প্রিয় বন্ধুর সাথে অতিবাহিত হওয়া একটি সুন্দর দিন ও সময়//10% beneficiary @shy-fox
আজ ০৩ আগ্রহায়ণ ১৪২৮ বৃহস্পতিবার,১৮ নভেম্বর ২০২১,১২ রবিউস সানি ১৪৪৩ |
---|
Hello
বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো আপনাদের কাছে আরেকটি নতুন পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
দিনটা ছিল ৪/৯/২০২১ তারিখ। সকাল আটটার সময় ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে না হতেই আমার কলেজের বন্ধু আমাকে ফোন দেয়। দিয়ে বলে আজকে কলেজে যেতে হবে সেমিস্টার ফি জমা দেওয়ার শেষ দিন। আমি তাকে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা শেষ করে যাচ্ছি, তুমি তাড়াতাড়ি মেস থেকে বার হয়ে আসো। দুজনে কথা বলা বন্ধ করে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিলাম।এরপর বাইরে গিয়ে নাস্তা করে তার মেসের দিকে আমি রওনা দেই। সেখানে যেতে আমার তিন মিনিট সময় লাগলো।
তার মেসের নিচে দাঁড়িয়ে আমি তাকে ফোন দিলাম সেও বাইরে আসলাম। তারপর একটা অটো ভাড়া করে দুজনে উঠে বসলাম এবং রওনা দিলাম কলেজের উদ্দেশ্যে।
কলেজ পৌছাইতে আমাদের 10 মিনিট সময় লেগেছে। অটো থেকে নেমে দুই বন্ধু মিলে কলেজে প্রবেশ করলাম। কলেজে প্রবেশ করা মাত্রই স্যারের সঙ্গে দেখা। স্যার রিসিপশন অফিসে বসে আছে।স্যারকে সালাম দিয়ে কেমন আছে তা জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তর দিলেন এবং একই প্রশ্ন আমাদের কেউ করলেন। আমরা প্রশ্নের জবাব দিয়ে স্যারকে বললাম, স্যার সেমিস্টার ফি দেওয়ার জন্য আসছি এখানে জমা নিবে না ব্যাংকে জমা দিতে হবে। স্যার বলল এখানে রশিদ করে নাও আর ব্যাংকে গিয়ে জমা দিও। আমরা সেখানে রশিদ করে নিয়ে ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
কলেজ থেকে তিন মিনিট হাটলেই ব্যাংক যাওয়া যায়। আমরা সেখান থেকে হেঁটে ব্যাংকে চলে গেলাম এবং সেমিস্টার ফি জমা দিলাম। ব্যাংক থেকে বার হতে না হতেই আমার বন্ধুর মাথায় একটা ভূত চাপল সেটি হল সিঙ্গারা খাওয়ার ভূত। দিনাজপুর জেলার চারুবাবুর মোড় বা গনেশতলা গেলেই এক টাকা দামের সিঙ্গারা পাওয়া যায়। আমার বন্ধু সেখানে সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য যাবে। অনেক দিন থেকে আমিও সেই সিঙ্গারা খাইনি তাই আমি ও বললাম চল গিয়ে খেয়ে আসি।
দুই বন্ধু সেখান থেকে হাঁটতে শুরু করলাম 5 মিনিটের রাস্তা ছিল। গল্প করতে করতে কখন যে পৌঁছে গেলাম বুঝতেই পারিনি। সেখানে গিয়ে দেখি গরম গরম সিঙ্গারা তেলে ভাজতেছে, দেখেই জিহ্বায় পানি চলে আসছিল। আমরা যেখানে সিঙ্গারা খেতে গেছিলাম সেখানে দোকানদার মামার সঙ্গে অনেক চেনা পরিচিত। আমাদের দেখেই মামা অনেক খুশি এবং আনন্দের সহিত বলে উঠলেন মামা কেমন আছেন? আমরা উনার কথার জবাব দিলাম জি ভালো আছি। মামা আপনি কেমন আছেন? আমাদের কথার জবাব দিয়ে বলল একটু অপেক্ষা করেন আপনাদের জন্য গরম গরম সিঙ্গারা আমি নিয়ে আসতেছি। কিন্তু আমি আর আমার বন্ধুর ধৈর্য ধরে থাকার সময় নেই। আমরা বললাম ঠান্ডা গুলো দেন যখন গরম গুলো নামিয়ে নিয়ে আসবেন তখন গরম গুলো দিয়েন। আমাদের কথামতো মামা ২০টা সিঙ্গাড়া একটা প্লেটের মধ্যে দিয়ে দিল।
রীতিমতো দুই বন্ধু খাওয়া শুরু করলাম। সে গুলো খাওয়া শেষ হতে না হতেই গরম সিঙ্গারা আমাদের প্লেটে আবারও দিয়ে দিল। সিঙ্গারার সঙ্গে ,লাঠি কাবাব ,নিমকি, মাশরুম, রসুন বড়া,ডিম বড়া দিয়ে দিল।দুই বন্ধু মিলে মজা করে খেতে শুরু করলাম। এপাশে হঠাৎ করে আমার বন্ধু বলে উঠলো আচ্ছা আমরা যে এতগুলা খাচ্ছি টাকা আছে তো। আমি বললাম খাওয়ার জন্য আসছি খাওয়া শেষ কর তারপর টাকা চিন্তা করা যাবে। খাওয়া শেষ করে বিল হল 150 টাকা।আমরা চেনা-পরিচিত বললে আমাদের কাছ থেকে 120 টাকা নিল। আমি 120 টাকা মামাকে দিয়ে দিলাম।
ওখান থেকে দুই বন্ধু রওনা দিলাম মেসের উদ্দেশ্যে। সে মেসে আসার সময় বলতেছে বন্ধু খাওয়া মনে হয় কম হয়ে গেছে।আর একটু খাওয়ার দরকার ছিল। আমার বন্ধু এমন এক খাদক যে তার প্রিয় জিনিস গুলো খাওয়ার পর যদি মনের ভিতর শান্তি না আসে তবে সে আবার খেতে চায়। আমি বললাম থাক অন্য একদিন মন-পেট দুটই ভরে খাবো।এ ভাবে ২ বন্ধু মিলে দিনটি অনেক মজা করে কাটিয়ে দেই।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQUeUKZhDujw5euDEDNapVNvXqqETx7ei8WFiVVrvuPMD/IMG_20211015_192204_506.jpg)
আমি মোঃ তারেক রহমান। আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি দিনাজপুর এ্যাপটাচ পলিটেকনি ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করছি। আমি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার প্রিয় শখ হচ্ছে ফুটবল খেলা, ট্রেনে ভ্রমণ করা, অবসর সময় ফুলের বাগান তৈরি করা, তার পাশাপাশি বই পড়তে অনেক পছন্দ করি।
বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনি আপনার বন্ধুর সাথে। স্ট্রীট ফুডের ফটোগ্রাফি গুলো ভাল ছিল। আপনার কাটানো সুন্দর সময় গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ভ্রমণের সময় খুব ভাল খাবার সুস্বাদু দেখান, আমি ভ্রমণ পছন্দ করি।