বাঙালি রেসিপি " রেস্টুরেন্টের স্বাদে লোটে মাছ ভর্তা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো লোটে মাছ ভর্তা। এই লোটে মাছ ভর্তা আমি প্রথম খেয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে। খুব যে পছন্দের তা নয়। তবে খেতে বেশ লাগে। আমার পরিবারে কেউই এই মাছ খায় না। আমার প্রিয় মানুষটি খুব পছন্দ করে।সেই দিন রেস্টুরেন্টে লোটে মাছ ভর্তা খেয়ে ভেবেছিলাম আমিও বাড়ীতে একদিন তৈরি করবো। আর আমি সবসময় সবার পছন্দের খাবার তৈরি করতে ভালো লাগে। আমার নিজের পছন্দের খাবার খুব একটা তৈরি করি না।আমার রান্না করতে খুবই ভালো লাগে। রান্না করতে গেলে আমার খেয়াল থাকে না যে কত পদ রান্না করে ফেলেছি। আগে আমি কোন কিছু রান্না করতে পারতাম না। এই রান্না নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনা আছে আমার জীবনে। আর এখন এমন কোন রান্না নেই যে আমি পারি না। লোটে মাছ ভর্তা অনেক টেস্টি একটি খাবার। এতটাই স্বাদের হয়েছিলো যে ওইদিন শুধু লোটে মাছের ভর্তা দিয়ে খেয়েছিলো। তাহলে চলুন আমরা মূল রেসিপিতে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১. লোটে মাছ - পরিমান মতো
২. পেঁয়াজ কুচি - দেড় কাপ
৩. আদা ও রসুন বাটা - ১ চামচ
৪. শুকনো মরিচ গুঁড়া -১ চামচ
৫. সরিষার তেল -১ কাপ
৬. হলুদ -১ চামচ
৭. লবণ - পরিমান মতো
৮. কাচা মরিচ কুচি -২ চামচ
৯. টমেটো কুচি - বড় সাইজের একটি
১০.জিরা গুড়া - ১ চামচ
১২. গরম মসলা -১ হাপ্ চামচ
লোটে মাছ
টমেটো কুচি, কাচা মরিচ কুচি ও আদা রসুন বাটা
পেঁয়াজ কুচি
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে গুলো কেটে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার নিয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে ১ কাপের মতো জল দিতে হবে। জলের ভিতর অল্প পরিমাণে লবণ ও হলুদ দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে লোটে মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে। পাঁচ মিনিটের মতো সেদ্ধ করে নিতে হবে। লোটে মাছ গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
২. সেদ্ধ মাছের থেকে শুধু মোটা কাটা বেছে ফেলে দিলে তাহলে খাওয়ার সময় গালে মোটা কাঁটা লাগবে না। আমার কাছে কাঁটা বেছে নেওয়াটা ভালো লাগছে তাই আমি এটা করছি।
৩. আবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে ।তেল গরম হয়ে গেলে অল্প কিছু গোটা জিরা দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে কাচা মরিচ কুচি, আধা ও রসুন বাটা, টমেটো কুচি দিয়ে এবার একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।এবার এককাপের মতো জল দিয়ে আবারো যতক্ষণ না মসলা থেকে কাঁচা গন্ধ না যায় এবং উপরে তেল না উঠছে ততক্ষন কষিয়ে নিতে হবে।
৪. মসলা কষানো হয়ে গেলে লোটে মাছ দিয়ে ভালো করে মসলার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। দেখবেন মাছ থেকে অল্প অল্প জল বেরোবে। যতক্ষণ পর্যন্ত জল শুকিয়ে যাচ্ছে তত সময় ধরে রান্না করতে হবে। জল শুকিয়ে এলে। উপর থেকে কাঁচা সরিষার তেল ছড়িয়ে দিতে হবে।আর হাপ্ চামচ গরম মসলা দিয়ে। হালকা একটু ভেজে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। এবার পরিবেশনের জন্য তৈরি হয়ে গেল লোটে মাছ ভর্তা।
