১৬ চৈত্র ১৪২৮
২৬ শাবান ১৪৪৩
বুধবার,৩০ মার্চ ২০২২
আসসালামু আলাইকুম
👋হ্যালো👋
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশাকরি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি। আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে। ব্যাচেলার জীবনে রান্না করে খাওয়াটা খুবই কষ্টকর। তবে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ার মাঝে একটা আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও সবাই ভালোভাবে রান্না করতে পারে না।তারপরে ও নিজের হাতের রান্না যে তৃপ্তি দিয়ে থাকে, অন্য কারো রান্না সেই তৃপ্তি দিতে পারে না।
তাই আজ আমি আবারও আমার হাতে তৈরি মাছের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। মাছ সবাই পছন্দ করে। আর ভিন্ন স্বাদের তরকারি সবাই খেতে অনেক ভালোবাসে। চলুন তাহলে আজকে ব্রিগেড মাছের বিভিন্ন একটি রেসিপি দেখে আসি।
রেসিপি তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ
মাছ | ১কেজি |
পেঁয়াজ | ৫টি |
আদা | ১টুকরা |
রসুন | ৬-৭টি কমা |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
মরিচ গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
হলুদ | ১চামচ |
মসলা | ১চামচ |
জিরা গুঁড়া | পরিমান মতো |
লবণ | পরিমান মতো |
তেল | ২কাপ |
👩🍳রন্ধন প্রক্রিয়া👩🍳
ধাপ১
প্রথমে প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো নিয়েছি। |
ধাপ২
এরপর মাছটিকে খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে নিয়েছি। যেন ময়লা লেগে না থাকে। |
ধাপ৩
এরপর একটি কড়াই নিয়েছে। তারপর পরিষ্কার করা মাছগুলো সেখানে দিয়েছে। এরপর কুচি করা পেঁয়াজ গুলো সেখানে দিয়েছি। |
ধাপ৪
তারপর কাঁচামরিচ বাটা দিয়েছি। |
ধাপ৫
এরপর আদা ও রসুন বাটা দিয়েছে। |
ধাপ৬
তারপর পরিমাণমতো হলুদ গুঁড়ো দিয়েছি। |
ধাপ৭
এরপর একটু মরিচ গুঁড়ো দিয়েছি। মরিচ গুঁড়ো দেওয়ার কারণ হলো তরকারিতে একটু ভালো রং আসে এবং স্বাদ হয়। তারপর পরিমাণমতো লবণ দিয়েছে। |
ধাপ৮
সবগুলো উপকরণ দেওয়া শেষ করার পর তেল ঢেলে দিয়েছি। |
ধাপ৯
তারপর হাত দিয়ে খুব সুন্দর হবে সেই মসলাগুলো কে মাছের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছি। এই সময় খুব ভালো ভাবে মেশাতে হবে যেন মাছের প্রত্যেকটি অংশে সবগুলোর মিশ্রণ লেগে যায়। |
ধাপ১০
সবগুলো মেশানো শেষ হয়ে গেলে পরিমাণমতো পানি দিয়েছি। আর পানি এমনভাবে দিতে হবে যেন পরবর্তীতে আর পানির প্রয়োজন না হয় সেখানে দেওয়ার জন্য। |
ধাপ১১
এরপর ঢাকনা দিয়ে দিয়েছি।এই সময় ঢাকনা দিয়ে ১০-১৫মিনিট এর মতো রাখতে হবে যেন মাছ গুলো সিদ্ধ হয়। |
ধাপ১২
১০ মিনিট পর ঢাকনা তুলে দেখেছি লবণ ঠিক ছিল কি না।পানির পরিমানটা কমে এসেছিলো। তরকারি প্রায় হওয়ার পথে এই অবস্থায় ধুনিয়া গুঁড়া দিয়েছি। |
ধাপ১৩
তারপর আবার ঢাকনা দিয়েছি।পানির পরিমাণ কমার জন্য।এই সময় স্বপ্ন আপনার উপর নির্ভর করবে, কি পরিমান ঝোল রাখতে চান তরকারিতে।আমি ৪মিনিট এর মতো রেখেছিলাম। |
শেষ ধাপ
এখন আমার রেসিপিটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত খাওয়ার জন্য। |
আশাকরি ব্রিগেড মাছের রেসিপি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। অল্প সময়ের ভিতর অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করা যায় এই পদ্ধতিতে এবং রান্নার স্বাদ অনেক সুন্দর হয়। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আমার রেসিপির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এখানেই সমাপ্ত করছি।
ধন্যবাদ
ব্রিগেড মাছের ঝোল দারুন সুস্বাদু ও সুন্দর একটি রেসিপি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি রান্না করেছেন। রান্না করার রেসিপি ছবিগুলো দেখেই জিভে জল এসে গেল। রেসিপির প্রস্তুত প্রণালি ধাপ আকারে সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ব্রিগেড মাছ অর্থাৎ সিলভার মাছের উন্নত জাতের ব্রিগেড বলা হয়। আর এই মাছের ত্যকারি খুবই মজাদার হয়ে থাকে। বিশেষ করে পেটের অংশ খেতে দারুন লাগে আমার কাছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। ব্রিগেড মাছ খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু রয়েছে। আপনি অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য।
বাহ মাছটি বেশ বড়সরোই ছিল মনে হচ্ছে। তবে রেসিপির অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মাছটি বেশ শান্তিতে সাঁতার কাটছে তরকারির ঝোলের মধ্যে😁। যাইহোক সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ব্রিগেড মাছের ঝোল। আপনার রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুস্বাদু ব্রিগেড মাছের ঝোল রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো আপনি খুব সুন্দর করে ব্রিগেড মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই অসাধারণ হয়েছে। রান্নার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সাধারন রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে সুস্বাদু ব্রিগেড মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই অসাধারণ হয়েছে। রান্নার প্রক্রিয়া ধাপসমূহ খুব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
মজাদার ও সুস্বাদু ব্রিগেড মাছের ঝোল রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। আপনারা উপস্থাপনা আমার খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনার জন্যেও শুভ কামনা রইল।
ব্রিগেড মাছের ঝোল রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। আপনি অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মাছের ঝোল খেতে খুবই ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে মাছের ঝোল খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই মজার রেসিপি তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন। মজাদার রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মজাদার ও সুস্বাদু ব্রিগেড মাছের ঝোল রেসিপি দেখেি তো আমার জিভে জ্বল চলে আসছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপনার রেসিপি। তবে মাছের ঝোল রান্না আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এরকম ঝোল হলে তো কোনো কথাই নেই। দুই তিন প্লেট ভাত খেতে পারবো।আপনার রেসিপির কালার টা জোস ছিলো। ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য।