স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাভাষী সদস্য আশা করি ভালো আছেন। আজকের এই পোস্টে রোদ-বৃষ্টিতে নিত্য অনুষঙ্গ ছাতা সম্পর্কিত কিছু তথ্য আলোচনা করা হবে।


বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সাথে করে ছাতা না নেয়ার কারণে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে এমন অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই হয়েছে। অথচ ছাতার উদ্ভাবন হয়েছিলো বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য নয়, বরং প্রখর রোদে ছায়া পেতে। ছাতার ইংরেজি নামটিতেও এর ইঙ্গিত রয়েছে। ইংরেজি “আমব্রেলা” শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষার “আমব্রা” শব্দ থেকে, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে “ছায়া”।

ছবির উৎস

ঐতিহাসিকগণের মতে, ছাতা উদ্ভাবিত হয়েছিলো প্রায় ৪০০০ বছর আগে। সেই সময়ে প্রাচীন মিসর, আসিরিয়া, গ্রিস ও চীনের মানুষ ছাতা ব্যবহার করতো রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচতে।

বৃষ্টির সময় ব্যবহারের জন্য মোমের প্রলেপ মাখানো কাগজ ব্যবহার করে প্রথম জলনিরোধক ছাতা তৈরি করেছিলো চীনের মানুষ। তখন ছাতার হাতল তৈরি হতো কাঠ অথবা কোনো প্রাণীর হাড় দিয়ে।

ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপে ছাতার ব্যবহার শুরু হয়। তবে প্রাচীনকাল থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ছাতা শুধুমাত্র নারীদের ব্যবহার্য পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

ছবির উৎস

পুরুষ মানুষও যে ছাতা ব্যবহার করতে পারেন, তা ইংরেজদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলেন ইরানি পর্যটক ও লেখক জোনাস হ্যানওয়ে।

১৮৫২ সালে স্যামুয়েল ফক্স নামের একজন ইংরেজ ইস্পাত ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো ছাতা তৈরির নকশা করেন। এর প্রায় ১০০ বছর পর উদ্ভাবিত হয় ভাঁজ করে রাখার মতো ফোল্ডিং ছাতা।

Sort:  
 3 years ago 

খুব ভাল তথ্য দিয়েছেন ছাতা সম্পর্কে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে ।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই তথ্যগুলো উপস্থাপন করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 58000.61
ETH 3105.20
USDT 1.00
SBD 2.42