এই লোটে মাছ ভর্তা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। আশা করি,আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ এই পর্যন্তই। কাল আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
সত্যি বৌদি নিজের পছন্দের খাবারগুলো তৈরি করার সময় হয়তো আমাদের হয়না। কিন্তু প্রিয় মানুষটির জন্য তার পছন্দের খাবার তৈরি করতে বেশ ভালো লাগে। আপনিও আপনার প্রিয় মানুষটির জন্য তার পছন্দের খাবার তৈরি করেছেন দেখে সত্যি ভালো লাগলো। এছাড়া এই রেসিপি কিন্তু দারুণ হয়েছে। টমেটো দেওয়াতে খেতে নিশ্চয়ই আরো বেশি ভালো হয়েছে। দারুন ছিল আজকের রেসিপি। লোভনীয় এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি।
লোটে মাছ ভর্তা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রেস্টুরেন্টের স্বাদে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। জেনে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন, দেখে শিখতে পারলাম।
বাঙালি মজার রেসিপি লোটে মাছ ভর্তা আর এই মাছ ভর্তা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেন বৌদি। আপনার রেসিপি পরিবেশন খুব ভালো লেগেছে।
আমি ও আগে কিছুই রান্না করতে পারতাম না,এখন মোটামুটি সবই পারি।
আচ্ছা বৌদি, লোটে মাছ আর লইট্টা শুঁটকি কি একই?লোটে মাছের ভর্তা কখনও খাওয়া হয়নি।তবে লইট্টা শুটকির ভর্তা খাওয়া হয়েছে, খেতে বেশ ভালোই লাগে। যাই হোক এভাবে যে কোন মাছ ভর্তা করলে খেতে বেশ দারুন লাগে। টমেটো দেওয়াতে কালার টা বেশ দারুন হয়েছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
বৌদি আগে আপনি রান্না করতে পারতেন না ।আর এখন পারেননা না এমন কোনো রান্না নেই।রান্না নিয়ে মজার ঘটনা গুলো একদিন শেয়ার করবেন ।আপনি রেস্টুরেন্ট এ লোটে মাছ ভর্তা খেয়ে বাড়িতেও তৈরি করে ফেলেছেন।রেস্টুরেন্ট স্টাইলে লোটে মাছ ভর্তা ।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এদিকে সাগর কাছে হওয়ায় বেশ তরতাজা লইট্টা মাছ পাওয়া যায়। লইট্টা মাছ আমার খুবই পছন্দের। লইট্টা শুটকির ভর্তা খেয়েছি কিন্তু লইট্টা মাছের ভর্তা খাওয়া হয়নি।
বৌদি আপনার এই রেসিপিটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যিই একদিন অবশ্যই এই রেসিপি ট্রাই করবো।
এই লোটে মাছ আমার আবার অনেক প্রিয়।তবে সবসময় লোটে মাছ ডিপ ফ্রাইটাই খাওয়া হয়।আর ওটা আমার অনেক বেশি প্রিয়।এইভাবে একদিন ভর্তা করে খেতে হবে।
আহারে বৌদি আমার তো দেখেই আর তস সইছে না , ইচ্ছে করছে এখনই গিয়ে খেয়ে আসি ,একদিকে লইট্টা মাছ আমার পছন্দের তার মধ্যে তার ভর্তা, মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ মনে হচ্ছে।
লইট্টা মাছ আমার খুব মজার একটি মাছ। এই মাছ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে রেসিপি তৈরি করা যায়। আপনি ভর্তা তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।প্রথম প্রথম রান্না করতে একটু সমস্যা হলেও পরে সব শিখে নেওয়া যাই। প্রিয় মানুষের জন্য এমন সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটাকেই হয়তো বলে ভালোবাসার টানে মানুষ সবই করতে পারে। তবে আপনার রান্না নিয়ে মজার ঘটনাগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম বৌদি। এই মাছগুলোকে আমরা লইট্টা মাছ বলি, আমাদের গ্রামে বেশ জনপ্রিয় ও স্বাদের মাছ এগুলো, তবে শুটকি বেশী হয় এই মাছের।
আপনার রেসিপিটি সত্যি দারুণ হয়েছে, দেখেই অনুমান করা যাচ্ছে স্বাদের বিষয়টি কেমন হবে। ধন্যবাদ