আজ আমার সোনাটার শুভ জন্মদিন।টিনটিন বাবুর জন্মদিন উদযাপনের বিশেষ কিছু মুহূর্ত
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমাদের বাবুর স্পেশাল একটা দিন। জন্মদিন বাচ্চা দের কাছে খুবই আনন্দের ও মজার একটি বিষয়। আগের দুই বছর জন্মদিন সম্পর্কে কিছু বুঝতো না। এবার মোবাইল ও টিভিতে জন্মদিন ও কেক দেখে একটু একটু বুঝতে পারে।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ বাংলা ৯ আশ্বিন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ রবিবার । আজ খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ছি। উঠে মোবাইলে দেখি ৬.০০ টা বেজে গেছে। আমার রুম থেকে ড্রইং রুমে এসে দেখি আমার মা টিনটিন বাবুর দীদা ( নানী) আমার আগে উঠে ঘর ঝাড়া মুছা হয়ে গেছে। এরপর আমি হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে সোফার কোভার পাল্টে দিয়ে গুছিয়ে নিলাম। মা চা করতে গেলো। এরপর মা আর আমি একসাথে চা খেলাম। আমার প্রতিদিন সকালে চা না খেলে ভালো লাগে না। এটা আমার নিত্য দিনের রুটিন। মা সকালে রান্না করতে গেলো আমি কিছুক্ষন ফেসবুক চালিয়ে বাবুকে আশীর্বাদ করার জন্য ফুল, তুলসী পাতা, ধান ,দূর্বা গুছিয়ে রাখলাম। এরপর আমি সেন্যান করে এসে দেখি মার রান্না হয়ে গেছে।
আমি পূজার থালা বাসন ধুয়ে পূজার ফুল তুলে গুছিয়ে নিলাম। এরপর আমার দেবর আর তার বন্ধু মাংস কিনতে আর বাজার করতে গেলো। ঘরোয়া ভাবে একটু অনুষ্ঠান করবো। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাইরের বেশি লোক জন বলিনি। করোনা না থাকলে অনেক বড় করে টিনটিন বাবুর জন্মদিন পালন করার ইচ্ছা ছিল। সত্যি বলতে ওর জন্মদিন আমাদের কাছে অনেক টা স্পেশাল একটা দিন।
সকালে আমি আর মা একসাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। তখন সকাল ১০.৩০ টা বেজে গেল। আমাদের খেতে খেতে টিনটিন এর কাকা বাজার করে নিয়ে আসলো। আমি খাওয়ার পর বাজার গুছিয়ে নিলাম। বাজার থেকে খাসীর মাংস, দেশী মুরগীর মাংস, কোল্ড ড্রিংকস , দই মিষ্টি ও পায়েস রান্নার জন্য দুধ, কিসমিস, কাজু বাদাম, নিয়ে আসলো। আমার দেবরের বন্ধু বললো আমি মাংস ধুয়ে দেই। তারপর ও সব মাংস ধুয়ে পরিস্কার করে রেখে দিল। এরপর আমি বাবুকে ঘুম থেকে উঠিয়ে হাত মুখ ধুয়ে পরিস্কার করে দিলাম। এরপর বাবু কেক আর নুডুলস খেলো। সকালে ভাত খেতে চায় না। এরপর আমি পায়েস রান্না করলাম। পায়েস এর রেসিপি পরে একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এরপর মা ৪.০০ টা থেকে রান্না শুরু করলো। আর আমি ঘর গোছাতে লাগলাম। তারপর ওর কাকা আর দিপ্র বেলুন দিয়ে ঘর সাজানোর কাজে ব্যাস্ত। আজ রাতের মেনু ছিল ফ্রাইড রাইস, মাটন রেজালা, মুরগী কষা, ইলিশ মাছ ভাজি, আমড়ার চাটনি ও দই, মিষ্টি।
রাত ৮.৩০ টা মার রান্না শেষ হলো। তারপর আমি টিনটিন কে সাজিয়ে দিলাম। টিনটিন বাবু নতুন জামা কাপড় পরতে ও গহনা দিয়ে সাজতে খুব পছন্দ করে।
এবার আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম। এর ভিতরে পুরো ঘর বেলুন দিয়ে সাজানো হয়ে গেল। এরপর আমি রেডি হয়ে টেবিলে কেক সাজিয়ে দিলাম। টিনটিন বাবু কেক কাটার জন্য রেডি। এবার আমরা কেক কেটে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম। এরপর সবাই মিলে কিছুক্ষন আদ্দা দিলাম।
তারপর একে একে যার যার রুমে চলে গেলাম।
বৌদি আপনাকে ও টিনটিন বাবু দুজনকেই অনেক সুন্দর লাগছে। টিনটিন বাবুর জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ আপু।
অশেষ ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা সাথে জানাচ্ছি টিনটিন বাবুকে শুভ জন্মদিন। তোমার জীবনের পথচলার প্রতিটা মুহূর্ত অনেক সুন্দর হোক। তোমার জন্য একটি উপহার বানিয়েছি, আশা করি তোমার ভালো লাগবে টিনটিন বাবু।
অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।টিনটিন বাবু খুব পছন্দ করেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি উপহার দেওয়ার জন্য।
টিনটিনের জন্য অনেক ভালবাসা ও শুভ কামনা রইলো।🎂 হ্যাপি বার্থডে টিনটিন বাবু🎂। আজ টিনটিন বাবুকে অনেক হ্যাপি লাগছে। আশীর্বাদ করি টিনটিন বাবুর আগামী দিনগুলো অনেক আনন্দে ভরে উঠুক। শুভ কামনা রইলো টিনটিন বাবুর জন্য এবং টিনটিন বাবুর পরিবারের জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টিনটিনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো। দোয়া করি টিনটিন অনেক বড় হোক। মা বাবা সকল স্বপ্ন যেনো পূরণ করতে পারে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা টিনটিন বাবুর জন্য। শুভ জন্মদিন টিনটিন বাবু। তোমার সামনের পথ চলা সুন্দর হোক সফল হোক এটাই প্রার্থনা করি।
ধন্যবাদ।
শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা টিনটিন।🎂🎂আগামীর প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর হোক এই কামনায় করি।পাঞ্জাবিতে টিনটিন বাবুকে খুব মিষ্টি ও কিউট লাগছে ।টিনটিন বাবুর জন্য ভালোবাসা অবিরাম।
ধন্যবাদ বোন।
টিনটিন বাবুর জন্ম দিনে অনেক ব্যস্ত সময় পার করেছেন দিদি।আপনার কাছে হয়তো অন্যান্য দিন থেকে আজকের দিনটি খুবই সেপশ্যাল ছিল। টিনিটিন বাবুর আমার পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার টিনটিন বাবু বেঁচে থাকুক হাজার বছর। আপনার মুখে হাসি ফোটাক প্রতিটি মুহূর্ত।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভ জন্মদিন টিনটিন বাবু 💕। শুভ হোক তোমার আগামীর পথ চলা এই কামনা করি। ছবিগুলো বেশ ভালো হয়েছে।
টিনটিন বাবুর জন্য অসংখ্য ভালোবাসা এবং দোয়া রইলো।😍😍😍😍