"টক ঝাল মিষ্টি আমড়ার আচার"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। এখন বাজারে কম বেশি আমড়া পাওয়া যাচ্ছে। পুষ্টিতে ভরপুর আমড়া একটি জনপ্রিয় ফল। আমড়া একটি সুপরিচিত দেশীয় ফল। আমড়া সাধারণত কাঁচা খাওয়া যায়। এছাড়া সুস্বাদু আচার চাটনি ও জেলি তৈরি করা যায়। মুখে রুচি বৃদ্ধি সহ অসংখ্য গুনাগুন রয়েছে আমড়ায় । আমড়া তে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ গুনাগুন। এতে প্রায় তিনটি আপেলের পুষ্টির সমান। আমড়া তে আপেলের চাইতে বেশি প্রোটিন ক্যালসিয়াম ,আয়রন ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। সেই সময় রাস্তার ফল বিক্রেতাদের ভ্যানে ফুলের মতো আমড়া কেটে সাজিয়ে রাখে।আবার তারা আমড়া মেখে ও বিক্রি করে। যা দেখে যে কারোরই জিভে জল চলে আসবে। এই আমড়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এটি হজমে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার রয়েছে। আমড়া তে ক্যালোরি ও খুব কম থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তাই আমাদের কম বেশি সকলেরই আমড়া খাওয়া প্রয়োজন। আমড়ার
পুষ্টি গুন বলে শেষ করা যাবে না। এর পুষ্টি গুন সম্পর্কে পরে একদিন শেয়ার করবো।আজ আমি
আপনাদের সাথে আমড়ার আচারের রেসিপি শেয়ার করবো। আমি কাল রাতে এটা তৈরি করেছিলাম। আমড়ার আচার খুব সহজে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করা যায়।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. আমড়া - ৫০০ গ্রাম
২. পাঁচ ফোড়ন - ১ চামচ
৩.জিরা - ১ চামচ
৪. ধনিয়া - ২ চামচ
৫. কালো সরিষা - ১ চামচ
৬. রসুন - ১ টি
৭. গোটা শুকনো মরিচ - ৫ টি
৮. লবণ - ১ চামচ
৯.হলুদ - হাপ্ চামচ
১০. শুকনো মরিচ গুঁড়া - হাপ্ চামচ
১১.চিনি - ১ কাপ
১২. তেতুলের কাথ - হাপ্ কাপ
১৩. সাদা ভিনিগার - ১ চামচ
১৪. সরিষার তেল - ১ কাপ
১৫. মৌরী - ১ চামচ
১৬. দারচিনি -৪ টুকরো, এলাচ - ৩ টি
১৭. বিট লবণ - হাপ্ চামচ
আমড়া
জিরা, ধনিয়া , মৌরি, পাঁচ ফোড়ন ও শুকনো মরিচ
সরিষার তেল
রসুন
চিনি
বিট লবণ
সাদা ভিনিগার
লবণ, হলুদ, ও শুকনো মরিচ গুঁড়া
তেঁতুলের ক্বাথ
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে আমড়ার খোসা ছাড়িয়ে ৩০ মিনিটের মতো জলে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। এতে আমড়ার কষ বেরিয়ে যাবে।
২. ৩০ মিনিট পর আমড়া গুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার আমড়া গুলো ছোট ছোট ফাল করে কেটে নিতে হবে।
৩. কেটে নেওয়া আমড়া গুলোতে এক চামচ লবণ ও হাফ চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
৪.এবার এক চামচ জিরা, এক চামচ ধনিয়া, এক চামচ কালো সরিষা, ৬ টুকরো রসুন ও ৪ টি শুকনো মরিচ করে নিতে হবে।এবার মসলা গুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে সামান্য জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৫. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে এক কাপ সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে এলে দুইটি শুকনো মরিচ, দারচিনি ৪ টুকরো, এলাচ ৩ টি ও ৪ টুকরো রসুনের কোয়া দিয়ে দিতে হবে। গোটা মসলা গুলো ভাজা হয়ে গেলে মসলার পেস্ট দিয়ে দিতে হবে।
৬. মসলার ভিতর সামান্য হলুদ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে লবণ ও শুকনো মরিচ গুঁড়া মাখানো আমড়া গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে দিতে হবে।
৭. এবার আমড়ার ভিতর হাপ্ কাপ তেঁতুলের ক্বাথ ও পরিমান মতো চিনি দিয়ে দিতে হবে। যে যেমন মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন সেই অনুযায়ী চিনি দেবেন। এবার আর একটু নেড়ে চেড়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার কিছু সময় পরপর ঢাকনা তুলে আবার নেড়ে চেড়ে দিতে হবে। লক্ষ্য করে দেখবেন চিনি
