টিকা (ভ্যাকসিন)
স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাভাষী সদস্য আশা করি ভালো আছেন। আজকের পোস্টে আলোচনার বিষয় টিকা (ভ্যাকসিন)।
টিকা (ভ্যাকসিন) হচ্ছে এক প্রকার রাসায়নিক জৈব যৌগ, যা আমাদের শরীরে কোন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ক্ষমতা জন্মানোর জন্য অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। টিকা সাধারণত ইনজেকশন অথবালোকের খাওয়ার ড্রপ হিসেবে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। টিকার উপাদান হচ্ছে মৃতপ্রায় অথবা মৃত জীবাণু থেকে সৃষ্টি হওয়া কোন রোগের জীবাণুসদৃশ জৈবিক পদার্থ।
সকল ধরনের জীবাণুর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য থাকেঃ (১) শরীরের রোগ সৃষ্টি এবং (২) শরীরের অভ্যন্তরে সেই একই রোগ প্রতিরোধের জন্য কিছু জৈবিক পদার্থ সৃষ্টি করা। টিকা তৈরীর উপাদান হিসেবে যে জীবাণুর অংশবিশেষ ব্যবহার করা হয় সেটির রোগ সৃষ্টির ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়, তবে অন্য বৈশিষ্ট্যটি বিদ্যমান থাকে। এর ফলে টিকার মাধ্যমে জীবাণুটি শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ সৃষ্টির কারণ ঘটায় না। বরং রোগটির বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। টিকার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি শরীরে মেমোরি সেল তৈরি করে। ফলে পরবর্তীতে একই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে তা সহজেই শনাক্ত করে এবং প্রতিরোধ করে। এই প্রক্রিয়ায় টিকা আমাদের শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
টিকার ইতিহাস বেশ পুরনো। বিশ্বের সর্বপ্রথম টিকার ধারণা পাওয়া গিয়েছিল চীন দেশে। পপঞ্চদশ শতাব্দীতে চীনে "ভ্যারিওলেশন" নামক এক ধরণের চিকিৎসাপদ্ধতি প্রচলন ছিল, যেখানে রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে টিস্যু সংগ্রহ করে সেটি কোন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হতো। ১৭৯৬ সালে বৃটিশ চিকিৎসক ডাঃ অ্যাডওয়ার্ড জেনার আধুনিক টিকা আবিষ্কার করেন। ১৮৮৫ সালে ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী লুই পাস্তুর জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার করলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আমূল পরিবর্তন ঘটে।
টিকার মাধ্যমে গুটিবসন্ত এবং গবাদিপশুর রিন্ডারপেস্ট রোগ পৃথিবী থেকে নির্মূল করা গিয়েছে। এছাড়াও হাম, পোলিও, রুবেলাসহ প্রায় ২৫টি রোগ টিকা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সকল দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা নারী-পুরুষ সবার জন্য সুফল বয়ে আনলেও ১৮ বছরের কমবয়সী, গর্ভবতী নারী, স্তন্যদানকারী মা এবং যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে যেকোন টিকা গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
ভাই আপনি প্রতিদিন যে ইনফরমেটিভ পোস্ট গুলা দেন। এগুলো সবগুলোই তথ্য, বিভিন্ন জায়গা থেকে কালেকসন করা ওই কালেকশন এর সোর্স গুলো অবশ্যই দেওয়া উচিত আপনার।
এরপর থেকে আপনি অবশ্যই আপনার পোস্ট সোর্স গুলো দিবেন।
যেমন ধরুন এই লেখা টিঃ
আপনি এখানে যে লেখাটি লিখলেন এটা তো আপনি নিজে নিজে আবিষ্কার করেন নি এটা কোন সোর্স থেকে নিয়েছেন। আপনাকে সেই সোর্সটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
তথ্যের সোর্স লিংক আপডেট করে দিয়েছি। সঠিক দিকনির্দেশনা এবং মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে পোস্টের মানোন্নয়নে সহায়তা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।