নিজ হাতে তৈরি প্রথম মুরগির মাংসের রেসিপি//10% beneficiary @shy-fox
আজ ০৭ অগ্রহায়ন ১৪২৮ সোমবার,২২ নভেম্বর ২০২১,১৬ রবিউস সানি ১৪৪৩ |
---|
হ্যালো বন্ধুরা
আমি @tareq123। আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনদের জানাই সালাম। আসসালামু আলাইকুম, এবং অন্যান্য ধর্মের ভাই ও বোনদের প্রতি রইল আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গত কালকের মত আজকেও একটি নতুন পোষ্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তবে এটা কোন চিত্র অংকন বা ভ্রমণের পোস্ট নয়।
আজকে যে পোস্টটি করবো সেটা হল মুরগির মাংসের রেসিপি। প্রথমবার নিজ হাতে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি তৈরি করলাম এবং আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। চলুন তাহলে এখানে আর সময় না কাটিয়ে মূল অংশে চলে যাই।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
তেল | ২কাপ |
---|---|
শুকনা মরিচ | পরিমান মতো |
আদা | পরিমান মতো |
রসুন | পরিমান মতো |
পেঁয়াজ | ৬টি |
মসলা | পরিমান মতো |
হলুদ | ১চামচ |
লবণ | পরিমান মত |
ধনিয়া পাতা | পরিমান মতো |
মাংসের পরিমাণ | ১কেজি |
🐔ধাপ১🐔
প্রথমে মাংসগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। যেন মাংসের ভেতর কোন রকম রক্ত বা অপরিষ্কার কোন জিনিস না থাকে। ধোয়ার সময় খুব সাবধানতার সাথে ধুয়েছি যেন মাংসগুলো গুলো ছিড়ে যায়।
🐔ধাপ২🐔
এবার পরিমাণমতো শুকনা মরিচ পানিতে ভিজিয়ে নিয়েছি। পানিতে ভিজে নেওয়ার কারণ হলো এগুলো বাটতে অনেক সুবিধা হয় এবং তাড়াতাড়ি বেটে ফেলা যায়।
🐔ধাপ৩🐔
এরপর রসুন, আদা পরিমাণমতো বেটে নিয়েছি এবং পেঁয়াজগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছে। মাংস রান্নার সময় পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিলে তেলে ভেজে নেওয়া অনেক সুবিধা হয়ে থাকে।
🐔ধাপ৪🐔
কড়াই চুলার উপর বসিয়ে এরপর ২ কাপ তেল একটি কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিয়েছি।চুলার আগুনের তাপ স্বাভাবিক করে দিয়েছি যেন ধীরে ধীরে তেলটি গরম হয়।
🐔ধাপ৫🐔
এরপর কুচি করা পেঁয়াজ গুলো সেই গরম তলের উপর ঢেলে দিতে হবে। তারপর চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে পেঁয়াজগুলো কে নেড়ে নিয়েছি। যেন কড়াই এর সাথে দাগ লেগে না যায়। পেঁয়াজ গুলো যতক্ষণ পর্যন্ত লালচে বর্ণ ধারণ করবে না,ততক্ষণ পর্যন্ত ধীরে ধীরে চামচ দিয়ে নাড়তে হবে।
🐔ধাপ৬🐔
পেঁয়াজ গুলো একটু লালচে বর্ণ ধারণ করার পর শুকনা মরিচ বাটা গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে মরিচবাটা গুলো পেঁয়াজের সঙ্গে একত্রিত করেছি।
🐔ধাপ৭🐔
এরপর আদা বাটা,রসুন বাটা, মসলা বাটা সবগুলো দিয়ে খুব ভালোভাবে একত্রিত করেছি। সঙ্গে লবণ, হলুদ দিয়েছি। এরপর দুই থেকে তিন মিনিট সবগুলোকে একত্রিত করেছি।
🐔ধাপ৮🐔
মসলাগুলো সুন্দরভাবে একত্রিত হয়ে যাওয়ার পর মাংস গুলো একটি একটি করে দিয়ে দিয়েছি। সবগুলো দেওয়া শেষ করে চামচ দিয়ে সেই মাংসগুলোকে মসলার সঙ্গে মিশ্রণ করে নিয়েছি। যেন মসলার অংশগুলো মাংসের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।
🐔ধাপ৯🐔
3 মিনিটের মত মাংসগুলোকে নেড়ে ধনিয়াপাতা দিয়েছি। তারপর আবারও পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মত মাংস গুলোকে কসিয়ে নিয়েছি। যেনো মাংস গুলো একটু সিদ্ধ হয়।
🐔ধাপ১০🐔
স্বাভাবিক পরিমাণে পানি দিয়ে মাংসগুলোকে আরো ১০ মিনিটের মত কসিয়ে নিয়েছি। যেনো মাংস গুলো সম্পন্ন ভাবে সিদ্ধ হয়ে আসে।
🐔ধাপ১১🐔
এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়েছি। কড়াই এর গায়ে যেগুলো মসলা লেগেছিল সবগুলো চামচ দিয়ে মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছি।
🐔ধাপ১২🐔
এবার মাংসগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার জন্য কড়াই এর উপর ঢাকনা দিয়ে দিয়েছি 10 থেকে 12 মিনিটের জন্য। এই সময় চুলার আগুনের তাপ পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিয়েছি। যেন মাংসগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয় এবং পানির পরিমাণ একটু কমে যায়।
🐔ধাপ১৩🐔
10 থেকে 12 মিনিট পর কড়াইয়ে ঢাকনা তুলে দেখলাম রং কেমন হয়েছে। চামচ দিয়ে অল্প একটু নেড়ে দিলাম যেন কড়াই এর নিয়েছে দাগ লেগে না যায়। এর মধ্যে পানি টাও অনেক কমে গিয়েছে। আবারো ঢাকনা দিয়ে 5 মিনিটের মত রেখে দিলাম।
