গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুরনো খাবার " সম্পূর্ণ হাতে তৈরি ভাজা চালের মিষ্টি নারু"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি বাড়ীতে একটি পুরনো দিনের খাবার তৈরি করেছিলাম। আজ সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। দুই দিন পর আমার সোনা বাবুটার জন্মদিন। তাই বাড়ীতে অনেক কাজ রয়েছে। যদিও এ রকম ঘরোয়া পার্টি লেগেই থাকে। গতকাল গিয়ে ওর কাকা কেক অর্ডার করে আসছে।এবার আমার বাবুর বার্ড ডে কেক চাই অর্জিনাল টিনটিন কেক। আগের দুই বছর তেমন কিছু বুঝতে পারতো না। এখন একটু বোঝে। এত ব্যস্ততার মাঝেও ভাবলাম আজ একটু পুরনো দিনের খাবার তৈরি করি। এটি আমি গ্রামে থাকতে আমার মা প্রায়ই তৈরি করে দিত। তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ঐতিহ্যবাহী পুরনো দিনের খাবার ভাজা চালের নারু।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। এটি আমার পছন্দের একটি খাবার। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. সেদ্ধ চাল - ৫০০ গ্রাম
২. নারকেল কোরা - ২ কাপ
৩. খেজুরের গুড় - ২ কাপ
৪. চিনি - ৩ কাপ
চাল
নারকেল কোরা
খেজুরের গুড়
চিনি
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে চাল জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার জল দিয়ে ৩ ঘণ্টার মতো ভিজিয়ে রাখতে হবে।
২. চাল ভিজে গেলে নরম হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে দিতে হবে ভিজানো চাল দিয়ে ভেজে নিতে হবে। চুলার আঁচ মিডিয়ামে রেখে দিতে হবে।
৩. কড়াইতে চাল দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে। এভাবে ১০ মিনিট ধরে ভেজে নিতে । চাল গুলো নাড়তে নাড়তে বাদামী রং হলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার ভাজা চাল গুলো ব্লেন্ডারে করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। বেশি মিহি করা যাবে না অল্প অল্প দানা থাকবে।
৫. এবার একটা পাত্রে ভাজা চালের গুঁড়া নিয়ে এতে একে নারকেল কোরা ২ কাপ, খেজুরের গুড় ২ কাপ ও চিনি ১ কাপ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
মিশানো হলে ১ কাপ এর মত জল ছিটিয়ে দিয়ে ১০ মিনিটের মত রেখে দিতে হবে।
৬. চালের গুঁড়া গুলো ভিজে গেলে ভালো মেখে নিতে হবে। মাখানো হয়ে গেলে অল্প অল্প করে হাতে নিয়ে চেপে মুঠো মুঠো করে বানাতে হবে।
৭. এভাবে বাকি গুলো তৈরি করে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের " গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুরনো দিনের খাবার ভাজা চালের মিষ্টি নারু" ।এটি কয়েক দিন কাচের বয়ামে করে রেখে খাওয়া যায়। এমন কি সন্ধ্যায় চা এর সাথে পরিবেশন করা যায়।
অনেক গুণে গুণান্বিত আপনি @tanuja বৌদি।আপনি সবসময়ই ভালো রেসিপি ও খাবার বানান। রেসিপিগুলি খুব সুস্বাদু হয়। বরাবরের মত আপনার থেকে এক সুস্বাদু খাবার উপহার পেলাম। খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। দারুন ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য বৌদি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বৌদি এটা আমাদের বাসায় তৈরি হয় না। তবে আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন এক বান্ধুবি আনতো,তাদের বাড়িতে পুজো হলেই আমি আগে থেকে বলে রাখতাম আমার জন্য যেনো এই নাড়ু আনে। আমি ভাবতাম এগুলো বুঝি বানাতে অনেক কিছু লাগে। তবে এখন দেখছি এগুলো বানানো খুব সোজা।অনেক ধন্যবাদ এই রেসিপিটির জন্য।অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।
এটি পূজায় প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়।এটি অনেক পুরনো খাবার আজ বিলুপ্তের পথে।ধন্যবাদ আপু।
হ্যা বৌদি ঠিক বলেছেন।
দেখে আর লোভ 😋সামলানো যাচ্ছে না আপু।যলদি দাওয়াত দেন।আজকেই চেষ্টা করবো ।ধন্যবাদ আপু এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
চলে আসুন কোলকাতা।আর রবিবার আমার বাবুর বার্ড ডে।আপনি আসুন আমাদের বাড়ি ।ধন্যবাদ
Ok আপু পাসপোর্ট করে নেই ।অবশ্যই আসবো।আপনার বাবুর জন্ম দিনের শুভেচ্ছ ও দোয়া রইলো।তার সমস্ত বিপদ থেকে আল্লহ হেফাজত করুন ।
Thank you.
আপু আপনি এ কি দেখালেন ,দেখে তো জিভে পানি এসে গেল ।এত সুন্দর লাগছে দেখতে নাড়ুগুলো। দেখেই খেতে মন চাইছে ।এমনিতে নাড়ু আমার খুবই প্রিয় ।আর আপনার হাতের নাড়ু তো আরো বেশি স্বাদের হবে। যদিও এই রকম নাড়ু আমি এখন অব্দি খাইনি ।কিন্তু আপনার টা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
নারু আমাদের বাড়ির সবাই পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপু।
সত্যিই চাল ভাজার নাড়ু খেতে অনেক মজা লাগে আপু আমি অনেকদিন আগেই খেয়ে ছিলাম মা বানিয়ে ছিল এখন আর খাওয়া হয়না তবে আপনার নাড়ু বানানো দেখি আবার খেতে ইচ্ছা করছে।
চলে আসুন কোলকাতা।
বৌদি নারু আমার অনেক পছন্দের ।সামনে পূজায় সব ফ্রেন্ডের বাসায় হানা দিব। অনেক সুন্দর করে বানিয়েছেন ।ধন্যবাদ
পূজায় আপনি আমাদের বাড়ি চলে আসুন। আমি আপনাকে খাওয়াবো।
ধন্যবাদ বৌদি
খুবই সুন্দর রেসিপি বানিয়েছেন বৌদি? কোনদিনও খাওয়া হয়নি, রি স্টিম করে রাখলাম, একবার বানাবো এই রেসিপিটি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই রেসিপিটি উপহার দেওয়ার জন্য।
একদিন বাড়ীতে বাড়ীতে তৈরি করে ট্রাই করে দেখুন খুব টেস্টি একটি খাবার। আমাদের বাড়িতে সবাই খুব পছন্দ করে।
দেখে তো লোভ লেগে গেলো আপু। খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটা রেসিপি উপস্থাপন করেছেন বৌদি। দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। তাই এটি আমি বাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা করব।
একদিন বাড়ীতে তৈরি করে দেখুন। খুব টেস্টি একটি খাবার।
এটা অনেক মজার খাবার। কিন্তু ইদানিং এই নাড়ু টা বিলুপ্তির পথে প্রায়। আমার মা এক সময় বানাতো, বেশ কিছু বছর আর বানাতে দেখছি না। ভাবছিলাম এবার বলবো। 😊
হ্যা, ঠিক বলেছেন দাদা।এটি এখন বিলুপ্তির পথে। আমাদের গ্রামে এখন ও এটা তৈরি করে।তবে আগের থেকে অনেক টা কম।