বাঙালি রেসিপি"সুজির মোহনভোগ"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা।আজ একটি ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন।ভারতের প্রতি ঘরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালিত হচ্ছে। আজ আমি উপবাস রাতে পূজা করে তারপর কিছু একটা খেয়ে নিবো।আজ আমার মনটা বেশি ভালো নেই। কাল একটু গ্রামের দিকে ঘুরতে গিয়ে আমার গাড়ী টা নষ্ট হয়ে গেলো।সেখান থেকে আসতে ও আমাদের অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। তারপর কোম্পানির লোক এসে গাড়ী নিয়ে গিয়েছিল। নতুন গাড়ী আর মাত্র ৬ মাস বয়স এর ভিতরে গাড়ী নষ্ট হলো। তাই খুব টেনশনে আছি। আমার প্রিয় মানুষের দেওয়া গাড়ীটা। কথা না বাড়িয়ে আমরা এখন রেসিপিতে ফিরে যাই। আজ আমি পূজায় প্রসাদ হিসেবে দেওয়ার জন্য " সুজির মোহনভোগ" তৈরি করে ছিলাম। তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো " সুজির মোহনভোগ" । এটি খেতে অনেক সুস্বাদু মজার একটি খাবার। তাহলে চলুন আমরা মূল রেসিপিতে ফিরে আসি।
উপকরণ:
১. সুজি - ১ কাপ
২. দুধ - ২ কাপ
৩. চিনি - ১ কাপ
৪. ঘি - এক কাপ এর অর্ধেক
৫. কাজু বাদাম - ১ চামচ
৬. কিসমিস - ১ চামচ
সুজি
চিনি
ঘি
কিসমিস
কাজু বাদাম
দুধ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে আমি দুধ ভালো করে গরম করে নিয়েছি। এরপর চুলার ওপর একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। তারপর কড়াইতে দুই চামচ এর মত ঘি দিতে হবে। ঘি গরম হয়ে গেলে পরিমাণমতো কিসমিস কাজু বাদাম দিয়ে দিতে হবে।
২. এরপর চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। এভাবে ৫ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। বাদামি কালার হলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৩. ওই একই কড়াইতে সুজি দিতে হবে। যতক্ষণ না বাদামী রং ধারণ করছে ততক্ষন ধরে ভাজতে হবে।
৪.এভাবে ২ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। সুজি ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৫.ওই একই কড়াইতে হাপ্ কাপ ঘি দিয়ে দিতে হবে। ঘি গরম হলে ভাজা সুজি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
৬. সুজির সাথে ঘি মিশে গেলে ২ কাপ দুধ দিয়ে দিতে হবে। এরপর ভালো করে নেড়ে দিতে হবে। এরপর ১ কাপ কাপ চিনি দিয়ে আবারো রান্না করতে হবে।
৭. এরপর ভাজা কাজু বাদাম ও কিসমিস দিয়ে দিতে হবে। আবারো ভালো করে রান্না করে নিতে হবে। সুজি নাড়তে নাড়তে যখন গাঢ় হয়ে যাবে তখন একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। নামানোর পর আবারও কিছু কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের " সুজির মোহনভোগ" । এটি গরম গরম লুচির সাথে পরিবেশন করতে হবে।
বেশ মজাদার একটি রেসিপি হবে মনে হচ্ছে। আমি আগে কখনো এটি খাইনি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গ্রেট, সুজির মোহনভোগ দেখেই খেতে ইচ্ছে করতেছে। আমি সুজির বিভিন্ন ধরনের রেসিপি খেয়ে প্রায় অধিকাংশ রেসিপি আমার পছন্দের। আপনার রেসিপির সুন্দর উপস্থাপন করেছেন এবং সাথে ডেকোরেশন। ধন্যবাদ 🙂
না এখনো এটার স্বাদ নেই নাই, তবে এতো বাদাম, কিসমিস, ঘি এবং দুধ যেখানে, সেটার স্বাদ যে কতটা হবে চিন্তা করতে পারছি না আমি। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।
ভাবি কে বলেন একদিন তৈরি করতে। এটি সত্যি খুব মজার ছিল।আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে সেজন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বী অবশ্যই বলবো, স্বাদটা তো চেক করতেই হবে।
বৌদি প্রথমে গতকাল রাতের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে আপনারা যে এত বড় বিপদে পড়েছেন সেটা আমরা বুঝতে পারিনি। আপনার গাড়ি নষ্ট হয়েছে শুনে খুব খারাপ লাগছে। প্রিয়জনের দেয়া যেকোনো উপহার নষ্ট হলে অনেক খারাপ লাগে। তারপরেও নতুন গাড়ি মাত্র ছয় মাস বয়স। যদিও এখানে আপনার কিছু করার নেই। আপনাকে রেসিপি খুব সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা। একদিন আমাদের বাসায় বানানোর চেষ্টা করে দেখবো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। টিনটিন এখন কেমন আছে বৌদি একটু জানাবেন।
টিনটিন ভালো আছে।ভাইয়া গাড়ি টা ভালো না।আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
টিনটিন ভালো লাগলো বউদি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মিষ্টি জাতীয় খাবারের মধ্যে সুজি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। রেসিপির বর্ণনা ও ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বৌদি আপনাকেও শুভ জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা রইল।রেসিপিটি খুব সুন্দর হয়েছে।তবে আমার কাছে কিছুটা সুজির হালুয়ার মতো লাগছে।যাইহোক এটি খেতে খুবই মজার।ধন্যবাদ বৌদি।
জন্মাষ্টমীর দিন মোহন ভোগ। আহা!
জন্মাষ্টমীতে মোহনভোগ না হলে চলে। আর গোপাল ঠাকুর মিষ্টি খেতে ভালোবাসতেন।
মদনমোহনের জন্যেই মোহনভোগ ❤️
বৌদি আপনার রেসিপিটি খুব ভালো হয়েছে।এই খাবারটি আমি প্রাই বানাই।এটাকে যে সুজির মোহনভোগ বলে জানতাম না।ধন্যবাদ বৌদি মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই ডেজার্ট তো শুধু স্বাদে অনন্য নয় পাশাপাশি পুষ্টিগুণে অনেক সমৃদ্ধ মনে হচ্ছে কারণ এখানে কিসমিস এবং বাদাম ব্যবহৃত হচ্ছে যা খুবই উপকারী ফ্যাট হিসেবে বিবেচিত।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী যে আপনি যে রেসিপি তৈরি করেছেন এটি আসলেই চমৎকার মনে হচ্ছে আমার কাছে। তবে এটি আমার প্রথম রেসিপি। আগে কখনো দেখিনি কিংবা এমন রেসিপির নাম শুনেই নি।