বাঙালি রেসিপি " শোল মাছ ভুনা"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব শোল মাছের ভুনা। এই শোল মাছের ভুনা রান্না করেছিলাম গতদিন রাত্রে। গতদিন সকালে আমাদের ফ্ল্যাটের নিচে মাছ বিক্রি করতে এসেছিল। আমি সেখান থেকে দুটি শোল মাছ রেখেছিলাম। আমার প্রিয়তম শোল মাছ খেতে খুব পছন্দ করে। সে মাংস তেমন পছন্দ করে না। কিন্তু সে মাছ খেতে খুবই পছন্দ করে। আমি সব সময় সে যা খেতে ভালোবাসে আমি সেই সবই রান্না করার চেষ্টা করি। আমি শোল মাছ খাই না। তবে শুনেছি এই শোল মাছ নাকি খুব টেস্টি একটি মাছ। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণঃ
১. শোল মাছ - ১ কিলো
২. আলু - ১ টি
৩. পেয়াঁজ কুচি - ১ কাপ
২. আদা ও রসুন বাটা - ২ চামচ
৩. গোটা জিরা - ১ চামচ
৪. সাদা তেল - ১ কাপ
৫. তেজ পাতা - ২ টি
৬. কাচা মরিচ - ৪ টি
৭. লবণ - ২চামচ
৮. হলুদ - ২ চামচ
৯. জিরার গুঁড়া - ১ চামচ
১০. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ২ চামচ
১১. গরম মসলা - ১ চামচ
শোল মাছ
আলু
৩.
কাচা মরিচ, তেজ পাতা ও গোটা জিরা
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া, তেল ও গরম মসলা
আদা ও রসুন বাটা
পেয়াঁজ কুচি
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে শোল মাছ কেটে নিতে হবে। তারপর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। লাগলে গরম জল দিয়ে ও ধুতে পারেন।
২. এরপর পরিস্কার করা কাটা মাছে সামান্য লবণ ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিতে হবে।
৩.এবার আলু লম্বা করে পাতলা করে কেটে নিতে হবে। এবং জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৪. চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল দিয়ে দিতে হবে।
৫. তেল গরম হয়ে গেলে লবণ ও হলুদ মাখানো মাছ দিয়ে দিতে হবে।
৬. শোল মাছের নিচের পিঠ ভাজা হলে উল্টায় দিতে হবে এভাবে ১৫ মিনিট মাছ ভেজে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
৭. মাছ নামানোর পর ওই একই কড়াইতে আরও একটু তেল দিয়ে এক চামচ গোটা জিরা ও তেজ পাতা দিয়ে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে একে একে পেয়াঁজ কুচি দিয়ে আরো ও কিছুক্ষন ধরে ভেজে নিয়ে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে সামান্য একটু জল দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে।এবার পরিমান মতো বাকি মসলা দিয়ে দিতে হবে শুধু গরম মসলার গুঁড়া নামানোর ৫ মিনিট আগে দিতে হবে। মসলা কষানো হলে আলু ও মাছ দিয়ে আর একটু নেড়ে চেড়ে দিতে হবে।
৮. এবার চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে ২ কাপ জল দিয়ে দিতে হবে। ঝোল ফুটতে শুরু করলে কাচা মরিচ চিরে দিতে হবে।
৯. এভাবে ১৫ মিনিট ধরে জ্বাল দিতে হবে। ঝোল একটু কমে গেলে এক চামচ গরম মসলা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুলে দিতে হবে। খুন্তি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।
১০. ঝোল কমে গাঢ় হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও মজাদার একটি খাবার শোল মাছ ভুনা। এটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
শোল মাছ আমার খুবই প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন শোল মাছ দিয়ে।
আমার গ্রামের ছোট ছোট নদীগুলোতে যখন পানি শুকিয়ে যায় তখন এই মাছগুলো বেশি পাওয়া যায়। এসব নদীর মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নিজে না খেয়েও, তার জন্য এমন পছন্দ, বর্তমান সময়ে বিরল। আজকাল সবকিছুই যেন মেকি।
পতি ভক্তির এই অনন্য দৃষ্টান্ত সব কিছুর উর্ধ্বে ছিল। আমার মনে এই পর্বের সবচেয়ে বড় আকর্ষন ও দৃষ্টান্ত এই কথাটি।
আপনারা মনের দিক থেকে শুখি বলে আমার ধারণা। যা স্বর্গ সুখকেও হার মানাতে পারে। আমাদের জন্যও আশীর্বাদ করবেন।
বাহ্ ..... কি দারুন লোভনীয় রেসিপি। 😋
আমার সবচেয়ে পছন্দের মাছ হচ্ছে: আইর মাছ ,শোল মাছ,নদীর টেংরা মাছ, আর পদ্মার ইলিশ। এর মধ্যে আইর মাছ আর শোল মাছ ভুনা করে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার। প্রিয় মাছের প্রিয় রেসিপি দেখে এজন্যই অনেক লোভ লাগছে। 🤤
চার নম্বর ছবির প্লেট টা দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম এটা কলার পাতা।
শোল মাছ খুবই সুস্বাদু।কিন্তু আমি আর আমার দাদা এই মাছ খাই না।আমার মা-বাবা প্রায়ই খান ।আপনার রান্নাটি খুব সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে বৌদি।ধন্যবাদ আপনাকে।
জিভে যে জল চলে এলো বৌদি😋খুব ভালো বানিয়েছেন। শুভ কামনা রইলো আর উপস্থাপনাও চমৎকার হয়েছে 🥰
শোল মাছ ভুনা করে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার। প্রিয় মাছের প্রিয় রেসিপি দেখে এজন্যই অনেক লোভ লাগছে। 😋
আপু শোল মাছের রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার। শোল মাছ আমার একটি পছন্দের মাছ। আপু রেসিপির প্রতিটি ধাপ দেখে দেখে জিভে পানি চলে আসলো খাওয়ার জন্য। সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা আর খেতেও মনে হয় অনেক টেস্টটি হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ওয়াহ ওয়াহ, দেখেই মন চাইছে খেয়ে ফেলি। আপু আপনি দারুণ রান্না করতে পারেন।সত্যি কথা আপনাকে দেখে বুঝা যাইনা এতো ভাল রান্না পারেন আপনি।
আমার প্রিয় মাছের মধ্যে শোল মাছ এক নাম্বার। অনেক সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বৌদি শোল মাছ খেয়ে দেখবেন। আসলেই খুবই মজার একটি মাছ। দাদার মতো আমিও শোলমাছ খুব পছন্দ করি। আমাদের এদিকে শোলমাছের একটি জনপ্রিয় রেসিপি হচ্ছে লাউ দিয়ে শোল মাছ রান্না। যদিও শোল মাছ ভুনাও আমার খুব পছন্দের। আপনার রান্নাটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বৌদি, আমি মাঝেমধ্যে ভেবে পাইনা একটা মানুষ প্রতিদিন কি করে এত বেশি ভালো রান্না করতে পারে। শোল মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ। আপনার রান্না দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। কারণ এখনো আমি কিছুই খাইনি সকাল থেকে। তাই জন্য আপনার রেসিপিটি দেখে খিদা লেগে গেল।