সোনা বাবুটার জন্মদিন উপলক্ষে আমার ছোট একটি কবিতা " সন্তান"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ খুবই স্পেশাল একটা দিন। এটা আপনারা কম বেশি সকলেই জানেন। আজ আমাদের সাত রাজার ধন সোনা বাবাটার শুভ জন্মদিন। ৪ বছর আগে এই দিনে আমাদের সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে আমার কোলে এসেছিলো। ছোট সেই সোনাটা আজ কত বড় যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় এই তো সেদিন ও আমার কোলে এসেছিলো। সেই ছোট কচি কচি হাত। আজ আমাদের বাড়িটা সারাদিন হৈ হুল্লোরে মাতিয়ে রাখে। সারাদিন ধরে চলে তার দুষ্টুমি। ও আমাদের চোখের মণি। ওকে পেয়ে সবার সেই হাসিটা আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেদিন ওর বাবা থেকে শুরু করে সবার মনে কি সেই উত্তেজনা। ওর কাকার চোখের মনি। আমি শুনেছিল সেদিনে ওর কাকা ও জেটু বাড়ীতে মিষ্টির ছড়াছড়ি করে ফেলেছিলো। আর সেদিন সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে মিষ্টি খাইয়ে ছিলো। আমি যে কয়টা দিন হাসপাতালে ছিলাম সেকয়টা দিনই ওর বাবা সব কিছু ছেড়ে দিয়ে আমার সাথে হাসপাতালে বসে থাকতো। সারাটা দিন ছোট একটা সোফায় বসে থাকতো। আমি মাঝে মাঝে বলতাম এখন বাড়ী যাও পরে এসো। এভাবে এক নাগাড়ে বসে থাকতে তোমার কষ্ঠ হচ্ছে। কিন্তু কে শুনতো কার কথা। আর আমার ভাসুরের মেয়ে ওর দিদি সেও খুব ছোট। ওর দিদি প্রতিদিন ভাই কে দেখতে যেত কিন্তু নার্সরা ওকে বাবুর কাছে যেতে দিত না। এটা নিয়ে কত কান্না। তার ভাইয়ের জন্য প্রতিদিন দুইবার করে শপিং এ যেত শুধু ওর ভাইয়ের কি কি লাগবে এটা কিনতে। আমি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে দেখি খেলনা কিনে ঘর ভরে ফেলেছে। আর ভাইয়ের পাশে বসে বলতো ভাই তোমার কোন খেলনা ভালো লাগে বলো আমি তোমাকে এনে দিবো। আর বলতো এটা পছন্দ না ওটা পছন্দ।
বাবু হলো যেনো তার বাবার চোখের মণি। ওর কিছু হলে ওর বাবার মাথা খারাপ হয়ে যায়। যদি কখনো ও দুষ্টুমী কম করে বা শান্ত থাকে তাহলে ও বলবে দেখো তো ওর কিছু হয়েছে কি না। ও খুব শান্ত হয়ে আছে। এসব বলতে বলতে আমার মাথা খারাপ করে দেয়। ও যা চাইবে বা পছন্দ করে সেটা ওর কাকা ও বাবা যেভাবেই হোক এনে দেবে। বেশি দুষ্টুমী করলি আমি একটু বকাবকি করি ও একটু আদটু মার দেই। কিন্তু ওর কাকা ও বাবা কিছুই বলে না।উল্টো আমাকে বোকা দেয় ওরা।আর এখন একজন হয়েছে ওর ম্যাডাম মানে স্বাগতা। বাবু স্বাগতা কে ম্যাডাম বলে ডাকে। স্বাগতা তো বাবুকে মাথায় করে রাখে। স্বাগতা সারাক্ষণ আমাকে বলে ওকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেও আমি ওকে অনেক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাবো। সারাদিন ওর সাথে খেলবো। আর রাতে তোমার কাছে পাঠিয়ে দিবো। স্বাগতা থাকলে ওর আর আমাকে লাগে না। বাবু ও ম্যাডাম ম্যাডাম বলে পাগল হয়ে যায়।
যাই হোক ওসব কথা থাক। সকালে উঠে একটু ব্যাস্ততার মাঝে আছি। এরই মাঝে বাবুকে নিয়ে একটি লিখেছি। আপনারা সবাই আমার বাবুকে আশীর্বাদ করবেন ও যেনো মানুষের মতো মানুষ হয়। ওর বাবা, কাকা ও জেটুর মত বড় মনের মানুষ হতে পারে। চলুন কবিতাটি শুরু করা যাক। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সন্তান
অবশেষে আমি পেয়েছি একটা বন্ধু স্বার্থহীন,
আদলটা ঠিক তার বাবার মতই।
পাশে থাকে সারাদিন তার আবদার না কতই?
