থ্রিডি প্রিন্টিং

স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাভাষী সদস্য আশা করি ভালো আছেন। আজকের পোস্টে আলোচনার বিষয় থ্রিডি প্রিন্টিং


Image.jpg
ছবির উৎস

প্রিন্টার বলতে একসময় যেখানে শুধুমাত্র কাগজের ওপর কালি দিয়ে লেখা বা ছবি ছাপানোর যন্ত্র বোঝাতো, এখন সেখানে প্রযুক্তির কল্যাণে থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে যেকোনো বস্তু তৈরি করা সম্ভব। ছোটখাটো যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে কৃত্রিম হাত-পা, কম্পিউটার ও গাড়ির মতো বড় জিনিসও আজকাল থ্রিডি প্রিন্টারে বানানো হচ্ছে। থ্রিডি প্রিন্টারের ধারণাটি ইদানীং জনপ্রিয় হলেও এ নিয়ে গবেষণা চলছে বেশ আগে থেকে। ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের থ্রিডি সিস্টেমস কর্পোরেশন প্রথম থ্রিডি প্রিন্টার তৈরি করে, যা দিয়ে কোনো ত্রিমাত্রিক বস্তুর ডিজাইন থেকেই তা বাস্তবে তৈরি করা যায়। একে থ্রিডি লেয়ারিং প্রিন্টিং বা স্টেরিওলিথোগ্রাফি বলা হয়ে থাকে।

image.png
ছবির উৎস

এরপর থ্রিডি প্রিন্টিং সংশ্লিষ্ট আরো অনেক পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কালে থ্রিডি প্রিন্টিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠার একমাত্র কারণ হলো কিছু সম্ভাবনাময় থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির প্যাটেন্টের মেয়াদকাল ফুরিয়ে যাওয়া, যার ফলে কম খরচে থ্রিডি প্রিন্টার তৈরির দরজা খুলে গিয়েছে। ফিউজড ডিপোজিশন মডেলিং বা FDM নামের একটি থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির প্যাটেন্টের মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর যন্ত্রটির দাম ১৪ হাজার থেকে মাত্র ৩০০ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এরকম আরো কিছু প্যাটেন্টের মেয়াদকাল পেরিয়ে গেলে থ্রিডি প্রিন্টিং আরো সহজলভ্য হয়ে যাবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 67282.50
ETH 2627.94
USDT 1.00
SBD 2.68