লুই পাস্তুর - সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন যিনি
স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাভাষী সদস্য আশা করি ভালো আছেন। আজকে এমন একজন বিজ্ঞানীর কথা আলোচনা করবো যিনি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a6/Louis_Pasteur%2C_foto_av_Paul_Nadar%2C_Crisco_edit.jpg/348px-Louis_Pasteur%2C_foto_av_Paul_Nadar%2C_Crisco_edit.jpg)
মানুষের জীবনরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ইতিহাসের অনেক ব্যক্তিত্বকে আমরা স্মরণ করি। এ তালিকায় এগিয়ে থাকবেন ফরাসী রসায়নবিদ এবং অণুজীব বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর। পানীয়ের মান ঠিক রেখে তাপপ্রয়োগে জীবাণু ধ্বংস করলে পানীয় দীর্ঘ সময় ভালো থাকতে পারে। লু্ই পাস্তুরের এ পদ্ধতি পাস্তুরায়ন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। লুই পাস্তুরের বড় অবদান মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে। খুব কম ব্যক্তিত্বই তাঁর মতো এতো বেশি সংখ্যক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। জীবাণু সম্পর্কে তার গবেষণা জীববিজ্ঞানকে আমূল বদলে দেয়। উনিশ শতকের যে সময়টিতে লুই পাস্তুর তার গবেষণা কাজ চালিয়েছেন সেই সময়ে বিভিন্ন রোগে শিশুমৃত্যু ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। তার দুই মেয়ে সংক্রামক রোগে মারা যাওয়ার ঘটনা তাকে সেই সময়কার প্রাণঘাতী রোগ সংক্রান্ত গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn4.explainthatstuff.com/how-pasteurization-works.png)
১৮৭৯ সালে লুই পাস্তুর লক্ষ্য করেন মুরগির কলেরায় বহু মুরগি ও পাখি মারা যায়। কিন্তু দুর্বল জীবাণু মুরগির দেহে প্রবেশ করালে এগুলো অসুস্থ হয় ঠিকই কিন্তু মারা যায় না। আর মুরগির দেহে কলেরা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। তখন শক্তিশালী জীবাণু আক্রমণও মুরগিকে কাবু করতে পারে না। একই পদ্ধতি গুটি বসন্ত, জলাতঙ্ক, অ্যানথ্রাক্স, ডিপথেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, যা আজও লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়ে চলেছে।
ভালো তথ্যবহুল পোষ্ট লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ।
অনেক তথ্যবহুল একটি পোস্ট দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে