টেক্সট মেসেজিং বা এসএমএস আদান-প্রদান যেভাবে শুরু হয়েছিলো
স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাভাষী সদস্য আশা করি ভালো আছেন। আজকের এই পোস্টে টেক্সট মেসেজিং বা এসএমএস আদান-প্রদান যেভাবে শুরু হয়েছিলো তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা করবো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://image.freepik.com/free-vector/texting-concept-illustration_114360-2744.jpg)
টেলিফোন, চিঠিপত্র, ফ্যাক্স বা ই-মেইলের সাহায্যে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে দেয়া আজ কোন কঠিন কাজ নয়। তবে যে জিনিসটি এই কাজটি সবচেয়ে সহজ করে দিয়েছে তা অবশ্যই টেক্সট মেসেজিং বা এসএমএস। এসএমএসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর। ২২ বছর বয়সী তরুণ কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার নিল প্যাপোর্থ সেসময় যুক্তরাজ্যের সেমা গ্রুপ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ করতেন। টেলিযোগাযোগ কোম্পানি ভোডাফোলনের জন্য ‘শর্ট মেসেজিং সার্ভিস সেন্টার’ নামক গবেষণা প্রকল্পের সদস্য ছিলেন তিনি। এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির বিভিন্ন শাখার ম্যানেজারদের দ্রুত ও সংক্ষিপ্ত তথ্য পাঠানোর জন্য একটি টেক্সট সার্ভিস চালু করা। নিল প্যাপোর্থ তার কম্পিউটার থেকে ভোডাফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বার্কশায়ারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে থাকা রিচার্ড জারভিসের ‘অরবিটাল ৯০১’ মোবাইলে বিশ্বের সর্বপ্রথম এসএমএস পাঠান।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://image.freepik.com/free-vector/virtual-relationships-online-dating-cartoon-illustration_1284-58109.jpg)
“বড়দিনের শুভেচ্ছা” লেখা বার্তাটি সফলভাবে জারভিসের কাছে পৌঁছালেও সেই সময়ে প্রচলিত মোবাইল সেটগুলোতে টেক্সট লেখার সুবিধা না থাকায় তিনি এর প্রেরককে প্রতিউত্তর দিতে পারেননি। এরপর মোবাইল সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের এসএমএস আদান-প্রদানের সুবিধা দেয়া শুরু করলে সারাবিশ্বে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এক পরিসংখ্যান মতে, কেবল ২০১০ সালেই সারাবিশ্বে ৬ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন বা প্রতি সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৯৩ হাজারটি এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ভালো লিখেছেন আপনি । সত্যি বলতে আপনি যে তথ্যগুলো দিয়েছেন, তা আমার জানা ছিল না ধন্যবাদ আপনাকে ।