সুস্বাদু ও মজাদার মুরগির মাংসের রেসিপি//10% beneficiary @shy-fox
১১ মাঘ ১৪২৮
২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে জানাই প্রাণ ঢালা অভিনন্দন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আজ আবারও আপনাদের মধ্যে মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। রেসিপিটি হলো মুরগির মাংসের রেসিপি। শীতের সময় মুরগির মাংস পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই সীমিত পরিমাণে দেখা যায়। আর মুরগির মাংস সবার কাছেই প্রিয়।
তাই চিন্তা করলাম সবার প্রিয় একটি রেসিপি সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেই। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এই রেসিপিটি। চলুন তাহলে এখানে আর সময় না কাটিয়ে আমরা রেসিপির মূল অংশে ফিরে যাই এবং খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির প্রসেস উপভোগ করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণের তালিকা
| ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম | উপকরণের পরিমান |
|---|---|---|
| ১• | মুরগির মাংস | ১কেজি |
| ২• | পেঁয়াজ | ৬-৭টি |
| ৩• | রসুন | ৪-৫টি |
| ৪• | আদা | পরিমান মতো |
| ৫• | শুকনা মরিচ | পরিমান মতো |
| ৭• | তেল | ২কাপ |
| ৮• | লবণ | ১চামচ |
| ৯• | মসলা গুড়া | ১চামচ |
| ১০• | হলুদ গুড়া | ১চামচ |
ধাপ১
| প্রথমেই শুকনো মরিচ, রসুন, আদা খুব সুন্দর ভাবে বেটে নিয়েছি। এরপর পেঁয়াজগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। |
|---|
ধাপ২
| তারপর মাংসগুলো খুব সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিয়েছি। যেন কোন প্রকার ময়লা লেগে না থাকে। |
|---|
ধাপ৩
| এরপর একটি কড়াই নিয়েছি। তারপর কড়াইয়ে উপর 2 কাপ তেল দিয়েছে। |
|---|
ধাপ৪
| তেল গুলো গরম হয়ে গেলে সেখানে পেঁয়াজগুলো দিয়ে দেই। তারপর খুব সুন্দর করে চামচ দিয়ে নেড়ে নিয়েছি। |
|---|
ধাপ৫
| খুব সুন্দর ভাবে মিশ্রণ হয়ে গেলে রসুন গুলো দিয়ে দেই। আবার সেই রসুন গুলোকে একত্রিত করে দিয়েছি। |
|---|
ধাপ৬
| তারপর বেটে রাখা আদা গুলো দিয়েছি। |
|---|
ধাপ৭
| তারপর মরিচ বাটা দিয়েছি। মরিচ বাটার সময় এখানে লবণ দিয়েছিলাম তাই পরবর্তীতে লবণ দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।এরপর খুব ভালোভাবে চামচ দিয়ে সব গুলোকে একত্রিত করে দেই। |
|---|
ধাপ৮
| এরপর এক চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়েছি। |
|---|
ধাপ৯
| তারপর মশলা গুঁড়ো দিয়েছি। সব উপকরণ দেওয়ার শেষ করার পর চুলার তাপ একটু কমিয়ে খুব সুন্দর ভাবে মিশ্রন করে নিয়েছে। |
|---|
ধাপ১০
| মসলার মিশনগুলো হয়ে গেলে সেখানে ধুইয়ে রাখা মাংসগুলো দিয়ে দেই। |
|---|
ধাপ১১
| তারপর চামচ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে মাংসগুলোকে মসলা গুলোর সাথে একত্রিত করে দিয়েছি। এ সময় চুলার তাপ খুবই সীমিত ছিল। কারণ অতিরিক্ত তাপ এর কারণে মসলাগুলো কড়াইয়ের নিচে দাগ লেগে যাচ্ছে। |
|---|
ধাপ১২
| মাংস গুলোকে একত্রিত করার পর পরিমান মত পানি দিয়েছি। যেন মাংস গুলো একটু সিদ্ধ হয়। |
|---|
ধাপ১৩
| তারপর পানি গুলো কমিয়ে আসার জন্য এবং মাংসগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য কড়াই এর উপর ঢাকনা বসিয়ে দেই। এই অবস্থায় চুলার তাপ পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিয়েছিলাম। |
|---|
ধাপ১৪
| সাত মিনিট পর ঢাকনা তুলে দেখি পানি শুকিয়ে এসেছে। তারপর চামচ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে মাংসগুলোকে কষিয়ে নিয়েছি। কষানোর সময় চুলার তাপ সীমিত পরিমাণে কমিয়ে দিয়েছিলাম। |
|---|
ধাপ১৫
| কষানো শেষ হলে পুনরায় সিদ্ধ হওয়ার জন্য পানি দিয়ে দেই। এই অবস্থায় লবণ চেখে নিয়েছিলাম। লবণের পরিমাণ টা সামান্য পরিমাণ কম হওয়ায় একটু লবণ দিয়েছি। |
|---|
ধাপ১৬
| ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার জন্য পুনরায় ঢাকনা দিয়ে দিয়েছি কড়াই এর উপর। |
|---|
ধাপ১৭
| এরপর 5 থেকে 7 মিনিট পর ঢাকনা তুলে দেখিয়ে মাংস গুলো সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার এটি পরিবেশনের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। বাটিতে তুলে যেমন ইচ্ছে তেমন করেই পরিবেশন করা যাবে তরকারিটি। |
|---|
আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। সকলের মঙ্গল কামনা করে আমি আমার রেসিপি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এখানেই সমাপ্ত করলাম।
আল্লাহ হাফেজ
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাইয়া আপনার মুরগির মাংসের কালার দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। এত চমৎকার কালার হয়েছে যে এর স্বাদ অনেক ভালো হবে তা আর বলার দরকার নেই। কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি মুরগির মাংসের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাদের এত সুন্দর উৎসাহের এর কারণে রান্নার প্রতি আমার অনেকটাই আকর্ষণ চলে এসেছে। তাই হয়তোবা অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে খুবই সুস্বাদু রেসিপি উপস্থাপন করতে পারি। আপনার মন্তব্য শুনে আমি অনেকটাই খুশি হয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।