টেলিস্কোপ
স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাভাষী সদস্য আশা করি ভালো আছেন। আজকের পোস্টে আলোচনার বিষয় মহাকাশ পর্যবেক্ষণের যন্ত্র টেলিস্কোপ।
টেলিস্কোপ বা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের কথা আমরা অনেকেই জানি যার সাহায্যে অনেক দূরবর্তী বস্তু যেমন মহাকাশের গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা যায়। ইংরেজি ভাষায় Telescope শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক শব্দ “টেলি (দূর) এবং “স্কোপেইন” (দেখতে) শব্দ দুটি থেকে। অর্থাৎ টেলিস্কোপ এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে “দূরদর্শন”।
নল আকৃতির টেলিস্কোপ তৈরিতে সাধারণত লেন্স এবং আয়না ব্যবহার করা হয়। ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি ১৬০৯ সালে মহাকাশের দূরবর্তী তারা পর্যবেক্ষণের জন্য সর্বপ্রথম টেলিস্কোপ নির্মাণ করেন। স্থানীয় একজন চশমা নির্মাতার কাজ দেখে তিনি টেলিস্কোপ তৈরীর ধারণা পান। গ্যালিলিও তার তৈরি টেলিস্কোপ যন্ত্র দিয়ে সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতির উপগ্রহ এবং শনি গ্রহের বলয় স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হন। ১৬১০ বৃহস্পতি গ্রহের চারপাশে প্রদক্ষিণরত ৪টি উপগ্রহ দেখতে পান।
১৬১১ সালে জার্মানীর জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইয়োহানেস কেপলার প্রতিসরণ লেন্সের সাহায্যে একটি টেলিস্কোপ তৈরি করেন। পরবর্তীতে প্রতিফলন দর্পণের সাহায্যে টেলিস্কোপ যন্ত্র তৈরি করেন জেমস গ্রেগোরি। আইজ্যাক নিউটনও প্রতিফলন টেলিস্কোপ নির্মাণে অবদান রাখেন। আর এসব আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ডে রেডিও টেলিস্কোপ তৈরি করা হয়।
১৯৯০ সালে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বিখ্যাত হাবল টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠায়। তখন পর্যন্ত এটি ছিল সর্ববৃহৎ এবং শক্তিশালী টেলিস্কোপ। বর্তমানে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এর চেয়েও শক্তিশালী টেলিস্কোপ নির্মাণের কাজ চলছে যার নাম, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এটি মহাকাশে পাঠানো হবে।
তথ্য বহুল পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।