🐔ধাপ১৪🐔
এবার এটি খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
আজকে প্রথমবার নিজ হাতে মুরগির মাংসের রেসিপি তৈরি করেছি। তবে প্রথমবার খারাপ রান্না করিনি, অনেক মজা হয়েছিল মুরগির মাংসের রেসিপিটি। চাইলে আপনারাও বাসায় চেষ্টা করতে পারেন। আপনাদের কাছে কেমন লাগলো আমার রেসিপিটি অবশ্যই মতামত জানাবেন। আপনাদের মঙ্গল কামনা করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত রেসিপির বর্ণনা এখানেই সমাপ্ত করলাম।
নিজে রান্না করার মধ্যে যে অনুভুতি থাকে তা বলে বোঝানো যায় না।।কতোটা আগ্রহ নিয়ে শেষ অবদি চেষ্টা এর অনুভুতি আমি জানি কারণ আমিও রান্না করি মাঝে মধ্যে।আপনি খুব সুন্দর গুছিয়ে পরিচিত একটা রেস্পি উপস্থাপন করেছেন খুব ভালো হয়েছে শুভ কামনা।
মুরগির মাংস আমার খুব পছন্দ।আপনার রেসিপিটি অসাধারন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মুরগির মাংসের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধাপসমূহঃ গুলোতে মুরগির ইমোজি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগছে। একটু আলাদা ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। আর মুরগির মাংস হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবারের তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আমার আম্মু এইগুলো রান্না করে আমাদের খাওয়ান, আপনি নিজের হাতে রান্না করেছেন অসাধারণ দক্ষতা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য দোয়া করি এগিয়ে যান।
আপনার মুরগির মাংস মাংস রান্না করাটা খুবই লোভনীয় লাগছে। শুকনো মরিচ রান্না করার কারণে এর কালার টা অনেক সুন্দর হয়েছে। মুরগির মাংস আপনার প্রথম রান্না হলেও এটা খুবই মজার হবে বলে মনে হচ্ছে।
জি ভাই ঠিক বলেছেন শুকনো মরিচের কারণে তরকারিতে অনেক সুন্দর রং হয়েছে।
এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর করে মুরগির মাংসের রেসিপি করেছেন। দেখাতে লোভনীয় দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি যদিও প্রথম মুরগির মাংস রেসিপি তৈরি করেছেন সত্যি অসাধারণ হয়েছে আপনার মুরগির মাংসের রেসিপি। আপনি অনেক সুন্দর করে মুরগির মাংসের রেসিপি উপকরণ গুলো দিয়েছেন এবং বাটা মসলা দিয়ে আপনি মুরগির মাংসের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা রেসিপি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শুকনা মরিচ বেটে দেয়ার কারণে আপনার তরকারির কালারটা খুবই চমৎকার এসেছে ।আর আপনি শুকনা মরিচ বাটার খুব সুন্দর একটি পদ্ধতি আমাদেরকে শিখিয়ে দিলেন ভিজিয়ে রেখে তারপর বাটা ।এটা আমি আগে জানতাম না যদিও আমি বাটা মরিচ ব্যবহার করিনা তারপর শিখে রাখলাম। আপনার মুরগির মাংস রান্নাটা অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে আপনি তুলে ধরেছেন ।আপনার জন্য শুভকামনা।
আপনি নিজের হাতে প্রথম রেসিপি করেছেন এটি শুনে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।প্রথম রেসিপি যেমনই হোক না কেন সেটা অবশ্যই ভালো হয়েছে বলতে হবে ।কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন যেটি ছিল খুবই সুন্দর ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। ভবিষ্যতে আরও রেসিপি করার চেষ্টা করবেন ভালো লাগবে।
মুরগির মাংস আমার প্রিয় একটি খাবার। তবে আপনার রান্না দেখে আমার খাওয়ার ইচ্ছা করতেছে। আসলেই ভাই আপনার মাংসটা দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আশারাখি পরবর্তীতে আপনি আমাদের সামনে আরো ভালো ভালো রেসিপি নিয়ে হাজির হবেন।
আমার অনেক বছর হচ্ছে এভাবে লাল শুকনো মরিচ বেটে কোনো তরকারি খাচ্ছিনা। আপনার আজকের এই রেসিপি দেখে একেবারে লোভ লেগে গেলো
তবে আমি আপনাকে একটু সাজেশন দিতে পারি।এটা রুলস নয়,সাজেশন হিসেবেই নিবেন। আপনি রান্না শেষে সুন্দর ভাবে বাটিতে নিয়ে এরপর ছবি তুলবেন।তাহলে রেসিপি পোস্টটি অনেক বেশি কোয়ালিটি ফুল হবে।কমিউনিটির অন্যদের রেসিপি পোস্টগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু অনেক তাড়াতাড়ি রান্না শেষ করার পর বাটিতে তুলতে সময় পাই নাই।
এত সুন্দর একটি পরামর্শ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।