"ছাদে আবার নতুন করে বাগান করার গল্প"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে বসন্তের মিষ্টি সকালের শুভেচ্ছা। আপনাদের আগেই বলেছি আমার বাগান করতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ফুল গাছ লাগাতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু প্রিয় মানুষটির ফুলের থেকে ফলের গাছ বেশি ভালো লাগে। ও প্রায়ই একটা কথা বলে ফুলের থেকে ফলের গাছ লাগাও। ফল তো খাওয়া যাবে আর ফুল গাছ লাগালে কি হবে। আসলে ফুল গাছ দেখলে না লাগাতে পারলে ভালো লাগে না।
গতকাল সকালে ফুল বিক্রেতা আসছিলো।আমাকে যে গোলাপ ফুল দিয়েছিলো। সেই কাকা আসছিলো গতকাল। তাকে আমি ফুল কাকা বলে ডাকি।উনি প্রায় মাসে এক বা দুই বার করে আছে। উনি যে বাড়ীতে ফুল গাছ দেয়। সেই বাড়ীতে পরিচর্যা করতে আছে। উনি প্রায়ই বাড়ীতে ঘুড়ে দেখে আছে গাছের কোনো সার ও ঔষধ লাগবে কি না।তার বিনিময়ে তাকে মুজুরী ১০০ টাকা ও সার ও ঔষধের দাম দিতে হয়। আমি তাকে দুইদিন আগে ফোন করেছিলাম আমার একটা "লেমন গ্রাস" গাছ এনে দিতে পারবে কি না।" লেমন গ্রাস" এর পাতা চা এর সঙ্গে দিলে অনেক সুন্দর ঘ্রাণ আছে। আর বিভিন্ন ধরনের চাওমিন ও নুডুলস, লেমন ভাত রান্না করতে এই পাতা দেওয়া যায়। গতকাল ফুল বিক্রেতা কাকু আসার সময় অনেক সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন রকমের জবা ফুল গাছ নিয়ে আসলো। আসলে ঐ কাকুটা এক একদিন একেকরকম ফুল গাছ নিয়ে আছে।
সেই কাকু এসে গোলাপ গাছের কাছে গেলো। তারপর কিছু সার ও কীটনাশক স্প্রে করে দিলো। তাকে বললাম আমাকে কয়েকটি জবা ফুলের গাছ দিবেন আর " লেমন গ্রাস" গাছটি ও এনেছিলো। আমাকে উনি বললো আপনি কিছু গাছ আপনাদের ছাদে লাগাতে পারেন ।আসলে আমি ছাদে লাগাতে ভয় পাই। যদি কোনো বাচ্চারা এসে নষ্ট করে দেয়। আসলে এটা ফ্ল্যাটের ছাদ তাই। তারপরে ভাবলাম একবার লাগিয়ে দেখি অসুবিধা হলে নিয়ে আসবো। এটা ভেবে আমি আরও কিছু ফুলের গাছ ও কয়েকটি কয়েকটি জবা ফুলের গাছ নিলাম।
কিন্তু ফুল অন্যদের বাচ্চারা নষ্ট করে না। ফুল আমার টিনটিন বাবু নষ্ট করে। একদিনের এক ঘটনা বলি। এটা বেশ কিছুদিন আগে হয়েছে। আমার গোলাপ গাছে বেশ কিছু গোলাপ ফুঠেছে। টিনটিন বাবু গাছে ফুল দেখলে আগে ছিঁড়তে হবে। ও তো জানে না গোলাপ ফুলে কাঁটা থাকে। টিনটিন বাবু দুপুরের দিকে গাছের কাছে গিয়েছে। এর আগে মাঝে মাঝে দেখতাম আমার চন্দ্রমল্লিকা ও গাঁদা ফুল ছিঁড়ে ফেলা। তারপর গাছের পাতা ও নিচে ছিঁড়ে ফেলা। আমি বুঝতে পারতাম না আর ধরতে ও পারতাম না। শুধু ভাবতাম আমার ভিতরের ব্যালকনির ফুল কে ছিঁড়তে পারে।