সবই পেয়েছে বাবার মত সকালে ঘুম থেকে উঠে,
আমাকে দেখে সে এক গাল হেসে ওঠে।
কত কথা বলে সে কত রকম তার বায়না,
মনে মনে বলি আমি শুধু তোকে-
আর কিছুই চাইনা আমি শুধু তোকে ছাড়া।
তুই যে আমার সোনার মানিক,
নারি ছেরা বাঁধন আমাদের চোখের মনি।
তোর পাশে তুচ্ছ সবই তুচ্ছ ধন রতন,
তুই আমার সাত রাজার ধন বাবা-মায়ের মুখের হাসি।
তোর ছোট অভিমানে তোর চোখের জল দেখলে
আমরা ভেবে ভেবে হই এক সারা।
তুই ছাড়া জীবন আমাদের যেনো মরু সাহারা,
সন্তান তুই আমাদের বেঁচে থাকার আশা,
তাই তো তোর নেই যে কোনো তুলনা,
আমরা যে তোর মা - বাবা কখনও ভুলিস না।
আমাদের সকলের নয়নের মণি টিনটিনকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই আর অনেক অনেক ভালোবাসা রইল। অনেক বড়ো মনের মানুষ হোক আমাদের ছোট্টো টিনটিন বাবু। সমস্ত ইচ্ছে যেন ওর পূরণ হয় এই প্রার্থনাই করি।
পরিবারের সবার প্রাণ তা বুঝাই যাচ্ছে।আমাদের ও সবার মধ্যমণি আমাদের এ সোনার টুকরোটা।দোয়া করি অনেক বড় হোক।কবিতাটিও দারুণ হয়েছে।
টিনটিন শুধু আপনাদের না আমাদের সবারই চোখের মণি।প্রথমেই টিনটিন কে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভ কামনা।আর তারপর রইল ওর জন্য প্রাণভরা আশীর্বাদ। টিনটিন কখনো আপনাদের ভুলে যাবে না।এই কবিতাটাই ওর জন্মদিনের সেরা উপহার।
খুবই সুন্দরভাবে অনুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন বৌদি। তবে এটা ঠিক যে শিশুরা শান্ত থাকলে কেমন জানি ভয় ভয় লাগে, আর চঞ্চল থাকলে ভালো লাগে। টিনটিন বাবুর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল।
দিনগুলো হোক আরো সুন্দর, সময়গুলো হোক রঙিন
রাতগুলো হোক আলোয় ঝলমল, স্বপ্নগুলো হোক অফুরান।
ভালোবাসা-মমতার আকাশ হোক আরো প্রসস্ত
জীবনের প্রতিটি দিন হয়ে উঠুক সুভাষিত বসন্ত।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা- সাথে থাকলো দোয়া
জীবনের সকল স্থরে আসুক সফলতা- সাথে থাকুক পূর্ণতা।
টিনটিনের প্রতি তার বোনের ভালোবাসা দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। আর স্বাগতা আপু টিনটিনকে অনেক ভালোবাসে তো আমি কিছু পোস্টের মাধ্যমেই বুঝতে পেরেছি। যাই হোক গোল্টুর প্রতি তার বাবা চাচা ও জেঠুর ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে। আর কবিতাটির মধ্যে আপনি আপনার ছোট্ট সোনামণিকে নিয়ে অনেক কিছু উল্লেখ করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগছে।
টিনটিনের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
প্রতিটা বাবা-মা ই তার সন্তানের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। বৌদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ টিনিটিন কে নিয়ে সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন এবং টিনটিন এর জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সন্তান হচ্ছে আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ উপহার। প্রত্যেকটি বাবা-মা নিজের সন্তানদের নিয়ে হাজারো স্বপ্ন দেখে। সন্তান অতি আপনজন। টিনটিনের জন্মদিনে আপনার লেখা কবিতাটি খুবই ভালো লাগলো বৌদি। টিনটিনের জন্য এবং আপনাদের সকলের জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
প্রথমে সোনামণি টিনটিন বাবুর জন্য রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা এই দিনটি টিনটিন বাবুর জীবনে বার বার ফিরে আসুক এবং সবসময় সুস্থ থাকো এই দোয়া করি। আপনার কাছে টিনটিন সত্যি অনেক আদরের কারণ প্রতিটা বাবা-মার কাছে সন্তান অনেক মূল্যবান। আরে সন্তান যাতে সুস্থ থাকে এটাই সব সময় কামনা করে। আপনি সন্তান নিয়ে খুবি সুন্দর কবিতা লিখেছেন পড়ে খুবি ভালো লাগলো। টিনটিনকে নিয়ে অনেক সুখে শান্তিতে থাকবেন এটাই দোয়া করি।