দেওয়ার পর আমড়া থেকে জল বের হবে। আমড়ার জল শুকনো পর্যন্ত নাড়তে থাকতে হবে। জল শুকিয়ে গেলে ১ চামচ ভিনিগার ও বিট লবণ ছড়িয়ে দিতে হবে। ভিনিগার দিলে আচার দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
৮. আবার দুই মিনিট নেড়ে চেড়ে দিতে হবে। আচার থেকে তেল দিলে টেস্ট করে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল টক মিষ্টি স্বাদের আমড়ার আচার। আচার ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা কাচের জারে ভরে রাখতে হবে। আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
টক ঝাল মিষ্টি আমড়ার আচার দেখে জিভে জল চলে এসেছে বৌদি। এছাড়া আমড়ার পুষ্টিগুণ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমড়া খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে আমড়ার আচার কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনি সবসময় মজার মজার রেসিপিগুলো শেয়ার করেন বৌদি। তেমনি আজকেও খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি লোভনীয় এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য।
খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি আমরার আচার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। এই গরমের সময় এ ধরনের আচার খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন বৌদি, আমড়ায় রয়েছে আপেলের থেকে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ আর রাস্তায় যখন আমরা বিক্রেতারা সুন্দর করে আমড়া সাজিয়ে রাখে তখন দেখলে আসলেই জিভে পানি চলে আসে ।আর আপনি আজকে আমড়ার টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি করেছেন এটা দেখে তো জীভের পানি আর আটকানো যাচ্ছে না ।এত সুন্দর দেখতে হয়েছে খেতে নিশ্চয় না জানি কতটা মজা হয়েছিল। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি।
টক ঝাল মিষ্টি আমড়ার আচারের রেসিপি দেখে তো জিভ দিয়ে জল পরছে বৌদি।আপনার পুরো রেসিপিটা দেখছিলাম আর যেন আমরার আচারের গন্ধটা যেন নাকে গন্ধ চলে আসছে। এত সুন্দর রেসিপি দেখে কি লোভ সামলানো যায়। অনেক ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার হাতের যে কোন রেসিপি তো অসাধারণ হয়। দেখছি দুর্দান্ত লোভনীয় একটা আমড়ার আচার তৈরি করেছেন। আমার কাছে আমড়ার আচার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। পুরো রেসিপিটি আমি ফলো করলাম। সময় পেলে অবশ্যই তৈরি করব।
আমড়াতে এত পুষ্টিগুণ রয়েছে জানা ছিল না দিদি আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।টক ঝাল মিষ্টি আমড়া খেতে অনেক মজা। আমাদের গাছেও অনেক আমড়া আছে। আপনার মত একদিন আচার তৈরি করব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমড়া আমার এমনিতে অনেক পছন্দ, তবে আছার টক ঝাল মিষ্টি করে যদি বানানো হয় তখন আরো বেশি পছন্দ করি। ধন্যবাদ বৌদি খুব সুস্বাদু একটি আচারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বৌদি আপনার আমড়ার আচার দেখে জিভে জল আটকে রাখা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। টক রেসিপি দেখলে এমনিতেই মেয়েদের জিভে যাওয়া চলে আসবেই তবে অবশ্য সন্ধ্যার পর আমি আমড়া মাখা খেয়েছি। কিন্তু আমরা মাথার চেয়ে আচার কিন্তু একটু বেশি মজা খুবই চমৎকার ভাবে রেসিপি করেছেন ধন্যবাদ।
আচার কমবেশি সবারই পছন্দের ।খুবই সুস্বাদু একটি আচারের রেসিপি শেয়ার করেছেন বৌদি। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে। নিজে তৈরি করে আমড়ার আচার কখনো খাওয়া হয়নি আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি আচার তৈরি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি আচার খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনার আমড়ার আচারের রেসিপি দেখে আমার মুখে জল চলে এসেছে। খুবই সুস্বাদু হয়েছে মনে হচ্ছে।এত সুন্দর একটি আমড়ার আচারের টক ঝাল মিষ্টি রেসিপি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।