আর আমি শুধু আপনাদের দাদার উপর রাগ করতাম। আসলে আমার গাছের ফুল ছিঁড়লে খুব রাগ হয়। একদিন তো ধরে ফেললাম। টিনটিন বাবু প্রথমে গিয়ে কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো। একা একা কি যেনো ভাবছে। তারপর গোলাপ ফুল ছিঁড়তে গিয়ে কাঁটার আঘাত লাগলো। গোলাপ ফুল তো নিতে পারলো না। এবার কি রাগ তার। আমি আড়াল থেকে দেখছিলাম। টিনটিন বাবু এবার রাগ করে এসে আমার হাত ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের টবে কয়েকটি লাথি মেরে বললো মাম্মা ফুল ময়লা ফেলে দাও।ওই গোলাপ ফুল গাছ আর রাখা যাবে না। এটা নিয়ে কান্না শুরু হয়ে গেলো।সেই দিন থেকে টিনটিন বাবু আর আমার গোলাপ গাছের কাছে যায় না।
কিন্তু কাল বিকালে ছাদে ঘুরতে গিয়ে দেখে গাছে ফুল আছে। ও এক দৌড়ে ফুল দুটো ছিঁড়ে নিলো। এবার ওর খুশি আর কেউ নেই। অনেক দিন পর আবার গাছ থেকে ফুল ছিঁড়তে পেরেছে।
আপনারাই ওর ছবি দেখে বুঝতে পারবেন কত খুশী। আনন্দে বিভিন্ন ভঙ্গিতে সেলফি তুলছে। ওর খুশী দেখে মনে হচ্ছে ও বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। আজ এই পর্যন্তই কাল নতুন কোনো বিষয় নিয়ে আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
দিদি খামোখাই দাদার উপর রাগ করতেন।যে কাজটা কিনা টিনটিন বাবু করত সেই কাজের দায় দাদার উপর দিয়ে আর তো লাভ হল না ।যাইহোক আপনার বাগান দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমি পূর্বে আপনার এরকম একটি বাগানের পোস্ট দেখেছিলাম ।আজকে তো সবগুলো ফুল একসাথে দেখে খুবই ভালো লাগতেছে ।মুগ্ধ হয়ে গেলাম এই ফুলের বাগান দেখে।
গোলাপের কাটাঁ হাতে লাগলে অনেক ব্যাথা হয়। আমি কয়েকবার এরকম ব্যাথা পেয়েছি। টিনটিন বাবাই গোলাপ ছিড়তে গিয়ে ব্যাথা পাওয়ায় সে গোলাপ ফুল আপনাকে ফেলে দিতে বলছিল 🤭। তবে বৌদি আপনি যে ফুলকে পছন্দ করেন আপনার ব্যালকনি আর ছাদ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। টিনটিন বাবাইকে জবাফুল হাতে নিয়ে খুশি লাগছে। দেখে তো ভালো লাগছে বৌদি।
বাহ,জবা ফুলগুলো তো অনেক বড় সাইজের।টিনটিন বাবুর হাতের জবা ফুলগুলি ভারী সুন্দর দেখতে লাগছে।টিনটিন বাবুর মিষ্টি কথা শুনে মজা পেলাম,তাছাড়া বৌদি আপনি তো অসম্ভব সুন্দর ফুলের বাগান তৈরি করে ফেলেছেন, সঙ্গে আবার লেবু গাছও রয়েছে।দেখে মনটা ভরে গেল।আপনার সংগ্রহশালাই অনেক ধরনের ফুল রয়েছে।snake plant বা গ্রামে আমরা যে গাছকে সূচমুখী গাছ বলি তাতে অসাধারণ এক ধরনের ফুল হয় ও তীব্র গন্ধ হয়।যেটি রজনীগন্ধা ফুলের মতো অনেকটা লম্বা হয় বৌদি।পূর্বে এই গাছ আমাদের বাড়িতে অনেক ছিল, আপনার ফুলের বাগান দেখে মনে পড়ে গেল।টিনটিন বাবুর জন্য আদর ও ভালোবাসা রইলো,ধন্যবাদ বৌদি।
