"আমডাঙ্গা কালী বাড়ি বাৎসরিক মেলার ভিতর কিছুটা সময় "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। পুরী থেকে ফেরার পর শুনলাম আমডাঙ্গা কালীবাড়ি বাৎসরিক মেলা হচ্ছে।শুনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু অসুস্থ থাকার কারণে যেতে প্রথম দিকে যেতে পারিনি। তবে জানতে পারলাম পুরো পৌষ মাস ব্যাপি এই মেলা থাকে। আমাদের এখান থেকে আমডাঙ্গা খুব একটা দূরে না। যেতে মাত্র চল্লিশ মিনিটের মতো সময় লাগে। গতদিন বিকালের দিকে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। যেতে আমাদের খুব সময় লাগেনি।গাড়ি থেকে নামার পর ড্রাইভার গাড়ি পার্কিং করে দিলো। মেলার ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই দেখি রাস্তার পাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট দোকান বসছে। সারি সারি পূজো দেওয়ার ফুলের ডালির দোকান। আবার হরেক রকম কস্টিউম জুয়েলারির দোকান আছে।
দোকান থেকে টিনটিন দুই প্রকার খেলনা কিনলো। আমরা মেলা ভিতর ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। দেখি অনেক দোকান ইতিমধ্যে চলে গেছে। আসলে আমরা মেলার শেষের দিকে গিয়েছিলাম।
ছোট ছোট স্টিলের দুটো থালা কিনে ছিলাম। টিনটিন বাবু আবদার জুড়ে সে ফুটি বন্দুক কিনবে।আসলে টিনটিন বাবু যা দেখে তাই দুটো নিতে চায়।সবকিছুই দুটি না দিলে কান্না জুড়ে দেয়।
বাবুকে বন্দুক কিনে দেওয়ার পর মেলার ভিতরে ঢুকে দেখলাম বেশ সুন্দর ডিজাইনের কানের ফুল দেখা যাচ্ছিলো। বেশ সুন্দর লাগছিলো ঠিক তখনই বাবু বলে ফুসকা খাবে। বাবু দুটি ফুসকা খেলো। আর আমরা দুজনে রাজ কচুরী অর্ডার করলাম।সেই কচুরী খুবই খারাপ ছিলো। কচুরী ভিতরে যেন বালি কিচকিচ করছিলো। না খেতে পেরে বেরিয়ে পড়লাম দেখি গরম গরম জিলাপী ভাজচ্ছে। দেখা মাত্রই গরম গরম জিলাপী কিনে। আর কিছু কদমা কিনলো আপনাদের দাদা। আর আমার জন্য বাদাম কিনলো। আসলে আমি বাদাম খেতে খুবই পছন্দ করি। সন্ধ্যা হতে হতেই আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মেলার ভিতরে ঘুরে ঘুরে দেখতে বেশ ভালই লাগছিলো। বাবু মেলার ভিতরে কদমা খেতে খেতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো।
আজ এই পর্যন্ত। কাল আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
বৌদি, আপনার পোষ্ট দেখেই ভোররাতে জিলাপি খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। কেননা আমরা কমিউনিটিতে কিছু হলেই, শুধুমাত্র জিলাপি খাওয়ার আবদার করি। আমডাঙ্গা মেলায় যে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন, তা কিন্তু আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
শুভেচ্ছা রইল 🙏
বৌদি আমডাঙ্গা কালীবাড়ি বাৎসরিক মেলায় কিছু সময় বেশ দারুণ উপভোগ করলেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। টিনটিন বাবু বন্দুক কিনেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আর মেলায় কানের দুল গুলো অনেক আকর্ষণীয় ছিল। বারবার দেখছিলাম কানের দুল গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। আর জিলাপি গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মেলার আয়োজন আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে, আর সুযোগ পেলে কখনো মেলা যাওয়া মিস করি না। বেশ সুন্দর নানা ধরনের পন্য নিয়ে বাহারি সকল দোকান, দৃশ্যগুলো দারুণ লেগেছে দেখতে। গরম জিলাপি যেমন আমার পছন্দ ঠিক তেমনি ছোট বেলায় খুব বেশী পরিমানে কদমা খেতাম আমি। অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
এখনকার বাচ্চারা এরকমই বৌদি দুটো ছাড়া নিতেই চায় না। সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বৌদি। দাদা আপনার জন্য বাদাম কিনেছিল জেনে ভালো লাগলো। বাদাম খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো বৌদি।
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে এবং ঘুরে-ঘুরে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক মেলায় গিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন বৌদি। টিনটিন বাবু খেলনা কিনেছে, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। মেলায় গিয়ে গরম গরম জিলাপি খাওয়ার মজাই আলাদা। কদমা ছোটবেলা অনেক খেতাম, যদিও এখন খেতে পারি না, কারণ অতিরিক্ত মিষ্টি লাগে খেতে। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম বৌদি। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
কেমন আছেন দিদিভাই?
এমন মেলাগুলো দেখলেই ছোটবেলাকে খুব করি সত্যিই। শেষের দিকে হলেও যে মেলায় গিয়েছিলেন, তার জন্যই হয়তো আমাদেরও কিছু অংশ দেখার সুযোগ হলো। মেলার এই গরম জিলিপির প্রতি আমারও বেশ একটা দুর্বলতা কাজ করে সব সময়। খুব লোভ হচ্ছে দেখে।
এই ধরনের মেলায় ঘুরে বেড়াতে আমার কাছেও ভালো লাগে। আর বাচ্চারা তো এই মেলায় যাওয়ার জন্য একেবারে অস্থির হয়ে থাকে। মেলায় ঘোরাফেরা এবং খাওয়া দাওয়া করে সময়টা আপনারা বেশ ভালোই কাটিয়েছেন বৌদি। যদিও রাজ কচুরিটা খেতে পারেননি। আসলে কোন কিছু খেতে গিয়ে সেটার ভেতরে কোন সমস্যা পেলে খুব খারাপ লাগে। আপনার কদমার ছবি দেখে কদমা খেতে ইচ্ছা করছে। পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো বৌদি। ধন্যবাদ আপনাকে।