স্বরচিত একটি কবিতা " তোমারই অপেক্ষায় "

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে বসন্তের মিষ্টি সকালের শুভেচ্ছা। আজ আমার আমার কবিতা লিখার কোনো ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও হয়ে যায় , বলতে পারেন আজ তাই হয়েছে। আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে কিছু ভালো লাগছিলো না। কোনো কাজে মন বসাতে পারছিলাম না। তাই আমার ব্যালকনিতে বসে এক কাপ গ্রীন টি খাচ্ছিলাম আমার লাগানো কিছু ফুল দেখছিলাম। তখনই এই কবিতাটি মনে পড়ে গেল। আমার অনেক ভেবে একটা কবিতা লিখতে হয়। একটা কবিতা লিখতে আমার প্রায় ৪ ঘণ্টা লেগে যায়। কিন্তু আজ লিখতে খুব কম সময় লেগেছে কিন্তু আমি জানিনা। তবে যখন বেশি মন খারাপ লাগে তখন আমি কবিতা লিখি। আমি যখন লেখাপড়া করেছি তখন ও মাঝে মাঝে কবিতা ও ডায়েরি লিখতাম।প্রথম ডায়েরি লিখা শুরু করেছিলাম আমি যখন ক্লাশ সেভেন এ পড়ি। কিন্তু কবিতা লিখা শুরু করেছিলাম আপনাদের দাদার সাথে কথা বলার পর থেকে। এখন আর ওসব কথা থাক। অন্য এক দিন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন আমরা মূলপর্বে ফিরে যাই।

IMG_20220219_165704.jpg

"তোমারই অপেক্ষায়"

এই নিশিতে হৃদয় ঝরে যে শোকের পাতা,
এই অপেক্ষার প্রহরে যন্ত্রণার যে বিষে বাড়ে হৃদয়ের ব্যথা
অপেক্ষার প্রহর জমাট বাধা হৃদয়ে।
বিষাদের পোকারা হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দে
রোজ টুকরে টুকরে খায় আমার অনুভূতি গুলোকে।
নিষ্প্রাণ মরীচিকাময় প্রেম সম্পদের প্রান্তরে
সহস্র লোকের ভীড়ে,
প্রিয়'র শোকে নেত্র জ্বলে খুব যতনে।
কেন যে হৃদয় হল মরুময় ,তপ্ত দাবানলে পুড়ে সে দিবানিশিতে।
মেঘেদের কোলাহলে নিজেরে সঁপেছি তোমারই নামে।
এই শূন্যপথে দিগন্ত মারিয়ে চলার সঙ্গী পাইনি আজও
গোধূলির আলোয় রংচটা কোনে পাইনি আজও উষ্ণতা
নিয়ন বাতির ঝলসানি তে চোখদুটি কাউকে আর খুঁজে না,
রাত-বিরেতে প্রেম প্রনয়ের গল্পটা আর চলে না।
কত আষাঢ়ের ব্যাঙের গোঙ্গানি শোনা হয় না।
শ্রাবণের ধারায় ফুটিলো বর্ষার প্রেমিক কদমে ভরিল গাছে,
শরতের সাদা মেঘে উঁকিঝুঁকি তে কদমগুচ্ছ গেল হারিয়ে।
তবু কেন আজও রাখলে মোরে তোমার অপেক্ষাতে?
প্রণয়ে সুর বাজে ,হৃদয় হার না মানে,
তবু কেন বিষাদ ছেড়ে বিরহ বাড়ে, কত রেল জংশনে।
বিরহ ব্যথায় ভুগে বসে আছি তোমার অপেক্ষাতে,
নয়নযুগল হয়েছে ব্যর্থ তুমি আর আসলে না অবশেষে।
প্রচন্ড শীতের শেষে চৈত্রের খরতাপ কাটিয়ে
কৃষ্ণচূড়া হাসে মৃদু মন্দে দোলে।
অতঃপর কোকিলের ডাক শুনে, রক্ত কবরীর ঘ্রানে
লাগলো যে ঘোর , সে যে কাটিল আনমনে।

Sort:  
 2 years ago 
বৌদি আপনার একটা কবিতা লিখতে প্রায় ৪ ঘন্টা লেগে যায়। আমার তো ৪+৪ ঘ্নটায়ও অর্ধেক লিখতে পারি না। আসলে কবিতা সবাই পারে না। আপনার কবিতা এর আগেও পড়া হয়েছে। আপনার কবিতার কোয়ালিটি অসাধারণ। আর ভালো জিনিস তৈরি হতে একটু বশি সময় লাগা স্বাভাবিক বিষয়। আজকের কবিতাও অসাধারণ লিখেছেন।
 2 years ago 
মন খারাবের সময় কবিতা খুব চমৎকার করে লেখা যায়।।আপনার একটি কবিতা লিখতে প্রায় চার ঘণ্টা লেগে যায় কিন্তু এই কবিতাটি খুব অল্পসময়ের মধ্যেই হয়ে গেছে।আপনার কবিতা লেখার অভিজ্ঞতা শুনে বেশ ভালো লাগলো।আর সেই সাথে তোমার অপেক্ষায় কবিতাটি অসাধারণ লিখেছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি কবিতা আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য সবসময় ভালো থাকবেন বৌদি মনি♥ ♥

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন‍্য। জেনে অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনাকে কবিতা লেখার প্রতি উৎসাহিত করায়🤪। আপনার কবিতা বরাবরই অনেক অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। প্রতিটি লাইন অসম্ভব সুন্দর ছিলো। লাইন গুলোর গভীরতা অনেক বেশি। ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর কবিতা উপহার দেওয়ার জন‍্য।

 2 years ago 

বৌদি আপনার কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রত্যেকটা কবিতা খুবই ভালো লাগে। আজকে কবিতাটি আমার খুব ভালো লাগেছে।

 2 years ago 

প্রচন্ড শীতের শেষে চৈত্রের খরতাপ কাটিয়ে
কৃষ্ণচূড়া হাসে মৃদু মন্দে দোলে।
অতঃপর কোকিলের ডাক শুনে, রক্ত কবরীর ঘ্রানে
লাগলো যে ঘোর , সে যে কাটিল আনমনে।

< p>বৌদি আমার মনে হয় কবিতা চেষ্টা করে লেখা যায় না।সত্যিকারের কবির কাছে কবিতা গুলো একা একাই ধরা দেয়। উপরের লাইন চারটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য

 2 years ago 

প্রিয় বৌদি, আপনার স্বরচিত কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর ভাষা,এত কঠিন ভাষা সাবলীলভাবে কিভাবে উপস্থাপন করেন তা বোঝার বোধগম্য হয় না আমার। কি কঠিন ভাষা গুলো অবলীলায় লিখে গেলেন, তাই মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম মাত্র চার ঘন্টায় এত সুন্দর কবিতা লেখা শুধু আপনার দ্বারাই সম্ভব। আপনার অসাধারণ কবিতাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এই প্রত্যাশা করছি।

 2 years ago 

বাহ,খুবই সুন্দর লেখনী বরাবরের মতোই বৌদি।মন খারাপ থাকলেই কবিতা তৈরি হয় মনে।কারন অনেক কিছু নিয়েই ভাবনার উদয় হয় তখন।কিছুটা ,বিরহ,বেদনা,শোক ও প্রকৃতির কথা ফুটে উঠেছে লেখনীর মধ্যে।সবমিলিয়ে কবিতাটি তাৎপর্য ভালো ছিল।ধন্যবাদ বৌদি,ভালো থাকবেন।আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

এই নিশিতে হৃদয় ঝরে যে শোকের পাতা,
এই অপেক্ষার প্রহরে যন্ত্রণার যে বিষে বাড়ে হৃদয়ের ব্যথা
অপেক্ষার প্রহর জমাট বাধা হৃদয়ে।
বিষাদের পোকারা হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দে
রোজ টুকরে টুকরে খায় আমার অনুভূতি গুলোকে।
নিষ্প্রাণ মরীচিকাময় প্রেম সম্পদের প্রান্তরে
সহস্র লোকের ভীড়ে,
প্রিয়'র শোকে নেত্র জ্বলে খুব যতনে।
কেন যে হৃদয় হল মরুময় ,তপ্ত দাবানলে পুড়ে সে দিবানিশিতে।

সবসময়ের জন্য বৌদি অসাধারণ কবিতা লেখেন । আজকের কবিতাও সে পক্ষে কম নয় । খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন ।পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ।ধন্যবাদ এতো সুন্দর কবিতা শেয়ার করার জন্য ।

 2 years ago 

বাহ দিদি আজকে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে মনের অনুভূতি অন্তর্নিহিত বিষয় কবিতার মধ্যে প্রকাশ ঘটেছে। যেটা পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। আপনার প্রতিটি কবিতায় আমাকে মুগ্ধ করে ।আজকের কবিতাটা অসাধারন ছিল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আমার ব্যালকনিতে বসে এক কাপ গ্রীন টি খাচ্ছিলাম আমার লাগানো কিছু ফুল দেখছিলাম। তখনই এই কবিতাটি মনে পড়ে গেল।

এই অনুভূতির সাথে আমিও একমত, কবিতা হলো আত্মীক বিষয়, অনুভূতির প্রকাশ, চাইলেই সাথে সাথে কোন বিষয় নিয়ে কবিতা লেখা যায় না। তবে একটা নির্দিষ্ট উপলক্ষ্য সামনে থাকলে অনুভূতিগুলো ভালো কাজ করে এবং কবিতা লেখা সহজ হয়ে উঠে।

প্রচন্ড শীতের শেষে চৈত্রের খরতাপ কাটিয়ে
কৃষ্ণচূড়া হাসে মৃদু মন্দে দোলে।
অতঃপর কোকিলের ডাক শুনে, রক্ত কবরীর ঘ্রানে
লাগলো যে ঘোর , সে যে কাটিল আনমনে।

লাইনগুলো সত্যি দারুণ ছিলো বৌদি। খুব সুন্দর হয়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74