পিঠে ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর বাংলাভাষী সকল সদস্য আশা করি ভালো আছেন। আজকে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেটিতে আমরা সকলেই কমবেশি ভুগে থাকি।
তরুণ থেকে বৃদ্ধ কমবেশি সবাই ব্যাকপেইন বা পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভুগতে পারেন। দীর্ঘসময় একভাবে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকলে, ভারী বস্তু ওঠালে, বেশি ঝুঁকে কাজ করলে ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়া কোথাও পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেলে, পিঠের মাংসপেশীতে টান পড়লে, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে, শরীরে পুষ্টির অভাব হলে, মেরুদণ্ডে হাড় ক্ষয় বা বৃদ্ধি পেলে, ওজন বেড়ে গেলে, মহিলাদের মাতৃত্বকালীন সময়ে কিংবা বিভিন্ন ধরণের আরথ্রাইটিসের কারণে যে কারো ব্যাকপেইন বা পিঠে ব্যথা হতে পারে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://members.physio-pedia.com/wp-content/uploads/2018/03/low-back-pain-small.jpg)
যেকোন বয়সের মানুষের পিঠে ব্যথা হতে পারে। তবে যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং যারা একেবারেই শরীর চর্চা করেন না তাদের ঝুঁকি বেশি থাকে। পিঠের ব্যথায় ভুগলেও অধিকাংশ মানুষ তা গুরুত্ব সহকারে দেখেন না। অল্প সময়ের ব্যথা ভেবে চুপচাপ থাকেন কিংবা ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেন। কিন্তু এই ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে এবং সঠিক পদক্ষেপ না নিলে মেরুরজ্জু শুকিয়ে যাওয়ার মত মারাত্বক রোগ হতে পারে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://image.freepik.com/free-vector/how-get-good-posture-infographic-correct-pose-back-pain-prevention-wrong-right-body-position-illustration_277904-5401.jpg)
পিঠে ব্যথার কারণে দৈনন্দিন কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। যেমন-
- চেয়ারে বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। চেয়ার ও পিঠের মধ্যকার ফাঁকা জায়গা পূরণে কুশন ব্যবহার করতে পারেন।
- দীর্ঘসময় একভাবে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকা যাবে না। কিছু সময় পরপর শারীরিক অবস্থান পরিবর্তন করুন।
- শোয়ার সময় মাথার নিচে বালিশ এমনভাবে রাখুন করুন যাতে মেরুদণ্ড সোজা থাকে।
- ঘুমানোর জন্য নরম বিছানার পরিবর্তে শক্ত তোশক বা জাজিম ব্যবহার করুন।
- শরীর চর্চা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। মেরুদণ্ডে বেশি চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
- ভারী জিনিসপত্র ওঠানো বা নামানোর প্রয়োজন হলে একাকী না করে অন্যদের সাহায্য নিন।
- প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর ও সুষম খাবার রাখার পাশাপাশি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ভালো তথ্যমুলক পোস্ট
খুব ভাল তথ্য দিয়েছেন ।যাইহোক আমার কাছে ভালো লেগেছে কথাগুলো ধন্যবাদ আপনাকে ।
অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে