নেতাজির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে নিজের লেখা কবিতা " প্রিয় নেতাজি"
Image source: Wikipedia Commons
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে জানাই নেতাজী জয়ন্তীর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আজ ২৩ জানুয়ারী, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন। দেশকে স্বাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি দিতে নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এই বঙ্গসন্তান। ভারতবাসীর নেতাজির কাছে চির কৃতজ্ঞ, সশ্রদ্ধ চিত্তে তাকে স্মরণ ও বরণ করে।১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজি নামে সারা বিশ্ব পরিচিত। তার মাতা প্রভাবতী দেবী এবং পিতা বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু। মেধাবী ছাত্র সুভাষ কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুল থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মেট্রিক পাশ করেন।এরপর কলকাতার স্কটিশ সার্চ কলেজ থেকে বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।বিলেতে গিয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেও ইংরেজ সরকারের অধীনে চাকরি না দেশে ফিরে এসেছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। তুমি দেশ ও দেশবাসীকে প্রান ভরে ভালবেসেছিলেন। দেশবাসী দুঃখ দারিদ্র শাসক সম্প্রদায়ের সীমাহীন ঔদ্ধত্য তাকে বাল্যকালেই তার জীবনের গতি স্থির করে দেয়। এই কারণেই আই.সি.এস. এর চাকরি হেলায় চেক করে বাংলা মহান জাতীয়তাবাদের বক্তৃতার দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সাথে থেকে বেছে নেন দুঃখ দারিদ্র নির্যাতনের এক অনিশ্চিত জীবন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি অন্যতম সফল ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। বঙ্গীয় জাতীয় কলেজ বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি, দেশবন্ধুর "স্বরাজ দল ",ও ফরওয়ার্ড পত্রিকা পরিচালনা সংগঠনে আবিষ্কার করলেন নজির রেখেছিলেন। তিনি দুবার কংগ্রেসের সভাপতি ও নির্বাচিত হন। আজাদ হিন্দ ফৌজ ও পরিচালনা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারায় সকল ধর্মাবলম্বীদের ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
জাপান ও জার্মান, উভয় দেশই ব্রিটিশ দের বিরুদ্ধে ছিলো।তাই নেতাজী উভয় দেশের কাছেই সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনি স্বাধীনতার জন্য আজাদ হিন্দ ফৌজকে শক্তিশালী করেছিলেন । তুমি কোথায় দেশ থেকে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক ইচ্ছুক ব্যক্তিকে সৈনিকের মর্যাদা দিয়েছেন। তাদের দেশের জন্য লড়াই করার উদ্দীপনা দিয়েছেন। দেশের জন্য মৃত্যুবরণের লক্ষ্য রেখেছেন। নেতাজি বলেছিলেন "ভারত ডাকছে,রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে, ওঠো,দাঁড়াও, আমাদের নষ্ট করার মত সময় নেই"
"তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব","দিল্লি চলো" এবং " জয় হিন্দ"এর মত বিখ্যাত স্লোগান তার কাছ থেকেই আমরা পেয়েছি। প্রতিবছর ২৩ জানুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে ভারতে নেতাজী জয়ন্তী পালিত হয়। ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় পরাক্রম দিবস বলে ঘোষণা করেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ,ত্রিপুরা, আসাম, ঝাড়খণ্ড, ও উড়িষ্যা রাজ্যের এটি একটি সরকারি ছুটির দিন। স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে প্রত্যেক ভারতবর্ষে হৃদয়ে। জয় হিন্দ!
" প্রিয় নেতাজি"
ভারত মায়ের দামাল ছেলে নেতাজি সুভাষ তুমি,
দুই চোখে তোমার স্বপ্ন ছিল গড়তে স্বদেশ জন্মভুমি।
রক্ত দাও স্বাধীনতা দেবো বলেছিলে তুমি মুখে,
আজাদ বাহিনী করেছিলে গঠন সাহস নিয়ে বুকে।
ভারত মাতা ছিল পরাধীন ছিলো দুই শত বছর,
ইচ্ছা ছিল করতে স্বাধীন তব স্বদেশ ভারত বর্ষ।
স্বদেশ তব হইল স্বাধীন দেখলে না বীর তুমি,
ত্রিবর্ণ পতাকা উড়ছে আজ স্বাধীন ভূমিতে।
তোমার আসন শুন্য আজকে পূর্ণ করিবে কে বা,
ফিরে এসো,ফিরে এসো, করতে দেশের সেবা।
কত শত প্রাণ দিল বলিদান মুক্তির সোপান তলে,
তোমার তরে দেশবাসী আজ ভাসছে অশ্রু জলে।
স্বদেশের জন্য স্বাধীনতা তরে করিলে তুমি সংগ্রাম,
হে বীর সাধক! কর্মী মহান তোমারে জানাই প্রণাম।
নেতাজির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে দারুন কিছু কথা তুলে ধরেছেন বৌদি। সেই সাথে দারুন একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে অনেক কিছু জানতেও পারলাম। অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে ভালো লেগেছে বৌদি। দারুন একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নেতাজির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন দিদি ৷ আপনার কবিতা পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো ৷ দারুণ লিখেছেন ৷ বিশেষ করে নেতাজির বিষয়ে অনেক কথাই সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন ৷ অনেক কিছুই নতুন করে জানতে পারলাম ৷ ভীষণ ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি , আপনার এমন সুন্দর কবিতা এবং আরো কিছু সুন্দর কথা শেয়ার করার জন্য ৷
আসলেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাম আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে ভারতবর্ষ। তাছাড়া বিশ্ববাসী কখনোই ভুলতে পারবে না নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কথা। যাইহোক নেতাজির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে চমৎকার লিখেছেন বৌদি। কবিতাটি পড়েও ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম এই পোস্টটি পড়ে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম এই পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নেতাজির জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে আপনার লেখা কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। কবিতাটির মধ্যে নেতাজির প্রতি এক অগাধ শ্রদ্ধা দারুণভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় লেখা চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বঙ্গসন্তান নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন বৌদি।আসলেই তিনি অনেক সম্মানের ও গর্বের একজন সমগ্র ভারতবর্ষের জন্য।তাকে স্মরণ করেই আমাদের সামনের পথ নির্ধারণ করা উচিত।স্বাধীন মায়ের শ্রেষ্ঠ বীর সন্তানের জন্য ও আমার প্রণাম ও প্রানঢালা সম্মান রইলো।ধন্যবাদ বৌদি।