বিকালের সুন্দর মুহূর্তে মৃৎশিল্প কেনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম চাচ্চুর সাথে//10% beneficiary @shy-fox
০৪ মাঘ ১৪২৮
১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
আসসালামু আলাইকুম
আমি তারেক রহমান। আমার ইউজার আইডি @tareq123 |
---|
হ্যালো বন্ধুরা ❤️
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। গতদিনের মত আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। |
---|
আজকে যে বিষয় আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করতে যাচ্ছি সেটি হল মৃৎশিল্প নিদর্শন। বাংলাদেশে একটি সময় এই মৃৎশিল্পের আসবাবপত্র গুলো পর্যাপ্ত পরিমানে ব্যবহার হতো। প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে মাটির পাতিল, মাটির কাসা, মাটির হাড়ি, মাটির সানকি, মাটির প্লেট দেখা যেত। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। যুগ যত পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের ব্যবহারের আসবাবপত্র গুলোর পরিবর্তন ঘটছে। মানুষ না চাইলেও অজান্তেই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে তাদের নিত্যনতুন ব্যবহারের জিনিসপত্র এবং চলাফেরার গতি।
https://w3w.co/openings.ruffle.flitting
গতকাল বিকেল ঠিক পাঁচটা। বাবা আমাকে বলল চলো হাঁটতে যাই। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। সম্পূর্ণ দিন একটা রুমের ভিতর বন্ধি হয়ে থাকা খুবই কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। আর সময়টিও খুবই খারাপ লাগছিল। তাই বাবার সঙ্গে বের হয়ে গেলাম ঘুড়ার উদ্দেশ্যে। ও আপনাদেরকে বলে দেই এখানে বাবা বলতে আমি আমার চাচ্চু কি বুঝিয়েছি। আমি আমার চাচ্চু কে সবসময় বাবা বলে ডাকি।
ঘুরতে যখন বের হলাম তখন বাবা বলল আজকে চলো ফুলের টপ আর সানকি কিনতে যাব। কিন্তু কোথায় সে গুলো পাওয়া যায় আমাদের জানা ছিল না। তাই আমি বাবাকে বললাম চলো একটি বাজারে যাই গিয়ে খুঁজে দেখি পাওয়া যায় কিনা। তারপর আমরা একটা অটো ঠিক করি। দুজনের ভাড়া ছিলো ২০ টাকা। বাজার যেতে সময় লেগেছিল 10 মিনিটের মত। এবার আমরা সম্পূর্ণ বাজারটি ঘুরে ঘুরে দেখলাম। বাজারটি নাম ছিল মহারাজার মোড়। বাজারের শেষ প্রান্তে একটি দোকান দেখতে পেলাম। যেখানে মাটির আসবাবপত্র তৈরি করে।
https://w3w.co/openings.ruffle.flitting
https://w3w.co/openings.ruffle.flitting
আমাদের ভাগ্য টা অনেক ভাল ছিল। কারণ অনেকদিন পর মাটির আসবাবপত্রগুলো কিভাবে তৈরি করে সেটা চোখের সামনে দেখতে পেলাম। বেশ সুন্দরভাবে চরকি ঘুরিয়ে মাঝখানে কাদা দিয়ে তৈরি করছে মাটির আসবাবপত্র। বেশ উপভোগ করলাম সেই বিষয়টিকে। তবে সেখানে বড় বড় বাসন তৈরি না করে ছোট বাচ্চার খেলার জন্য ছোট ছোট পাতিল তৈরি করছে।
তাদের হাতের কারুকার্য এতটাই সুন্দর যে অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কয়েকটি ছোট ছোট পাতিল তৈরি করে ফেলছে। আর খুবই নিখুঁতভাবে তারা কাজগুলো করছে। মাটির ছোট ছোট পাতিল গুলো দেখতে বেশ লাগছে।
https://w3w.co/openings.ruffle.flitting
https://w3w.co/openings.ruffle.flitting
https://w3w.co/openings.ruffle.flitting
ঠিক তার অপর পাশে অন্য একজন ব্যক্তি তৈরি করা ফুলের টপ এর নিচের অংশগুলো সমান করছে। যেন আঁকাবাঁকা না হয়।
এবার আমরা সেগুলো দেখা শেষ করলাম। তার পাশেই ছোট বাচ্চার খেলা করা মাটির হরিণ, চুলা, হাতি, বাঘ ইত্যাদি তৈরি করে রেখেছে সেগুলো চোখে পরলো। সেগুলো দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এই ধরনের খেলনা গুলো নিয়ে আমি অনেক খেলাধুলা করতাম।
https://w3w.co/openings.ruffle.flitting
https://w3w.co/openings.ruffle.flitting
সেগুলো দেখা শেষ করে আমরা সানকি এবং ফুলের টপ কেনার জন্য ভালো দেখে বাছাই করছি। সেগুলোর দাম ছিল সীমিত। একটি করে ফুলের টপের দাম 50 থেকে 70 টাকা। আর একটি করে সানকির দাম ছিল 40 থেকে 50 টাকা। আপনাদের তো বলা হয়নি সানকিটা কি। এটি দেখতে গোলাকার এবং উপরের অংশে ছোট ছোট দাগ কাটা থাকে। কাঁচা মরিচ রসুন আদা ইত্যাদি বাটার জন্য এই সানকি ব্যবহার করা হয়। তারপর আমরা সবগুলো কেনা শেষ করলাম, দুটি ফুলের টপ ও একটি সানকি।
সেগুলো কেনা শেষ করার পর আমরা আবার বাসার দিকে রওনা হই। বিকেলের সময়টি সুন্দর ভাবে কেটে গিয়েছে আমাদের। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সকলের মঙ্গল কামনা করে সুন্দরময় একটি বিকেলের ঘটনা এখানেই সমাপ্ত করলাম।
ভাইয়া সুন্দর একটা মূহুর্ত কাটিয়েছেন চাচ্চুর সাথে। ভাইয়া আপনার মৃৎশিল্প ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এতো সুন্দর মৃৎশিল্প গুলো তৈরি করে অসাধারণ। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। সম্পুর্ন পোস্ট করে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল।