নিজ হাতে তৈরি মজাদার বাঁধাকপি ভাজি//10% beneficiary @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি। দিনে দিনে শীতের তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর অপর পাশে "করনা" আবারও হানা দিচ্ছে সারা বিশ্বে। আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাদের সবাইকে তিনি সুস্থ ও সবল রাখে।
শীতের মৌসুমে নতুন নতুন শাকসবজি সবাই বেশ উপভোগ করছি। আমি আজ শীতের নতুন একটি সবজির রেসেপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। রেসিপিটি হলো বাঁধাকপি ভাজি। আমার সবথেকে প্রিয় একটি সবজি। আর বাঁধাকপি প্রায় সবাই পছন্দ করে থাকে। আজকের রেসিপিটি সম্পূর্ণ আমি নিজ হাতে তৈরি করেছি। বাঁধাকপি কাটা থেকে শুরু করে রান্না শেষ করা পর্যন্ত। আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এখানে আর আমরা সময় নষ্ট না করে রেসেপির মূল অংশে ফিরে যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১/ | বাঁধা কপি | ১টি |
---|---|---|
২/ | আলু | ৭টি |
৩/ | কাচা মরিচ | পরিমান মতো |
৪/ | পেঁয়াজ | ৪টি |
৫/ | হলুদ | পরিমান মতো |
৬/ | মসলা গুড়া | পরিমান মতো |
৭/ | লবণ | পরিমান মতো |
৮/ | ধনিয়া পাতা | পরিমান মতো |
৯/ | তেল | ১কাপ |
ধাপ১
![]() | ![]() |
---|
প্রথম অবস্থায় একটি বাঁধাকপি খুব সুন্দর ভাবে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছে। তারপর আলুগুলো স্বাভাবিক পরিমাণে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছে।
ধাপ২
এরপর কাঁচামরিচ বেটে নিয়েছি। তারপর পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছে।
ধাপ৩
এরপর আলু, বাঁধাকপি পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে একটি কড়াইয়ে নিয়েছি। সেগুলোর উপর বেটে রাখা কাঁচা মরিচ গুলো দিয়েছে।
ধাপ৪
এরপর কুচি করা পেঁয়াজগুলো দিয়েছি।
ধাপ৫
তারপর পরিমান মত হলুদ দিয়েছি।
ধাপ৬
এরপর পরিমান মত তেল ঢেলে দিচ্ছি। এখানে লবণ এবং মসলা না দেওয়ার কারণ হলো। এগুলোতে তাপ দেওয়ার পর সবগুলো অল্প পরিমাণে হয়ে যাবে। যদি আমি এই অবস্থায় লবণ এবং মসলা দিতাম তাহলে লবণ এবং মসলার পরিমান বেশি হয়ে যেত।
ধাপ৭
এরপর কড়াইটিকে চুলার উপর বসিয়ে দিয়েছি এবং তাপ দেওয়া শুরু করেছি। অতিরিক্ত তাপের কারণে খুব দ্রুত বাঁধাকপি পরিমাণ কমতে শুরু করেছে।এরপর একটি চামচ দিয়ে মসলা গুলোকে বেশ সুন্দরভাবে একত্রিত করেছি।
ধাপ৮
সবগুলোর মিশ্রন খুব সুন্দরভাবে হয়ে গেলে পরিমান মত লবণ দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ৯
তারপর ধনিয়া পাতা দিয়েছি।
ধাপ১০
এরপর মসলা গুড়া দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আবার একত্রিত করেছি। আপনাদের তো একটা বিষয় বলা হয়নি। বাঁধাকপি রান্নার সময় বাঁধাকপিতে কোন অবস্থায় পানি দেওয়া যাবে না। কারণ বাঁধাকপি গুলো চুলার উপর তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর ভেতর থেকে পানি বের হয়ে আসে। যে একটু পানি বের হয়ে আসে সেগুলো দিয়ে পাতাগুলো সিদ্ধ হয়ে যায়।
ধাপ১১
ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে দেই। এই অবস্থায় প্রায় 10 থেকে 12 মিনিটের মত ঢেকে রেখে ছিলাম।
ধাপ১২
12 মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখি পানি অনেকটাই কমে এসেছে। তারপর চামচ দিয়ে একটু নেড়ে দেই।
ধাপ১৩
তারপর আবারো ঢাকনা দিয়ে দেই পানি গুলো কমিয়ে যাওয়ার জন্য। এই অবস্থায় 5 মিনিট রেখেছিলাম।
ধাপ১৪
5 মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখি কড়াইয়ে কোন প্রকার পানি নেই। চামচ দিয়ে খুব দ্রুততার সহিত সে গুলোকে একটু নাড়াচাড়া করি। যেন কড়াইয়ে নিচে দাগ লেগে না যায়।
ধাপ১৫
অল্প কিছুক্ষণ পর সে গুলোকে একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি। এখন এটি খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
আশা করি আমার নিজ হাতে তৈরি বাঁধাকপি রেসিপি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। সকলের মঙ্গল কামনা করে আমি আমার রেসিপির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এখানেই সমাপ্ত করলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
বাঁধাকপি ভাজি খেতে আমার এমনিতেই খুব ভালো লাগে। বেশিরভাগ সকালে রুটির সাথে খেতে বাঁধাকপি ভাজি তো আরো সুস্বাদু হয়। তেমনি আপনি প্রথমবার তৈরি করেছেন হিসাবে অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যিই আপনার রেসিপি টা অসাধারন ছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।