅😅মজা পেলাম বেশ, ফেলের কাহিনী জীবনটাই নিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাটা ফেলুদা মতলবে থাকে সবসময়, বড় সুবিধের লোক নয়!😛😁
বাহ আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। খুবই চমৎকার লিখেছেন আপনি। এই রকম আরো অসাধারণ গল্প আপনার থেকে আশা করি। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।