ডার্ক চকোলেট
স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাভাষী সদস্য আশা করি ভালো আছেন। আজকে আলোচনা করবো ডার্ক চকোলেট সম্পর্কে।
চকোলেট পছন্দ করেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। বয়স কমবেশি যাই হোক না কেন, সকলেই চকোলেট খেতে পছন্দ করেন। পৃথিবীতে হরেক রকমের চকোলেট পাওয়া যায়। আর এসব চকলেটের মাঝে ডার্ক চকোলেট সকল চকলেটপ্রেমীদের মন কাড়ে। মিষ্টি কম এবং অধিক পরিমাণ কোকো থাকার কারণেএই চকোলেট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এমনিতে তো খাওয়াই যায়, ড্রিংস এর সঙ্গে মিশিয়েও অনেকে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন।
অন্যান্য ধরনের চকোলেট খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা শরীর খারাপ হওয়ার সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ডার্ক চকোলেট খেলে এ ধরনের সমস্যা সাধারণত হয় না। তাই সব বয়সী মানুষ ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। চিকিৎসকরাও অনেক সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে এই চকোলেট খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কোকো গাছের বীজ দিয়ে ডার্ক চকোলেট তৈরি করা হয়। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। আর এ কারণে সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ডার্ক চকোলেট পছন্দ করে থাকেন। এতে থাকা প্রায় ৭০% কোকো আমাদের হার্টের জন্য উপকারী। ১০০ গ্রাম ওজনের একটি ডার্ক চকোলেটে মাত্র ৬০০ ক্যালরি থাকে। তাই যারা চকোলেট পছন্দ করেন কিন্তু ক্যালরি এড়াতে চকোলেট খাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন, তারা নিশ্চিন্তে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন।
অনেকেই হয়তো ধারণা করে থাকেন, মিষ্টি জাতীয় অন্যান্য খাবারের মতো যেকোন প্রকার চকোলেট খেলে শরীরের ক্যালরি জমে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে এই ধারণাটি ঠিক নয়। সাধারণ মিল্ক চকোলেটের তুলনায় ডার্ক চকোলেটে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকে।
চিকিৎসক এবং গবেষকদের মতে, প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম ডার্ক চকোলেট খাওয়া যেতে পারে। মাঝারি আকারের ডার্ক চকলেট এবং একটি আপেলে প্রায় সমপরিমাণ ক্যালোরি উপাদান থাকে। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আপেল কিংবা সতেজ ফলমূলের পরিবর্তে ডার্ক চকোলেট খেলে সেটি কখনোই অধিক উপকারী হবে না। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারের আনুষঙ্গিক হিসেবে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
ভালো লিখেছেন।তবে আমার ডার্ক চকলেট অপেক্ষা বেকিং চকোলেটই বেশি ভালো লাগে।
যদিও ব্যাপারটা আমার আগে থেকেই জানা ছিল। তবে নতুন করে পড়তে ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।