আপনার ছাদ বাগানের গল্প টি পড়ে বুঝলাম আপনার বাগান করার খুবি শখ কিন্তু দাদা যে ফল খেতে চায় । দু চারটে আম কিংবা পেয়ারা গাছ লাগিয়ে দেখতে পারেন। আমার মামা বাড়ীতে মামা আম , বেগুন , পেয়ারা , ইত্যাদি গাছ লাগিয়েছে । ভালই ফলন হয়। আমার মনে হয় ফলের গাছ লাগালে টিন টিন বাবু আরো খুশি হবে এবং সে তরতাজা ফল ছিড়ে খাবে।আপনার ছাদ বাগান টি কিন্তু সুন্দর আর টিনটিন বাবুর হাতের ফুলটিও খুবি সুন্দর। ভাল থাকবেন বৌদি। ধন্যবাদ।
বৌদি আপনার মত আমারও একটি ছাদ বাগান আছে। তবে আপনার যে জিনিসটি ভালো লেগেছে আমার সেটা হচ্ছে মাত্র ১০০ টাকার বিনিময় আপনারা একজন সাহায্য করার লোক পেয়ে যান। এরকম একটা লোক পেলে আমার জন্য অনেক ভালো হতো। আমার মেয়েটাও টিনটিনের মত ছাদে গেলে ফুল ছিড়তে যায় ।তাকে নিষেধ করলে সে রেগে যায়। আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ বৌদি।
বাড়তি জনসংখ্যার চাপে ক্রমেই আমাদের চারপাশের জায়গা সংকুচিত হয়ে উঠছে। যার ফলে এখন বাগান করার জন্য ছাদ বাগানই ভরসা। আপনিতো দেখছি বৌদি অনেক গাছ জড়ো করে ফেলেছেন। বাচ্চাদের ভেতর এই একটি ব্যাপার আমি খেয়াল করেছি। এরা ফুল গাছ দেখলেই সেখান থেকে ফুল ছিঁড়তে চাইবে। টিনটিনের ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কি পরিমান খুশি হয়েছে ফুল ছিঁড়তে পেরে।
দাদা ঠিকই বলে ফল গাছ লাগালে তাও খাওয়া যাবে। কিন্তু সৌন্দর্যের জন্য ফুল গাছের বিকল্প নেই। ছাদবাগান টা দেখছি দারুণ বৌদি। অনেক রকম ফুলের গাছ রয়েছে। এবং এটা টিনটিন না শুধু অধিকাংশ বাচ্চারাই করে থাকে। ফুল দেখলেই ওদের ছিড়তে হবে। যাইহোক অনেক সুন্দর একটি ব্লগ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
শুধু শুধু নিরপরাধ লোকটার উপরে দোষারোপ করার চেষ্টা করতেন 😍। টিনটিন বাবুর গুন দেখে ত আমি মুগ্ধ এক সময় আমিও এমন ছিলাম😁। সুন্দর ছিল বৌদি আপনার ছাদের বাগান এর ফুলগুলো।
লেমন গ্রাস গাছ সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া নেই। চিনিনা এই গাছ। আর টিনটিন বাবুর হাতের জবা ফুল গুলো অনেক সুন্দর। টিনটিনের ফুল ছাড়ার বিষয়টি বেশ মজা পেলাম। আগেই তাড়াতাড়ি গিয়ে ফুল ছিঁড়ে ফেললো😁
দিদি টিনটিন বাবুর এসকল কান্ড পড়ছিলাম আর চোখের সামনে সব ভেসে উঠছিল। আমার যা হাসি পাচ্ছিল বিশ্বাস করো। হিহিহিহি 😊। ছোট বাচ্চারা তো এমনই হবে। তবে দাদার মতই রাগ আছে দেখছি 😀। আমার দাদার কান্ড দেখে তো হাসি পেল, বলে কিনা ফল তবু খাওয়া যাবে আর ফুল দিয়ে কি হবে! দাদাকে একদিন পেয়ে নেই সামনে তারপরে মজা দেখাবো। খুব সুন্দর করে বাগান করেছো দিদি। আমি নিজেও তো এরকম বাগান করি তাই অনুভূতিটা অনুভব করতে পারি। সবচেয়ে ভালো লাগলো তুমি ফুল গাছের ডাক্তার নিয়ে এসে চিকিৎসাও করাও মাঝে মাঝে।